মঙ্গলবার ● ১৮ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ফলোআপ : লামাকাজীর সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার-২৭
ফলোআপ : লামাকাজীর সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার-২৭
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সেতুর টোল ফাঁকি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজীতে রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে ‘মির্জারগাঁও ও পাঁচগাঁও (সাঙ্গিরাই, মোল্লারগাঁও, কেশবপুর, কাজিরগাঁও, দোকানীপাড়া) গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ৩ শতাধিক লোককে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ। মামলা নং ৮ (তাং ১৭.১০.২২ইং)।
সংঘর্ষে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম, এসআই বিনয় চক্রবর্তী, মামুনুর রশীদ, জয়ন্ত সরকারসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলাটি দায়ের করা হয়। থানার এসআই বিনয় চক্রবর্তী বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করবেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম। এদিকে সংঘর্ষের পর রোববার রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ উভয় পক্ষের ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের পুত্র গোলাম মওলা (৪২), মৃত শমর আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম বাবলু মিয়া (৩৭), আব্দুল মতিনের পুত্র আব্দুস সহিদ (৩৫), আলা উদ্দিনের পুত্র আরিফ উদ্দিন (৩২), ফরিদ উদ্দিনের পুত্র আলী আহমদ (৩৫), হেলাল মিয়ার পুত্র শফিল মিয়া (৩২), মইজ উদ্দিনের পুত্র সুমেল আহমদ (২২), রায়হান উদ্দিনের পুত্র হোসাইন (২০), মৃত বিলাল উদ্দিনের পুত্র হাফিজুর রহমান (২৬), মৃত ফারুক আহমদের পুত্র শাকরান আহমদ (২০), শাহনুর মিয়ার পুত্র জাহেদ মিয়া (২৫), জয়নাল আবেদীনের পুত্র জুনেদ আহমদ (১৯), মৃত জরিফ উদ্দিনের পুত্র আবুল খয়ের (৩৫), আব্দুল হকের পুত্র সালেহ আহমদ (৪০), উবায়দুর রহমান শামীমের পুত্র মাহবুব হাসান জুবায়ের (২২), মনু মিয়ার পুত্র শাহীন মিয়া (২৩), মৃত জয়নুল হকের পুত্র কালা মিয়া (৪৫), মৃত আছমত আলীর পুত্র আশিদুল হক (৩০), মরম আলী পুত্র হেলাল হোসেন (২৭), মৃত আসর আলীর পুত্র ইসলাম উদ্দিন (৩২), লামাকাজী গ্রামের রেজু মিয়ার পুত্র নজির মিয়া (১৮), গোলাম মোস্তফার পুত্র ইকবাল হোসেন (২৪), কেশবপুর গ্রামের মৃত আজর আলীর পুত্র এ কে এম দুলাল (৪৯), দোকানী পাড়া গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র আব্দুল হক, কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র সমুজ আলী (৩০), মৃত তাহের আলীর পুত্র ইমরান আহমেদ (১৯), মৃত রইছ আলীর পুত্র ফয়জুল ইসলাম (৩৫)।
এঘটনায় পুলিশের অ্যাসল্ট মামলা দায়ের ও উভয় পক্ষের ২৭ জনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৯টায় সিলেটের জালালাবাদ থানার জাঙ্গাইল গ্রামের এক সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক লামাকাজী সেতুর টোল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে টোল আদায়ে থাকা লোকজন থামিয়ে তার কাছ থেকে টোল আদায় করেন। এসময় ওই ব্যক্তির সাথে টোল আদায়কারী লোকদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে টোল ফাঁকি দেওয়া সিএনজি চালকের পক্ষ নিয়ে মির্জারগাঁও গ্রামবাসী এবং টোল আদায়কারীদের পক্ষ নিয়ে পাঁচগাঁও (সাঙ্গিরাই, দোকানীপাড়া, কাজিরগাঁও, কেশবপুর ও মোল্লারগাঁও) গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এসময় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সিলেট মেট্রো পলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার পুলিশ দল ও দাঙা পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে সহায়তা করে।
৭ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ। সংঘর্ষ চলাকালে লামাকাজী বাজারের প্রায় শতাধিক দোকানপাঠ, দুটি ব্যাংক ভাংচুর ও লুটপাট এবং প্রায় ২০টি যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রায় ৩ ঘন্টা পর সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিশ্বনাথে আহত ওসির গাজী আতাউর রহমানের শয্যাপাশে শফিক চৌধুরী
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজীতে সেতুর টোল ফাঁকি দেওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে ‘মির্জারগাঁও ও পাঁচগাঁও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আহত হওয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমানের খোঁজ-খবর নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে শফিক চৌধুরী দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ওসি গাজী আতাউর রহমানকে দেখতে থানায় যান। এসময় আহত ওসির চিকিৎসা ও বর্তমান শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
