মঙ্গলবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » দেশি প্রজাতি মাছ সঙ্কটে আত্রাইয়ের শুঁটকি চাতাল
দেশি প্রজাতি মাছ সঙ্কটে আত্রাইয়ের শুঁটকি চাতাল
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: উত্তর জনপদের মৎস্য ভান্ডার খ্যাতনওগাঁর আত্রাইয়ে দেশি প্রজাতি মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে শুঁটকির ভরা মৌসুমেও শুঁটকি তৈরিতে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। এই পেশার সাথে জড়িতদের জীবন ও জীবিকায় পড়েছে বিরুপ প্রভাব। সবমিলিয়ে ভালো নেই আত্রাইয়ের শুঁটকিপল্লী।
অবৈধভাবে মৎস্য আহরণের ফলে ক্রমেই কমতে শুরু করেছে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংখ্যা। মৌসুমের শুরুতেই শুঁটকি তৈরির জন্য সাজ-সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হলেও মাছের অভাবে সেগুলো এখন মাছ শূন্য ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অন্যান্য বারের মত এবারে এলাকায় তেমন বন্যা না হওয়ায় নদী ও খাল বিলের পানি কমে যাওয়ায় যে সময় দেশি মাছে বাজার সয়লাব থাকার কথা সে সময় দেখা মিলছে না দেশি মাছের। ফলে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।
আত্রাই উপজেলায় প্রতিবছর প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হয়। আষাঢ়-শ্রাবণ মাস থেকে শুঁটকি তৈরি শুরু হয়, চলে পৌষ-মাঘ মাস পর্যন্ত। এসময় টা ব্যস্ত সময় পার করেন শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। শুঁটকি তৈরি ও বাজারজাত করে যে আয় হয় তা দিয়ে সারাবছর চলে যায় ব্যবসায়ীদের।
আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া গ্রামটি মূলত শুঁটকির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এছাড়া আত্রাই আহসানগঞ্জ রেললাইনের দুইপাশে ও কেডিসি সংলগ্ন এলাকায় মাচাতে শুঁটকি মাছ শুকানো হতো। কিন্তু এ বছর মাছের অভাবে অনেক মাচা ফাঁকা পড়ে আছে।
সরেজমিনে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের উত্তরের জেলা সৈয়দপুর, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, জামালপুর ও ঢাকায় সরবরাহ হয় নওগাঁর আত্রাইয়ের শুঁটকি। তবে প্রধান বাজার ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য। এই শুঁটকি প্রথমে সৈয়দপুর যায়। এরপর সেখান থেকে ট্রেনযোগে রপ্তানি করা হয় ভারতে। তবে গতবছর বন্যা না হওয়ায় এবং খাল-বিলের পানি শুকিয়ে আসায় দেশীয় মাছে উৎপাদন কমে গেছে। এতে শুঁটকি উৎপাদন নিয়ে হতাশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুঁটকি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় পুঁটি, টাকি ও খলিসা মাছ। এক মণ পুঁটি শুকিয়ে ১৫ কেজি, চার মণ টাকি থেকে এক মণ এবং তিন মণ খলিসা মাছ শুকিয়ে এক মণ শুঁটকি হয়। বর্তমানে শুঁটকি ছোট পুঁটি ১৫০ টাকা, বড় পুঁটি ৪০০ টাকা, টাকি ৪০০-৪৫০ টাকা এবং খলিসা ২০০-২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবারে বন্যা না হওয়ায় নদী ও খাল-বিল প্রায় পানি শূন্য হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে দেশীয় প্রজাতি মাছের তীব্র সংকট। ফলে বাজারে মাছ কম কিন্তু মূল্য বেশি হওয়ায় শুঁটকি তৈরিতে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মনে নেই আনন্দ। তাদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা।
ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী মঞ্জুর মোল্লা, উসমান শেখ, আব্দুস ছাত্তার সরদার, মোজাহার মোল্লা, নাফিকুল সরদার বলেন, শুঁটকি ব্যবসার সাথে আমরা দীর্ঘদিন থেকে সম্পৃক্ত। শুঁটকি তৈরিতে অর্থ খরচের সাথে সাথে যথেষ্ট শ্রম ব্যয় হয়। সর্বপোরি রোদ- বৃষ্টি ও মাছের দুর্গন্ধ সবকিছুকে উপেক্ষা করে পরিবার পরিজন নিয়ে এ পেশা চালিয়ে আসছি। পুঁটি, খোলসানী, চাঁন্দা, রাইখর, সাটিসহ বিভিন্ন জাতের দেশি মাছের শুঁটকি আমরা তৈরি করি। এর মধ্যে বিশেষ করে পুঁটি ও সাটি মাছের শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এবারে মাছ কম কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। অনেকে শুঁটতি তৈরির সাজসরঞ্জাম তৈরি করলেও মাছ অভাবে সেগুলো পড়ে রয়েছে। এবারে ব্যবসা মন্দা হওয়ায় সারা বছর পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা কিভাবে চলবো তা নিয়ে আমরা চরম উদ্বিগ্ন রয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, শুঁটকির সঙ্গে জড়িতদের স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শুঁটকি তৈরিতে গত বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে অবৈধ মৎস্য আহরণ ও মা মাছ শিকার থেকে জেলেদের বিরত থাকতে হবে।
