শুক্রবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » সিলেটে দুই তরুণী গণধর্ষণের সহায়তাকারী তানিয়া গ্রেফতার
সিলেটে দুই তরুণী গণধর্ষণের সহায়তাকারী তানিয়া গ্রেফতার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেট মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার নারী আসামি গ্রেফতার হয়েছেন। তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫) নামের ওই আসামিকে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর শিবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯।
বুধবার সকালে তানিয়াকে সিলেটের জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ইান্সপেক্টর (তদন্ত) খালেদ মামুন। তিনি বলেন- বুধবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তানিয়া দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্দি গ্রামের দবির মিয়ার মেয়ে। তিনি নগরীর শাহজালাল উপশহরে বসবাস করেন।
সিলেটের চাঞ্চল্যকর ওই গণধর্ষণ মামলার আরেক আসামি মোহাইমিন রহমান রাহিকে (৩৩) গত ২ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। রাহি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
উল্লেখ্য, ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে মহানগরীর পাঠানটুলাস্থ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ভিকটিম দুই তরুণী সিলেটের জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী (১৮) কয়েক মাস আগে আইএলটিএস পড়ার জন্য সিলেট মহানগরীতে এসে আরেক নাট্যশিল্পী তরুণী (২৫)-এর সঙ্গে শাহজালাল উপশহরের একটি বাসায় থাকতে শুরু করেন। উপশহর এলাকায় থাকার সুবাধে ওই এলাকার স্নেহা বিউটি পার্লারের গিয়ে তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫) নামের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তানিয়া সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্দি গ্রামের দবির মিয়ার মেয়ে। তিনি শাহজালাল উপশহরের এইচ ব্লকের ৪ নং রোডের আলী ভিলা নামক ৫ তলা বাসায় ভাড়াটে থাকেন।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে তানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে সিলেটে আইএলটিএস করতে আসা সেই তরুণীর। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুবাধে গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানিয়া ফোন করে ওই তরুণীকে বলেন- তার ভাইয়ের জন্য এবি পজেটিভ রক্ত প্রয়োজন। ওই তরুণীর এবি পজেটিভ রক্ত হওয়ায় তিনি যেন এক ব্যাগ রক্ত দেওয়ার জন্য রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে যান। এমন ফোন পেয়ে ওই তরুণী তার বন্ধবীকে (২৫) নিয়ে তৎক্ষণাৎ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালের সামনে যান।
সেখানে গিয়ে তানিয়াকে দেখতে পেয়ে রক্ত দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি ওই দুই তরুণীকে জানান- রক্ত দেওয়ার আগে তার এক কাজিনের বাসায় একটু প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন শেষ করে তারা হাসপাতালে যাবেন। এ কথা বলে কৌশলে ওই দুই তরুণীকে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলায় নিয়ে যান তানিয়া এবং তাদের দুজনকে আলাদা আলাদা কক্ষে বসিয়ে রাখেন।
এসময় তানিয়ার সহযোগী কয়েকজন তরুণ ও যুবক এসে ওই দুই তরুণীকে আটকে রাখেন এবং রাত সাড়ে ১১টার থেকে একের পর এক ১০-১২ জন যুবক তাদের দুজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এছাড়াও ভিকটিম এক তরুণীর (১৮) কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা পয়সা জোরপূর্বক নিয়ে যান তানিয়া ও ধর্ষকরা।
পরদিন ২৪ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে ভিকটিম দুই তরুণীকে এক কক্ষে নিয়ে তাদের কাছ থেকে ‘ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি’ এ মর্মে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয় এবং এ কথাগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তাদের ছেড়ে দেন তানিয়া ও তার সহযোগিরা। ঘটনার পর দুই ভিকটিম তরুণী জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
তানিয়া ছাড়াও এই দুই মামলার আসমিরা হলেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাইমিন রহমান রাহি (৩৩), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গোবিগন্দগঞ্জ গ্রামের মৃত তহুর আলীর ছেলে জুবেল (৩১), সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার আলী আকবরের ছেলে রানা আহমদ শিপলু ওরফে শিবলু (৩৫), সুনামগঞ্জ সদর থানার হরিনাপাট গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) ও সুজন (৩৫) এবং অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জন। তবে এ মামলার আসামি রানা আহমদ শিপলুর স্ত্রী গত ৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন- তার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানো হয়েছে।
বিশ্বনাথে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। সভায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় কেউ মোবাইল কিংবা ইলেক্টনিক্স ডিভাইজ নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে পারবে না, আসন্ন দূর্গাপূজা সুষ্ঠ-সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনিক নিরাপত্তার পাশাপাশি সবকটি মন্ডপকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহন, চাউলধনী হাওরে লিজ গ্রহিতাদের মাছ আহরণ নিয়ে চলমান বিরোধ নিরসনে দ্রæত উদ্যোগ গ্রহন করার ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জ্ঞাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আসমা জাহান সরকার, থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মানিক মিয়া, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ, হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা।
বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন ইমরান, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, কামাল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বদরুন নাহার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বৈদ্য সমর।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূর উদ্দিন মেম্বার, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খায়রুল আমীন আজাদ মেম্বার, বিশ্বনাথ দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুমান আহমদ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আমির হোসেন, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের এজিএম আলাউল হক সরকার প্রমুখ।
