মঙ্গলবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথ পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৬৮ লাখ টাকার হিসাব গায়েব
বিশ্বনাথ পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৬৮ লাখ টাকার হিসাব গায়েব
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নে বরাদ্দের ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে ‘উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ খাত’র তৈরি প্রকল্পের ৬৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। এমন মোটা অঙ্কের টাকার হিসাব গায়েবে পৌরবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সদ্য সাবেক পৌর প্রশাসক ও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহানের কাছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও ওই বরাদ্দের তালিকা পাননি এ প্রতিবেদক। বরাদ্দের বাকি ১১ লাখ ৬ হাজার টাকার ব্যয় দেখানো হয়েছে প্রাপ্ত বরাদ্দের মধ্যে দুটি প্রকল্পে।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে ডেঙ্গি মশক নিধন, লার্ভা নাশক ওষুধ সরবরাহকরণ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা এবং তিন লেয়ার কাপড়ের মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় ও বিতরণে দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
এ দুটি প্রকল্পে ১১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয় নিয়েও সহায়ক কমিটির কিছু সদস্যদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। দুটি প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেশিই ধরা হয়েছে বলে তারা মনে করেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফারজানা মান্নানের স্বাক্ষরিত অর্থ অবমুক্তকরণ এক পত্র থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ খাত’, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার’, ‘ডেঙ্গি মশক নিধন’, ‘করোনা’ মোকাবিলা উপখাতে মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
সচিবালয়ের অবমুক্তকরণ এ পত্র পাওয়ার পর প্রথমে মৌখিকভাবে পৌর প্রশাসকের কাছে প্রকল্পসহ ব্যয়ের তালিকা চাওয়া হয়। এতে পৌর প্রশাসক বলেন, তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে। তার কথামতো ২১ নভেম্বর তার বরাবর আবেদন করা হয়।
৩০ নভেম্বর ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘ডেঙ্গি মশক নিধন, লার্ভা নাশক ওষুধ সরবরাহকরণ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা’, ‘তিন লেয়ার কাপড়ের মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় ও বিতরণসহ দুটি প্রকল্পের বরাদ্দ ও ব্যয়ের তালিকা দেন।
কিন্তু রহস্যজনক কারণে তথ্য অধিকার আইনে আবেদনে চাহিদা অনুযায়ী পৌরসভার জন্য ‘উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ খাত’ ও ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা’ খাতের প্রাপ্ত বরাদ্দের প্রকল্প ও ব্যয়ের তালিকা দেননি।
না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আবারও তাদের কছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান।
সিলেটে আলোচিত লেডি চোর পপি আটক
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার থেকে আলোচিত মহিলা চোর চক্রের সদস্য পপিকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
জানা গেছে, এক মাহিলার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে মোবাইল চুরি করতে গিয়ে পপি হাতেনাতে ধরা পড়েন। আটকৃত পপি বেগম হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বিণ্ডন্ডা গ্রামের আব্দুল আউয়ালের স্ত্রী ও নগরীর উপশহর এলাকায় বাসিন্দা।
পপির বিরুদ্ধে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। কখনো ছিনতাই, আবার কখনো মাদক বিক্রি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার। পুলিশ বলছে, পপিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালেও সে জামিনে বেরিয়ে আসে।
বের হয়েই শুরু করে অপরাধ কর্মকাণ্ড। পপি বেগম সিলেট ওসমানী হাসপাতালে এক নামেই পরিচিত। চোর হিসেবে তাকে চেনেন সবাই।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ৯৯৯-এ কল পেয়ে আমদের পুলিশ তাকে আটক করে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ কারী পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেটে রেললাইনে কাটা পড়ে এক নারীর মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার রেললাইনে কাটা পড়ে এক নারীর মৃত্যু ঘটেছে। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর পাশে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত নারীর নাম রুশনা বেগম (৪০)। ওই নারী কিছুটা মানসিক রোগী ছিলো বলে পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে।
সিলেট রেলওয়ে থানা পুলিশ জানায়, রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মোগলাবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর প্রান্ত হরগৌরী গ্রামের পাশে এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাগলা সোনাপাড়ার ছওয়াব আলীর স্ত্রী রুশনা বেগম (৪০)।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রোববার বিকেলে ওই নারী রেল লাইনের পাশে ঘুরাঘুরি করছিলেন। এক পর্যায়ে দেখা যায় ট্রেনটি আসার কিছুক্ষণ পূর্বে ওই নারী একটি ব্যাগ পাশের কলোনীর একজন নারীর দিকে ছুঁড়ে মেরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এসময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা পুলিশকে ঘটনাটি জানালে মোগলাবাজার থানা ও জিআরপি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে সিলেট রেলওয়ে থানার এসআই জয়নুল আবেদিন জানান, ছুড়ে দেওয়া ঐ ব্যাগে একটি মোবাইল নাম্বার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ওই নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় তার আত্মীয়কে ঘটনাটি জানালে তারা এসে লাশ শনাক্ত করেন।
বর্তমানে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্ত করা হবে।