বৃহস্পতিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট-ছাতক রেলপথ স্বাভাবিক হবার কোন লক্ষণ নেই
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট-ছাতক রেলপথ স্বাভাবিক হবার কোন লক্ষণ নেই
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: দ্বিতীয় ধাপের বন্যায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে সিলেট -ছাতক রেলপথ। ক্ষতি হয়েছে প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। পানির তীব্র স্রোতে রেললাইনের অধিকাংশ স্থানে স্লীপারের নিচের মাটি ও পাথর সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্তের। পানির বেগে রেললাইন উপড়ে গেছে একাধিক স্থানে। পায়ে হেঁটে চলাচলকারী পথচারীরা হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ফলে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ থাকা ট্রেনের এই পথটি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে রয়েছে সর্বমহলের মধ্যে অনিশ্চিয়তা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় সিলেট হতে ছাতক পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি১৯৫৪ সালে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ করার পর থেকে এই রেলপথটিতে তার আপন গতিতে ট্রেন চলাচল শুরু করে।.
উক্ত লাইনে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ট্রেন এ অঞ্চলের যাত্রীদের সেবায় একনিষ্ট এবং সিলেট শহরের সহিত যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম রুপে ভুমিকায় ছিল। ট্রেনে প্রায় ৪৫ মিনিটে ছাতক হতে সিলেট পৌঁছাতেন মানুষজন। সিলেট হতে ছাতক পৌঁছাতে ট্রেন পথিমধ্যে খাজাঞ্চি -সৎপুর আফজলাবাদ এই তিনটি ষ্টেশনে যাত্রা বিরতি করে। এই সব ষ্টেশন থেকে এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ সিলেটে আসা-যাওয়া করতো।
সিলেটে পৌঁছাতে এক সময় এই ট্রেনই ছিল যাতায়াতের একমাত্র বাহন। কিন্তু দূর্ভাগ্য ১৯৮৬ সাল থেকে এই রেলপথে মন্দাভাব দেখা দেয়।শিল্পনগরী ছাতক থেকে চুনাপাথর, সিমেন্ট, স্লীপার,বালু, বোল্ডার পাথর দেশে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো রেলপথে। করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর এবার দ্বিতীয় ধাপের বন্যায় রেললাইন একাধিক জায়গায় উপড়ে গিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেই রেললাইন আদৌ কি মেরামত হবে বা মেরামত করে কবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে প্রশ্ন এই অঞ্চলের ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণের।
সব সময় ট্রেনে যাতায়াতকারী সফিকুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন, বন্যার ক্ষতচিহ্ন নিয়ে সিলেট-ছাতক রেললাইন আজ দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জানিনা কোন অযুহাতে রেল কর্তৃপক্ষ মেরামতের উদ্যোগ নিতে এতো বিলম্ব করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
বিশ্বনাথে সড়ক দূর্ঘটনায় দশম শ্রেণীর ছাত্র নিহত : আহত-৫
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে বাস ও দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পৌর এলাকার আল-মদিনা বিদ্যানিকেতনের (চৌধুরীগাঁও) দশম শ্রেণীর ছাত্র ও মোটর সাইকেল আরোহী শাহেদুজ্জামান (১৮) নিহত হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের পৌর শহরস্থ দূর্গাপুর (কারিকোনা) এলাকার ইভা ফার্ণিচারের সামনে সংগঠিত দূর্ঘটনায় নিহত শাহেদুজ্জামানের সঙ্গিসহ দুটি মোটর সাইকেলের আরোহী ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত শাহেদুজ্জামান পৌর এলাকার ইলামেরগাঁও (উত্তর মিরেরচর) গ্রামের আবদুল মালিকের পুত্র। আহতরা হলেন- বিশ্বনাথ পৌর এলাকার জানাইয়া গ্রামের এলাই মিয়ার পুত্র জহির (১৯), ময়না মিয়ার পুত্র নয়ন মিয়া (১৮), পূর্ব চান্দশিরকাপন গ্রামের ছুরাব আলীর পুত্র আল-আমিন (২০), উত্তর মিরেরচর গ্রামের আবদুর রশীদের পুত্র কাউছার (১৫) ও একই গ্রামের ফাহাদ মিয়া (১৭) গুরুতর আহত হন।
বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা বিশ্বনাথ অভিমুখি একটি যাত্রীবাহী বাসের (নাম্বার : সিলেট-জ ১১-০৬০২) সাথে পৌর শহরের দূর্গাপুর (কারিকোনা) এলাকার ইভা ফার্ণিচারের সামনে রশীদপুরগামী দুই মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই মোটর সাইকেলে থাকা ৬ জন গুরুতর আহত হন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহেদুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকী আহতদের মধ্যে আরোও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানাগেছে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বাস ও দুটি মোটর সাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৩ দিন পর সিলেটের কিশোরীকে মিললো দিরাই : কিশোরী উদ্ধার, যুবক আটক
বিশ্বনাথ :: সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে ১৩ দিন সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নিয়ে যান ওই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের আশুক আলীর ছেলে মনির হোসেন (২৯)।
১৩ দিন পর মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে জালালাবাদ থানার একদল পুলিশ মনিরের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও মনিরকে আটক করে।
এর আগে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারের পর মনিরকে আদালতে এবং উদ্ধারকৃত কিশোরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