এরপর এক প্রতিক্রিয়ার শফিক চৌধুরী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। এঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের দ্রæত আইনের আওতায় আনা উচিত এবং নিরীহ কোন লোক যাতে হয়রানীর শিকার না হন আমাদের সবাইকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া রোববার রাতেই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হল লামাকাজীতে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা কত জরুরী।
সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য হলেন যাঁরা
বিশ্বনাথ ::সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো উত্তাপহীন জেলা পরিষদ নির্বাচন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্রতি উপজেলার নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করেন জনপ্রতিনিধিরা। ভোটগণনা শেষে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সাধারণ সদস্য পদে সিলেট জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডে (সদর উপজেলা) মাওলানা মো. মুছাদ্দিক আহমদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
২ নং ওয়ার্ডে (দক্ষিণ সুরমা উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি হাতি প্রতীকে ৭০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মকবুল হোসেন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১০টি ভোট।
৩ নং ওয়ার্ডে (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ হাসান চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৩৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিদুর রহমান রুমান তালা প্রতীক নিয়ে ২৮টি ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও আরেক প্রার্থী আবদুল আউয়াল কয়েস হাতি মার্কায় পেয়েছেন ২৪টি ভোট।
৪ নং ওয়ার্ডে (বালাগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে লড়াই করে মো. নাসির উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।
৫ নং ওয়ার্ডে (ওসমানীনগর উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হামিদ সিএনজি অটোরিকশা প্রতীকে ৪৩টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
৬ নং ওয়ার্ডে (বিশ্বনাথ) উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ ৭০টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সহল আল রাজি চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১টি ভোট।
৭ নং ওয়ার্ডে (গোলাপগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফয়জুল ইসলাম ফয়ছল বৈদ্যুতিক পাখা মার্কায় ৬৯টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম. মুজিবুর রহমান মুজিব তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১টি, সমাজসেবী মো. ফজলুর রহমান জসিম ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২৮টি ও আওয়ামী লীগ নেতা স্যায়িদ আহমদ সুহেদ অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ২৫টি ভোট।
৮ নং ওয়ার্ডে (বিয়ানীবাজার উপজেলা) খসরুল হক খসরু উট পাখি প্রতীকে ৪৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
৯ নং ওয়ার্ডে (জৈন্তাপুর উপজেলা) মোহাম্মদ শাহজাহান টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৬টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে মো. মুহিবুল হক তালা প্রতীকে ৪৯টি ও মোহাম্মদ নুরুল আমিন অটোরিকশা প্রতীকে ১২টি ভোট পেয়েছেন।
১০ নং ওয়ার্ডে (গোয়াইনঘাট উপজেলা) সুবাস দাস হাতি প্রতীক নিয়ে বিজয় লাভ করেছেন।
১১ নং ওয়ার্ড (কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের আংশিক) আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব আলী কালা মিয়া অটোরিকশা প্রতীকে ৭২টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬টি ভোট।
১২ নং ওয়ার্ডে (কানাইঘাট উপজেলা ও জকিগঞ্জের আংশিক) আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ বিজয়ী হয়েছেন।
১৩ নং ওয়ার্ডে (জকিগঞ্জ উপজেলা) ইফজাল আহমদ চৌধুরী টিউবওয়েল প্রতীকে ৬৫টি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতের মধ্যে মোহাম্মদ শামীম আহমদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৪৯টি ও আবদুর রহমান তালা প্রতীকে ৩টি ভোট পেয়েছেন।
সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য নির্বাচিত হলেন যারা- ১নং মাতুজ জাহুরা রওশন জেবীন (রুবা), ২ নং সুষমা সুলতানা রুহি ৩নং হাসিনা বেগম, ৪নং তামান্না আক্তার হেনা, ১২ ও ১৩ নং মনিজা বেগম।
উল্লেখ্য, সিলেটে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করেন জনপ্রতিনিধিরা।