আত্রাইয়ে অবৈধ সিসা তৈরির কারখানায় অভিযান: দুই লক্ষ টাকা জরিমানা
আত্রাই:: নওগাঁর আত্রাইয়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সিসা তৈরির কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধায় নওগাঁ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ও আত্রাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আদালত সুত্র জানায়, আত্রাই উপজেলার কচুয়া এলাকায় রাস্তার পার্শে¦ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কারখানায় ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরি হচ্ছিল। এতে ওই এলাকায় পরিবেশ দূুষিত হয়ে গাছ-পালা, গরু মারা যাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধায় নওগাঁ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক উত্তম কুমার ও আত্রাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. অনিক ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কারখানার ম্যানেজার কবির হোসেন (২৩) কে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. অনিক ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং আগামী ১০দিনের মধ্যে কারখানা অপসারনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আত্রাইয়ে চার্জার ভ্যানের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
আত্রাই :: নওগাঁর আত্রাইয়ে চার্জার ভ্যানের ধাক্কায় রিফাত (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাহেবগঞ্জ ওসমানের কাঠের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিফাত উপজেলার জয়সাড়া গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক হেলালের ছেলে। সে উপজেলার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের প্লে শ্রেণীর ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু রিফাত তার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য সড়ক পারাপারের সময় একটি চার্জার ভ্যানের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে যায়। এবং সে গুরুত্বর আহত হয়। সাথে সাথে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রাজশাহী নেয়ার পথে দুর্গাপুর নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়। আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তারেকুর রহমান সরকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আত্রাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাস্তার জলাবদ্ধতা নিরসন
আত্রাই :: নওগাঁর আত্রাই-পোরাখালি রাস্তার খনজোর গ্রামের মাঝে দীর্ঘ ৫-৬ বছর যাবৎ জমে থাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতার নিরসন হয়েছে। সম্প্রতি দৈনিক আমাদের নতুন সময়, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক অধিকার, পদ্মা টাইমস্সহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে খনজোর গ্রামে রাস্তার জলাবদ্ধতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পাকা করনের পর থেকে এ রাস্তা দিয়ে আশে-পাশের ১৫/১৬ টি গ্রামের মানুষ উপজেলায় আসা-যাওয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা নলডাঙ্গার খাজুরা বাজার হয়ে নাটোর জেলা শহরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করে থাকেন। একারনে রাস্তার গুরুত্ব বিবেচনা করে সংবাদটি আমনে নিয়ে সমাধানের লক্ষে কাজ শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, বর্তমান সরকার বছর ছয়েক আগে আত্রাই সদর থেকে এর শেষ সীমানা নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা পাকা করণ করেন। সেসময় খনজোর গ্রামের মাঝে রাস্তা সংলগ্ন বাড়ীর পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হয়। ড্রেনের পানি ওই গ্রামে বসবাসরত মানুষের যাইগা দিয়ে নামানোর ব্যবস্থা করলে সেসময় কেহ আপত্তি তোলেননি। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে তাদের ইগোর কারনে মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে পানি নিস্কাশনের দুই মাথা বন্ধ করে দেন। এতে বাড়ী ও রাস্তার মাটি পরে পুরো ড্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আর বন্ধ ড্রেনের মাটি পরিস্কার না করায় পানি আবদ্ধ হয়ে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের খনজোর গ্রামে রাস্তা সংলগ্ন বসবাসরত বাড়ীর মালিকগন নিজ নিজ সীমানায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ড্রেনের মাটি পরিস্কার করছেন। বাড়ীতে যাতা-য়াতের সিঁড়ি ভেঙ্গে ড্রেনের মাটি উঠিয়ে ফেলায় সহজেই সেখানকার পানি নিস্কাশন হয়ে যাচ্ছে। একারনে রাস্তায় আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আয়জ উদ্দিন জানান, ইগোর কারনে আমাদের দীর্ঘ দিন অল্প বৃষ্টিতে বাড়ী থেকে বাহিরে যাওয়া আসা করতে পানি ভেঙ্গে দুর্বোগ পোহাতে হয়েছে। এসিল্যান্ড স্যার আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন। রাস্তার পানি নদী পর্যন্ত ড্রেন বৃদ্ধি করে সেখানে নামানোর অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে গ্রাম প্রধান নুরুল ইসলাম ভান্ডারি জানান, রাস্তার জলাবদ্ধতা নিরসন কল্পে গ্রামবাসী গ্রামে ও থানায় বসে তাদের দীর্ঘ দিন ধরে চলাচলের কষ্ট নিবারন করতে পারেননি। প্রশাসন ও চেয়ারম্যান সমাধান করে দিয়েছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। সেইসাথে নদী পর্যন্ত ড্রেন বৃদ্ধি করে ড্রেনের পানি মানুষের যাইগা দিয়ে না নামিয়ে নদীতে নামানোর দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য মুকুল হোসেন জানান, এ এলাকার মানুষ আত্রাই এবং পার্শ্ববর্তী নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা বাজার হয়ে নাটোর জেলা সদরে অত্যন্ত কষ্টে চলাচল করতেন। মানুষের দীর্ঘ দিনের কষ্টের সমাধান হওয়ায় এসিল্যান্ড স্যার ও চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানাই। সেইসাথে ড্রেনের পানি নদীতে নামানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে পাঁচুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে খনজোর গ্রামের মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করি। নামাজের পূর্বে রাস্তা সংলগ্ন বাড়ীর মালিকদের বাড়ীর সামনে ড্রেন পরিস্কার করতে আহবান জানাই। এতে কারো কোন সাড়া না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম স্যারের শরনাপন্ন হই। তিনি আমাকে এসিল্যান্ড স্যারের সাথে পরামর্শ্ব করতে বলেন। এরপর এসিল্যান্ড স্যারের পরামর্শ্বক্রমে ওই গ্রামের ১২ জনের নামে নোটিশ দিয়ে যৌথ ভাবে অগ্রসর হয়ে জলাবদ্ধতা নিরশনের পথে এগিয়ে যাই।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে জানার পর পাঁচুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মুখে শুনে কয়েক জনের নামে নোটিশ করতে বলি। দিন ধার্য করে চেয়ারম্যান ১২ জনের নামে নোটিশ দিলে চেয়ারম্যানসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরিদর্শনকালে পত্রিকা ও এলাকাবাসীর অভিযোগের সত্যতা পাই। এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ওই গ্রামের আবুল হোসেনকে ২ হাজার, আয়জ উদ্দিনকে ৫ হাজার ও আক্কাছ উদ্দিনকে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড করি। সেইসাথে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে রাস্তা থেকে ড্রেনের মুখ বন্ধ করে বাড়ীতে যাওয়া আসার সিঁড়ি ভেঙ্গে বন্ধ ড্রেন পরিস্কার করার নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশনা মেনে বাড়ী মালিকগন নিজ নিজ অংশে ড্রেনের মাটি উঠিয়ে বাড়ীতে আশা যাওয়ার সিঁড়ি ভেঙ্গে জলাবদ্ধতা নিস্কাশনে এগিয়ে আসেন।