বিশ্বনাথে হাসানাইন তাহফিজুল কোরআন মাদরাসায় প্রবাসী সংবর্ধিত
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজীতে হাসানাইন তাহফিজুল কোরআন মাদরাসায় গ্রিস প্রবাসী মোহাম্মদ আলী মৌরশকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টায় স্হানীয় ইউনিয়নের সাহেবনগরস্হ মাদরাসার কনফারেন্স হলরুমে ওই সংবর্ধনা অনুষ্টিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া।
এসময় সুনামগঞ্জ জেলার কার্য্য সহকারি ও ছাতক থানার রোড সেন হাই-ওয়ে’র গোলাম মাওলা, বিশ্বনাথ থানার এসআই মামুনুর রশিদ মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ এনামুল হক এনামকে মাদরাসায় আগমন উপলক্ষ্যে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
মাদরাসার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মো. সমসের আলী’র সভাপতিত্বে ও মাদরাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক হাফিজ মাওলানা ইউসুফ মোহাম্মদ শাহান এর পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মো. আব্দুল বাসিত, বিশ্বনাথ থানার এসআই মামুনুর রশিদ মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ এনামুল হক এনাম, বাংলাদেশ রোড সেন হাই-ওয়ে ছাতক থানা ও সুনামগঞ্জ জেলার কার্য্য সহকারি গোলাম মাওলা, গোবিন্দগঞ্জ দিঘলীস্হ ইমাম হাসান হোসাইন রা. জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লি লুৎফুর রহমান, স্হানীয় নোয়াগাও আব্দুল জব্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাওলানা কামাল উদ্দিন।
মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফিজ শেখ মুহাম্মদ নাদিম এর পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে এসময় উপস্হিত ছিলেন মুরব্বি হাজি আকলুছ আলী, মাদরাসার শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, হাফিজ আহমদ, হাফিজ হোসাইন আহমদ রাশেল, সংগঠক নাজিম উদ্দিন সহ প্রমুখ।
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে নাসিরের ‘পথের কাঁটা’ এনামুল সর্দার
বিশ্বনাথ :: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নিজ দলের সমর্থন পেয়েছেন। এ পদে অংশ নিতে প্রস্তুত ছিলেন দলের একাধিক নেতা। তবে নাসির উদ্দিন খান দলীয় সমর্থন পাওয়ায় দলীয় নেতারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে গতবারের ন্যায় এবারও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে নাসির উদ্দিনের ‘পথের কাঁটা’ হচ্ছেন অধ্যক্ষ এনামুল হক সর্দার। শিক্ষানুরাগী সর্দার প্রার্থী না হলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতেন সাবেক ছাত্রনেতা নাসির।
আগামী ১৭ অক্টোবর সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক সংগঠন প্রার্থী দিচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান। এ পদে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে মনোনয়ন কেনেন ৫ নেতা। মনোনয়নপ্রাপ্ত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ছাড়াও মনোনয়ন ক্রয় করেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জজকোর্টের পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী ও বর্তমান প্রশাসক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন।
তবে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ছাড়া অন্য ৪ নেতা দলীয় মনোনয়ন জমা দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দিন খানকে বেঁচে নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এমন খবর বাতাসে উড়ছিল। কিন্তু তিনি নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করেন। তিনি এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন না জানিয়ে বলেন- ‘আমি শেখ হাসিনার কর্মী। নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাহিরে যাওয়ার অবকাশ নাই। আমি দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবো। তাকে বিজয়ী করতে সর্ব্বোচ চেষ্টা করবো।’ এমন সিদ্ধান্তের পর নাসির উদ্দিন খানের পথ আরও সুপ্রসন্ন হয়।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নাসির উদ্দিন খান ছাড়া আর কোনো প্রার্থী মনোনয়ন কিনেননি বলে সিলেট জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা জানান। তবে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষানুরাগী ড. এনামুল হক সরদারের পক্ষে মনোনয়নপত্র ক্রয় করা হয়।
যদিও সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিজের অবস্থান জানিয়েছেন ড. এনামুল হক সরদার। তিনি বলেছিলেন- ‘নির্বাচন করার একান্ত ইচ্ছা ছিলো না আমরা। কিন্তু গতবার নির্বাচন করায় অনেক জনপ্রতিনিধি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। তাঁদের অনুরোধে আমি প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো।’
তবে গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার পর্যন্ত তার আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তার সিদ্ধান্ত জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অনেকেই মনে করছেন- এনামুল সর্দার প্রয়াত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের মতো এবার নাসির উদ্দিন খানেরও ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকলে চেয়ারম্যান পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর না থাকলে নাসির উদ্দিন খান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
সিলেট জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন- সিলেট জেলার ১৩ উপজেলার ১ হাজার ৪৬৫ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে ১ হাজার ১২২ জন পুরুষ ও ৩৪৩ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন।
তফসিল অনুযায়ী- আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর। আপিল ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর ও প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৬ সেপ্টেম্বর।