সিলেটে এবার ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড মিলিয়ে সদস্য প্রার্থী ছিলেন ৬৪ জন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৭ জন। এবার সিলেটে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। ফলে নির্বাচনের আগেই তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এবার ইভিএম তথা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ছিলো সিসি ক্যামেরা। ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে অ্যাডভোকেট গিয়াস বিজয়ী
বিশ্বনাথ :: সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬নং (বিশ্বনাথ উপজেলা) ওয়ার্ডে তালা প্রতীক নিয়ে ৭০টি ভোট পেয়ে সদস্য পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ। তার একমাত্র প্রতিদ্ব››দ্বী প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জাতীয় পার্টি নেতা সহল আল রাজী চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১টি ভোট।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৌর শহরের রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ডের ১০৬ জন ভোটারের মধ্যে ১০১ জন ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গ্রহন শেষে বিকেল আড়াইটার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।
এছাড়া ওই ভোট কেন্দ্রে ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রতিদ্ব››দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আফিয়া বেগম হরিণ প্রতিকে ৪৩টি, সুষমা সুলতানা রুহি দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩৯টি শামীমা আক্তার ঝিনু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ১০টি ও বেগম স্বপ্না শাহীন ফুটবল প্রতীকে ৯টি ভোট পেয়েছেন।
এদিকে ফলাফল ঘোষণার পর পরই তালা প্রতীকে প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিনকে নিয়ে তাৎক্ষনিক মিছিল করেন তার সমর্থকরা।
এসময় সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্যকালে বিজয়ী অ্যাডভোকেট গিয়াস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এ বিজয় বিশ্বনাথবাসীর বিজয়, এ বিজয় দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিজয়। তাই আমি আগামী দিনে সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে বিশ্বনাথকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাব। আর এতে সর্বমহলের দোয়া ও সার্বিক সহযোগীতা প্রয়োজন।
বিশ্বনাথ পৌর নির্বাচনে বৈধতা পেতে ইসি’তে আবেদন করছেন আল-ইসলাহ প্রার্থী ফয়জুল
বিশ্বনাথ :: আগামী ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আঞ্জুমানে আল-ইসলাহ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর আল-ইসলাহ’র সভাপতি ফয়জুল ইসলাম তালুকদারের মনোনয়নপত্র গত ১০ অক্টোবর ‘মনোনয়নপত্রের হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়’ বাতিলের ঘোষণা করেন পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
এর পরদিন (১১ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করলে একই কারণ দেখিয়ে রোববার (১৬ অক্টোবর) আবারও ফয়জুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল হয়। মনোনয়নের বৈধ্যতা চ্যালেঞ্জে এবার তিনি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল ইসলাম। রোববার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের শহীদ গুলজারে আলম দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসা অফিসে স্থানীয় সাংবাদিক সাথে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ফয়জুল ইসলাম বলেন বলেন, ভূলবশত দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের হলফনামায় স্বাক্ষর না করায় আমার মনোনয়নপত্র স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ১৪ (৩) (ক) অনুযায়ী বাতিল হয়। পরে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করলেও আজ রোববার (১৬ অক্টোবর) শুনানী শেষে একই কারণ দেখিয়ে আমার মনোনয়নপত্র আবারও বাতিল ঘোষণা করা হয়। এতে করে আমার সমর্থকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
তাই মনোনয়নের বৈধতা ফিরে পেতে আগামীকাল (১৭ অক্টোবর) সোমবার ঢাকাস্থ নির্বাচন কমিশনে ফের আবেদন করবেন তিনি। সেখানে না পেলে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলেও জানান ফয়জুল ইসলাম।
এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আঞ্জুমানে আল-ইসলাহ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আখতার আলী, সহ সভাপতি আকমল হোসাইন শুকুর, পৌর আল-ইসলাহ’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহজাহান, জেলা তালামিযের সহ সভাপতি ইসলাম উদ্দিন লতিফী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।