জালালাবাদ থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. নাজমুল হুদা খানের বরাত দিয়ে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
সিলেটে জেলা পরিষদ নির্বাচন : তোড়জোড়
বিশ্বনাথ :: সিলেটে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সরব হয়ে ওঠেছেন।
এতদিন জেলা পরিষদ নিয়ে কারো আগ্রহ না থাকলেও তফশিল ঘোষণার পর অনেকেই দলীয় মনোনয়ন লাভের চেষ্টা শুরু করেছেন। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে হিসেব-নিকেশ চললেও নিরব বিএনপি। আপাতত জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলন নিয়েই ভাবনা তাদের। তাই গেলবারের মতো এবারও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘ওয়াকওভার’ দিতে যাচ্ছে দলটি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশে আন্দোলনে ব্যস্ত রয়েছে স্থানীয় বিএনপি।
এদিকে, কেউ হতে চান সংসদ সদস্য- আবার কেউ মেয়র। এই দুই পদেই এতোদিন চোখ ছিল সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু জেলা পরিষদের তফশিল ঘোষণার পর থেকে ‘মতের’ পরিবর্তন ঘটেছে অনেকের। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকেই চোখ ফেলেছেন স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে।
নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না- এটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ফাঁকে মাঠে গোল দিতে তাদের মাঝে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কোনোভাবে দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারলেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ নিশ্চিত- এমনটাই মনে করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাই দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেকেই কেন্দ্রে চালিয়ে যাচ্ছেন নিরব লবিং।
এখন পর্যন্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
এর মধ্যে মাসুক উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন- তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আগ্রহী নন। আগামী সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে তিনি মনোনয়ন চাইবেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। এরপর টানা দুই নির্বাচনে আসনটি মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত থাকেন তিনি। এবারও তিনি আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচনে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাকে সংসদ সদস্য করেছিলেন। তিনি আমাকে দলের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি আমাকে যেখানে রাখতে চাইবেন সেখানেই থাকবো।’
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাইবো। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো।’
সিলেটের রাজনীতিতে ‘ক্লিন ম্যান’ খ্যাত নাসির খান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যন পদে নির্বাচন করার আগ্রহ ব্যক্ত করায় তার অনুসারীদের মাঝে বেশ উৎসাহ পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে।
অপরদিকে, চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নাম লোকমুখে উচ্চারিত হলেও এখনো তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন না করা নিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের দল অংশ নেবে না। দলের কেউ অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর। ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় বা স্বতন্ত্র মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম কিনতে পারবেন। এরপর নৌকার প্রার্থীর নাম মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ঘোষণা করা হবে।
সিলেটে আগস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ১৯টি : নিহত-২১
বিশ্বনাথ :: সিলেটে গত এক মাসে (আগস্ট) সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৯ টি। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন। বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মাসিক ভিত্তিতে দেওয়া নিয়মিত বিজ্ঞপ্তির অংশ হিসেবে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত আগস্ট মাসে সারা দেশে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৯ জন নিহত ও ৯৬১ জন আহত হন। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হন।
বিভাগ ভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুসারে, সারা দেশের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে সিলেট বিভাগে। ঢাকা বিভাগে ১২৭টি (২৭ দশমিক ৭২ ভাগ) দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৪২ জন (২৭ দশমিক ৩৬ ভাগ)। সিলেট বিভাগে ১৯টি (৪ দশমিক ১৪ ভাগ) দুর্ঘটনা ২১ জন (৪ দশমিক ৪ ভাগ) নিহত হন। তবে সিলেট বিভাগের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় দুর্ঘটনায় কেউ মারা যাননি। বাকি তিনটি জেলাতেই গত মাসে প্রাণহানি ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারা দেশে আগস্ট মাসে ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭২ জন, যা মোট নিহতের ৩৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৪ জন, অর্থাৎ ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ। একই সময়ে ১১টি নৌ দুর্ঘটনায় আট জন নিহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।