সোমবার ● ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি
রাউজানে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি
আমির হামজা, রাউজান :: প্রতিবছর শীতের শুরুতে আমাদের দেশে নাম না জানা রংবেরঙের অনেক অতিথি পাখি বেড়াতে আসে। নদী, বিল, জলাশয় ও পুকুরে এসে ভরে যায় এসব পাখিররা। তেমনি চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতি বছরই শীতের সময়ে এই পাখিদের আগমন দেখা যায়। হালদা নদী, ঈসা খাঁ দিঘি, লস্কর দিঘি, পরীর দিঘি, ইউসুফ খাঁ দিঘি, নরসরত বাদশা দিঘি, জল পাইন্ন্যা দিঘি, রায় মুকুট দিঘি, ভিক্ষু ভানুপুর দিঘিসহ বড় আকৃতির জলাশয় গুলোতে এসব পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে জলখেলিতে আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন। এসব পাখিরা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিব্বতের লাদাখ থেকে আমাদের দেশে প্রবেশ করে। সাইবেরিয়া থেকেও এসব পাখি আসে। এরা কিছু দিন থাকার পর আবার ফিরে যায় নিজ দেশে। আগত অতিথি পাখি গুলো অনেক সময় শিকারীর কাছে ধরা পড়ে। এটা ঘোরতর অপরাধ।
রাউজান উপজেলা নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ঈসা খাঁ দিঘিতে ও কদলপুর ইউনিয়নের লস্কর দিঘিতে কয়েক হাজার অতিথি পাখির দেখা গেছে। তাদের কিচিরমিচির শব্দে এই এলাকায় আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। লস্কর দিঘিতে আসা অতিথি পাখি দেখতে দূর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ দেখতে আসেন।
জানা যায়, রাউজানে অতিথি পাখির নিরাপদ অভয়ারণ্যে সৃষ্টি করতে রাউজানের স্থানীয় এমপির কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সেকারণেই রাউজানকে নিরাপদ মনে করেন আগত অতিথি পাখিরা। সেজন্যে রাউজানের প্রতিটি জলাশয়, দিঘি, খাল, বিলে অতিথি পাখির বিচরণ দেখা যায়। নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন সরোয়ার্দী সিকদার জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুমে আমার ইউনিয়নে অবস্থিত ঈসা খাঁ দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আগত অতিথি পাখি গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নোয়াজিষপুর এলাকার সকল মানুষ আন্তরিক ভাবে দেখভাল করে। এই এলাকার মানুষ অতিথি পাখি দেখতে এই দিঘিতে আসে। পাখিদের সাথে ছবি ধারণ করেন। অপরদিকে ঈসা খাঁ দিঘি নানানরকম মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আশ্রিত পাখিদের জলখেলি দেখতে পাখি প্রেমীরা দিঘিতে আসেন বলে স্থানীয়রা জানান।
আমিরাতে রাউজান প্রবাসীর মৃত্যু
রাউজান :: সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাতে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের রাউজানের এক রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর কর্মরত গ্যারেজে কাজ করার সময়ে মেরামত করতে আসা গাড়ির ধাক্কায় প্রবাসী মুহাম্মদ ইকবাল(৪২) নিহত হন। সেই উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের সৌম্যজ্জাহাট এলার ৮নং ওয়ার্ডের কাজী হাবিলদার বাড়ির কাজী এনামুল হকের পুত্র। জানা যায়, নিহত প্রবাসী ইকবাল বিবাহিত জীবনে দুই মেয়ে এক সন্তান রেখে যান। এদিকে তার এমন মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সবাই মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। অন্যদিকে অকালে বাবা হারিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়েছে ৩ অবুঝ সন্তানরা। তার লাশ শারজায় একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব তার লাশ দেশে পাঠানোর ব্যস্ত করেছেন সেখানে বসবাস রত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বাংলাদেশের এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার এমন মৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে শোকে বিরাজ করছে।