মঙ্গলবার ● ১৮ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » নবীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন ভোট সম্পন্ন
নবীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন ভোট সম্পন্ন
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ড নবীগঞ্জে সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
১৭ অক্টোবর সোমবার নবীগঞ্জ হিরা মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ২ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে ১৮৫টি ভোটের মধ্যে ১৮২ টি ভোট প্রয়োগ করা হয়।
সকালে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান,জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী,নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহরিয়ার,সহকারী কমিশনার ভুমি শাহিন দেলোয়ারসহ অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ। হবিগঞ্জ জেলার পরিষদ নির্বাচনের ৩ নং ওয়ার্ডের হিরা মিয়া গার্লস হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনে চেয়ারম্যান,সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল হলোঃ
চেয়ারম্যান পদে ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরি(ঘোড়া মার্কা)- ১৭৪ ভোট, মোঃ নুরুল হক (চশমা মার্কা)- ০৬ ভোট। মোল্লা আবু নঈম মোঃ শিবলী খায়ের(আনারস মার্কা)- ০২ ভোট,
সাধারণ সদস্য পদে মোঃ শফিকুজ্জামান শিপন( টিউবওয়েল মার্কা)- ১০৬ ভোট পেয়ে ৩ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ আব্দুল মতিন আছাব(হাতি মার্কা)- ৭৬ ভোট ও মোঃ আব্দুল মুহিত (অটোরিক্সা মার্কা)- ০০ ভোট।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে (১ নং ওয়ার্ড- নবীগঞ্জ, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জে শিরিনা আখতার(দোয়াত-কলম মার্কা)- ১০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোছাঃ রাহেলা হক(ফুটবল মার্কা)- ৬৯ টি মোছাঃ ফেরদৌস আক্তার ঠাকুর(হরিণ মার্কা) পেয়েছেন ১২ ভোট।
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদে নির্বাচিতদের এমপি’র অভিনন্দন
নবীগঞ্জ :: হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী ও অন্যান্য সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন হবিগঞ্জ ১ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) এমপি।
১৭ অক্টোবর সোমবার নির্বাচন পরবর্তী দুপুরে এক শুভেচ্ছা বার্তায় এমপি মিলাদ গাজী বলেন, স্থানীয় সরকারের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হলো জেলা পরিষদ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যক্ষ ভোটে না হোক পরোক্ষ ভোটেও যে এই জায়গায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করলেন তা দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে আরও মজবুত করে তুলবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণের দায়বদ্ধতা থাকে জনগণের প্রতি। ওই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তাঁদেরকে জনমুখী ভূমিকায় অগ্রণী অবস্থানে থাকতে বাধ্য করে। এই জেলা পরিষদ সামনের দিনগুলোতে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোর সাথে আরেকটি উচ্চতর প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় উন্নয়নে প্রত্যাশিত দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে, দেশের মানুষের এটাই বিশ্বাস। যেকোন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা প্রমাণিত হয় ওই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার উপর। জেলা পরিষদকে সক্ষম প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে সরকারের রয়েছে বিশাল ভূমিকা।
যারা বিজয়ী হয়েছেন এবং যারা বিজয়ী হতে পারেননি তাদের সকলেই একটি ঐতিহাসিক কর্মযজ্ঞের অংশ হয়ে রইলেন। প্রতিদ্বন্দ্বি সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলেই আমরা পাচ্ছি একটি নির্বাচিত পরিষদ। তাই এখানে জয়-পরাজয় সবকিছু পিছনে ফেলে আমরা শুধুই আশাবাদী হতে চাই। জয়ের উচ্ছাস যাতে পরিবে পারিপাশ্বিশকে বিঘ্নিত না করে সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিজয়ীদের। জনগণ সকল জয়-পরাজয়ের নির্ণায়ক শক্তি। সুতরাং জয় কিংবা পরাজয় কোনটাই চিরন্তন নয়। এই অনিশ্চয়তাটুকুই জনপ্রতিনিধিদের সর্বদা গণস্বার্থের অনুকূলে রাখতে সাহায্য করে। জনগণের কাছে নিজেদের মর্যাদার আসন চিরস্থায়ী করতে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা সর্বদাই নিজেদের পরীক্ষার মধ্যে রাখেন। বিজয়ী জেলা পরিষদ জনগণের পরীক্ষায় ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাসিত হবেন। এই প্রত্যাশায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দকে আবারও অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই ।