রবিবার ● ২ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » হিন্দু পরিবারকে লাঞ্চিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
হিন্দু পরিবারকে লাঞ্চিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হোগলাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল ইসলাম ফরিদ কর্তৃক একটি হিন্দু পরিবারকে লাঞ্চিতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয়রা।
শনিবার বিকেলে কিসমত বৌলপুর গ্রামে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভায় কান্নাজড়িত কন্ঠে কৃষক বিপুল শিকদার বলেন, সকাল ১০টার দিকে পারিবারিক জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধে তিনি আদালতে বাদি হয়ে ১৪৪ ধারা নিশেধাজ্ঞা একটি মামলা করলে নোটিশ জারি করতে এলে পুলিশের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম ফরিদ তার ওপর চড়াও হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ চলে যাওয়ার পরে ৩টি মোটরসাইকেল যোগে তার বসতবাড়িতে এসে তাকে অশ্লীন ভাষায় গালমন্দ করে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এ ঘটনায় তার ভাইয়ের স্ত্রী বেবী রানি শিকদার প্রতিবাদ করলে তাকেও লাঞ্চিত করে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দিয়ে চলে যান। তাৎক্ষনিক তার ডাকচিৎকারে পাশের লোকজন এসে বিষয়টি শুনতে পান। এ ঘটনার পরপরই এলাকার স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিকে ভুক্তভোগী বিপুল তাৎক্ষনিক বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য, থানা ওসিসহ বিভিন্ন মহলে মোবাইল ফোনে অবহিত করেছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন বিপুল।
এলাকায় প্রতিবাদকারি জোহর আলী খা, জীবন শিকদার, তপন কুমার শিকদার, সাবিত্রী রানী মল্লিক, বিউটি মালঙ্গী, লক্ষি রানী শিকদারসহ একাধিক পরিবারের সদস্যরা চেয়ারম্যানের আচারনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানিয়েছেন উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম নান্না বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি এ ধরনের আচারনে আমাদের মর্মাহত করে। দলীয় সমর্থনেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে এরা। হিন্দু পরিবারকে লাঞ্চিতের ঘটনারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল ইসলাম ফরিদ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, বিপুল শিকদারের ভাগ্নে অরবিন্দু সোমাদ্দার জমি বিরোধে পরিষদে একটি অভিযোগ দিয়েছে। উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছিলো। তিনি ওই বাড়িতে যাননি, কাউকে লাঞ্চিতও করেননি। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আসছে।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, কিছমত বৌলপুর গ্রামে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা ১৪৪ ধারা নোটিশ জারি করা হয়েছে। তবে, বিপুল শিকদারকে লাঞ্চিতের বিষয়টি তিনি জেনে তাৎক্ষনিক ওই পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাননি।