বুধবার ● ১৯ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » জাতীয় » দেশ ও জাতির প্রতি শেখ রাসেলের সেবার মনোবৃত্তি ছিল অকল্পনীয় : পার্বত্য মন্ত্রী
দেশ ও জাতির প্রতি শেখ রাসেলের সেবার মনোবৃত্তি ছিল অকল্পনীয় : পার্বত্য মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ অক্টোবর :: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, শেখ রাসেলের শিশুকালে ভাবনা ছিল সেনা কর্মকর্তা হওয়ার। দেশপ্রেমের মনোভাব নিয়েই শেখ রাসেল সেনাবাহিনী হতে চেয়েছিল। সেই ১০ বছরেই শিশু রাসেলের দেশ ও জাতির প্রতি যে মমতা ও সেবার মনোবৃত্তি প্রকাশ ঘটেছিল যা ছিল অকল্পনীয়।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে শেখ রাসেল দিবস-এর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব আলেয়া আক্তার, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী, উপসচিব সজল কান্তি বণিক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব এর একান্ত সচিব নুসরাত জাহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরো বলেন, শেখ রাসেল মানে প্রতিটি পরিবারের একজন আদরের ধন। শেখ রাসেল আজ বেঁচে থাকলে জাতীয় জীবনে তিনি একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকতেন। তিনি বরেন, যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত বরণ করেছিল- তারাই সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করতে ঘাতকদের এতটুকু হাত কাপল না। তিনি বলেন, ঐ ঘাতকদের প্রতি আমরা তীব্র নিন্দা জানাই, ঘৃণা জানাই। মন্ত্রী শেখ রাসেল হত্যাকারী ঘাতকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘাতকেরা শেখ রাসেলকে হত্যা করে যে পাপের বোঝা নিয়েছে তা আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা হউক। মন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের মতো কোটি কোটি শেখ রাসেল আধুনিক সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের ভিশন উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মাথা উঁচু করে বীর জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
আলোচনা শেষে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে কেক কাটা হয়।