বৃহস্পতিবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » একই পরিবারে সরকারী তিনটি ঘর নিয়ে হৈ চৈ
একই পরিবারে সরকারী তিনটি ঘর নিয়ে হৈ চৈ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর গ্রামে “জমি আছে ঘর নাই” প্রকল্পের বাড়ি ভেঙ্গে ফ্লাটবাড়ি তৈরী করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমেধ্য ঘরে ছাদ দেওয়ার কাজ চলছে। এই প্রকল্পের ঘর ভাঙ্গার কোন বিধান না থাকলেও ঘরের মালিক সুমি হালদার ঘর ভেঙ্গে ছাদের বাড়ি করছেন। অভিযোগ উঠেছে একই পরিবারের তিন সদস্য পেয়েছেন দুর্যোগ সহনীয় প্রকল্পের “জমি আছে ঘর নাই” প্রকল্পের বাড়ি। তৎকালীন কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনেকটা সেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এই ঘর বরাদ্দ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ৫/৬ বছর আগে কোটচাঁপুরের সাবদারপুর গ্রামের শ্রী নারায়ন হালদার, তার ছোট ছেলে বাসুদেব হালদার ও বড় ছেলে প্রহল্লাদ হালদারের স্ত্রী সুমি হালদারের নামে “জমি আছে ঘর নাই” প্রকল্পের বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। নারায়ন হালদারের বড় ছেলে প্রহল্লাদ হালদার কোটচাঁদপুর ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত থাকায় প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে নিজের পরিবারের তিন সদস্যের নামে তিনটি ঘর বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন বলে এলাকাবাসি মনে করেন। এখন অনুমতি ব্যতিত সেই বাড়ি ভেঙ্গে নিজের ইচ্ছামতো ছাদের বাড়ি তৈরী করছেন। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন একই পরিবারে এই প্রকল্পের ঘর দেওয়ার বিধান নেই। যদি কেউ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন তবে অনিয়মের মাধ্যমে করেছেন। কোটচাঁদপুর ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত প্রহল্লাদ হালদার জানান, আমার পরিবারের তিন সদস্য ঘর পেয়েছে এটা সত্য। তবে ঘরগুলো ছিল কাঠের, তাই ঘুন পোকা লেগে নষ্ট হয়ে গেছিল। আমার স্ত্রীর নামে বরাদ্দকৃত ঘরটি ভেঙ্গে তাই ছাদ দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এই ঘর ভেঙ্গে যে নতুন কর করা যাবে না তা নীতিমালায় নেই। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওয়ালীউল্লাহ জানান, এই প্রকল্পের সঙ্গে আমার অফিসের সংশ্লিষ্ট নেই। কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভুমি) দপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে, তারাই ভালো বলতে পারবেন। সাবদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর মান্নান বলেন, আমার আগের চেয়ারম্যানের সময় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আইন মোতাবেক “জমি আছে ঘর নাই” প্রকল্পের বাড়ি একই পরিবারের তিন সদস্য পেতে পারে না। কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। আগের কর্মকর্তা কি করেছেন আমার জানা নেই। তবে একই পরিবারের তিন সদস্যকে ঘর দেয়ার বিধান আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন প্রকল্পের ফাইল তলব করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঝিনাইদহে নানা আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালিত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে নানা আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সহ-সভাপতি এ্যাড. আজিজুর রহমান, তৈয়ব আলী জোয়ার্দ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের দূরদর্শিতার সুফল পাচ্ছে ছাত্রসমাজ। অন্যদিকে জাতীয় রাজনীতিতে তার দর্শন দেশকে নিয়ে গেছে উন্নয়নের মহাসড়কে। আলোচনা সভা থেকে বক্তারা, দুর্যোগকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপের ভূষসী প্রসংসা করেন। আলোচনা সভা শেষে প্রানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী তথ্য অধিকার মেলা শুরু
ঝিনাইদহ :: ‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী তথ্য অধিকার মেলা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সনাকের আয়োজনে বুধবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা। উদ্বোধন শেষে সেখান থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে পুরাতন ডিসি কোর্ট মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) এর সভাপতি সায়েদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ সেখ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাকের সহ-সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম সাইফুল মাবুদ। সঞ্চালনা করেন সাবেক উপাধ্যক্ষ এন এম শাহজালাল। আলোচনা সভায় বক্তারা, তথ্যের অবাধ প্রবাহের নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শণ করা হয়। ২ দিন ব্যাপী এ তথ্য মেলায় সরকারি ও বেসরকারি ২৯ টি দপ্তর স্টল প্রদর্শণ করেছে।