মঙ্গলবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » স্ত্রী-সন্তানদের তাড়িয়ে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে বিয়ের পিড়িতে টিটল
স্ত্রী-সন্তানদের তাড়িয়ে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে বিয়ের পিড়িতে টিটল
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের নাজমা আক্তার। ১১ বছর বয়সী সিয়াম মাহমুদ জিম ও ৫ বছর বয়সী ছেলে আব্রাহাম সাদকে নিয়ে ঘুরছেন পথে পথে। সন্তানদের ও নিজের অধিকার ফিরে পেতে অসহায়ের মত মানুষের কাছে ঘুরে ফিরছেন। সম্মুখীন হচ্ছে নানা বাঁধার। লম্পট স্বামী ফায়ার সার্ভিসের কর্মরত আকাশ মাহমুদ টিটল পদে পদে হেনস্থাসহ হুমকি দিচ্ছেন। জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর পুর্বে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বেথলী গ্রামের হারেজ উদ্দিন মোল্লা ছেলে আকাশ মাহমুদ টিটলের সাথে পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নাজমার কোলজুড়ে ২ সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর সুখেই চলছিল তাদের সংসাদ। কিন্তু কয়েক বছর আগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসে চাকুরী নেয় আকাশ মাহমুদ টিটল। চাকুরীর সুবাদে বাইরে থাকায় একাধিক নারীর সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় নাজমার উপর অত্যাচার। কারণে অকারণে গালি-গালাজ আর বাড়িতে এসে শুরু করে মারধর। নানা অত্যাচার সহ্য করেও ২ ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শ^শুড় বাড়িতে ছিলো নাজমা। মারধর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে যৌতুক দাবি করে অর্থলোভী, নারীলোভী টিটল। নাজমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চরম নির্যাতন শুরু করে টিটল। নাজমা সেখান থেকে না এলে তাকে তালাক দেয় টিটল। ছেলেদের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয় সে। ডিভোর্জ লেটারে স্বাক্ষর না করেও স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি চলে যায় নাজমা। নাজমা চলে আসার পর টিটল পরকীয়া প্রেমিকাকে বাড়ি নিয়ে এসেছে। ভুক্তভোগী নাজমা বলেন, আমার বিয়ের আগেও টিটলের চরিত্র খারাপ ছিল। তার আগেও একটি বউ ছিল। অন্যনারীদের সাথে কথা বলার জন্য আগের বউ গর্ভাবস্তায় বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এখন আবার আমাকে তালাক দিচ্ছে। আমার ২ ছেলের কথা চিন্তা না করে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এখন কি করব। আমার সন্তানদের নিয়ে কোথায় উঠব। আমি আদালতে মামলা ও ফায়ার সার্ভিসের হেড অফিসে অভিযোগ দিয়েছি। এখনও কোন প্রতিকার পাইনি। আমি আমার সন্তানদের ও আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আকাশ মাহমুদ টিটল বলেন, আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। পারিবারিক নানা ঝামেলার কারণে তাকে ডিভোর্স দিয়েছি।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে বাচ্চা চুরির সময় হাতেনাতে আটক নারী চোর
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির সময় এক নারীকে হাতেনাতে আটক করেছে জনতা। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত খাদিজা খাতুনের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাড়ী বাথান গ্রামে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল সূত্রে জান গেছে, সোমবার দুপুরে জেলার শৈলকুপা উপজেলার পুটিমারি গ্রামের রাসেল হোসেনের ৫ দিন বয়সী কন্যা শিশুকে ছাড়পত্র দেয় চিকিৎসক। পরিবারের লোকজন বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় খাদিজা খাতুন নামের এক নারী শিশুটিকে কৌশলে কোলে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ৫ম তলা থেকে লিফটে নিচে এলে শিশুটির পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা তার কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নারীকে পুলিশে সোপর্দ করে। ঝিনাইদহ সদর থানা ওসি শেখ মোঃ সোহেল রানা জানান, ঘটনা জানার পর সদর হাসপাতালে গেলে কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে খাদিজা খাতুনকে আটক করে নিয়ে আসি। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আশুলিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ঝিনাইদহের যুবক অস্ত্রসহ ধরা
ঝিনাইদহ :: ঢাকা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে আশুলিয়ায় প্রাইভেটকার নিয়ে ডাকাতির প্রস্ততিকালে দেশিয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এ সময় তল্লাশি করে প্রাইভেটকারে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত রামদাসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানার প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ঢাকায় আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে ভোরে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কবরস্থান রোডের বিপরীত পাশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন-ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার সুবনাপুর গ্রামের মো. আকতার হোসেনের ছেলে মো. সাজু (১৯), নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার কাকিনা চাপানি গ্রামের মো. আরশাদ হক-এর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান সম্রাট (১৮), ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার সিগারপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে জাহারুল ও ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. নাঈম। তারা বর্তমানে আশুলিয়ার ইসলামনগর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া থাকে। পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইপাইলের দিকে টহলরত অবস্থায় আসার পথে ডেন্ডাবর কবরস্থান রোডের বিপরীতে আল মদিনা বিরানী হাউজের হোটেলের সামনে একদল ডাকাত চলন্ত যানবাহন গতিরোধ করে ডাকাতির প্রস্তুতির নেয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে একটি নিল রংয়ের প্রাইভেটকার। অভিযান চালিয়ে তাদের ৪ জন গ্রেপ্তার করা হয়। পালিয়ে যায় একজন। তাদের ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটাকারসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। মুলত মহাসড়কে যানবাহনসহ পথচারীদের টার্গেট করে সুযোগ বুঝে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে সব লুটে নেয় তারা। তাদের পিছনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। সেই প্রভাবশালীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া যে প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে, সেটার মালিকের পরিচয় পেতে কাজগপত্র যাছাই করা হচ্ছে।