রবিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » নলছিটি মসজিদ কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
নলছিটি মসজিদ কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: মসজিদের উন্নয়নের নামে আদায় করা ৭ লাখ টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার উত্তর খাগড়াখানা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুফতি মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি জোর করে মসজিদ কমিটির সভাপতি হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এসব অভিযোগ করেন কমিটির নেতা ও মুসুল্লিরা।
ওই কমিটির নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই মসজিদের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। হঠাৎ ২০২০ সালে মো.শহিদুল ইসলাম লক্ষ লক্ষ টাকা মসজিদের অনুদান করেছে বলে দাবি করেন। খোঁজ খবর নিয়ে দেখাগেলো তিনি মসজিদ তৈরি থেকে শুরু করে লাখ লাখ টাকা দিয়েছেন এবং তার মায়ের দেওয়া জমিতেই মসজিদ টি নির্ন্মাণ করা হয়েছে।
খাগড়াখানা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, শহিদুল ইসলাম ও মুফতি মাহাবুবুর রহমান আপন শ্যালক ও দুলাভাই। তাঁদের মধ্যে দুলাভাই শহিদুল ইসলাম একজন দানবীর ব্যক্তি তিনি ঢাকায় থাকেন।
এই মসজিদে তার লক্ষ লক্ষ টাকা দান করা আছে। বর্তমানে মসজিদে তিনি দুই লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু শ্যালক মো.মাহাবুবুর রহমান মসজিদের সভাপতি তিনি সামনে এসে আমাদের যদি বলে, ভাই আমি টাকা গুলো খরচ করেছি কোথায় করেছি আমার মনে নেই বা খাতায় লেখা হয়নি। সোজা কথা খরচ হয়েগেছে। তাহলে তার ভগ্নীপতি মো.শহিদুল ইসলাম এ নিয়ে আর কোন কথাও বলতেন না। শুধু ইগো সমস্যা। আমি মনে করি সভাপতি মুফতি মাহাবুবুর রহমান আমাদের সামনে এসে সমাজে বা মসজিদে দাঁড়িয়ে সকলের সামনে বলুক যে,এই ঘটনা বা ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দানবীর মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত মসজিদের উন্নয়নে দান করে আসছি। আমার পৈত্তিক সম্পত্তিতে এই মসজিদটি নিন্মান করা হয়েছে। কিন্তু গত দুই তিনবছর আগে যে, ২লক্ষ টাকা আমার ব্যাংক থেকে মসজিদের একাউন্টে ট্রেন্সফার করেছি। কিন্তু সেই টাকা মসজিদে জমা হয়নি। মসজিদের খাতপত্র বা কোন কাগজ পত্রে আমার নামের টাকার অংক নেই। এই কথা শুনে আমার মাথায় হাত, কিরে ভাই আমার লক্ষ লক্ষ টাকা তাহলে ওরা আত্মসাত করেছে।
এছাড়াও সভাপতি মুফতি মাহাবুবুর রহমানের পরিবর্তে মাসুম বিল্লাহ মসজিদের কর্মকান্ডের পরিচালনা করে আসছেন বলে, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে মুসুল্লিদের হুমকির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি আরো বলেন, নাচোন মহল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো.হানিফ জানিয়েছেন,মাসুম বিল্লাহ কে আমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষ না করেছি মৌখিক ভাবে। কারণ তিনি কোন কাগজপত্রে কমিটিতে না থাকায়। অবাঞ্ছিত করার কারণ সে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম করে বেড়ায় তাই তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মো.মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সভাপতি হতে চাইনি। আমার নাম আছে কিন্তু সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন আমার ভাই মাসুম বিল্লাহ।