রবিবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » এমপিকে নিয়ে কটুক্তির জের ধরে মারামারি
এমপিকে নিয়ে কটুক্তির জের ধরে মারামারি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কর্তৃক বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ‘সিংগেরকাছ পাবলিক বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ’ গভনিং বডির সভাপতির পদ থেকে আলহাজ্ব আবারক আলীকে বাতিল এবং সভাপতি পদের জন্য নতুন ভাবে নাম প্রস্তাব করার লক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খানকে নিয়ে কটুক্তি করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্যালয় মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খানের ডিওতে আবারক আলীর পদ বাতিল হওয়ার কারণে সভায় তার (আবারক) পক্ষের লোকজন এমপিকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য দিতে থাকলে অপর পক্ষের লোকজন ওই কটুক্তির প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঠা হাতে মুখোমুখী অবস্থান নেন। এরপর থানা পুলিশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার আশংঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সিংগেরকাছ পাবলিক বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ’র অধ্যক্ষ জোবায়ের হোসাইন মজুমদার জানান, চলতি বছরের ৩১ মে এলাকার ১৮৮ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত রেজুলেশনের সিদ্ধান্ত ক্রমে সভাপতি পদে আলহাজ্ব আবারক আলীর নাম চ‚ড়ান্ত করা হয়।
এরপর স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সুপারিশ নেওয়ার জন্য ৯ জুন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উনার বাসার সামনে অপেক্ষা করলে সাক্ষাৎ করতে না পেরে বিধিমতে বোর্ডে জমা দেই।
১৮ সেপ্টেম্বর বোর্ড কর্তৃক উক্ত কমিটিকে চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ৮ আগস্ট স্থানীয় এমপি মহোদয় এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সভাপতি পদে আবারক আলীর মনোনয়ন বাতিল করে বিধি মোতাবেক নতুন ভাবে সভাপতি পদে মনোনয়নের প্রস্তাব প্রেরণের জন্য সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষ নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজকের (২৪ ডিসেম্বর) সাধারণ সভার আয়োজন।
অভিযোগপত্রে স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খান উল্লেখ করেন, সিংগেরকাছ পাবলিক বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ’র গভনিং কমিটি গঠনের ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিধিমতে গভনিং কমিটির সভাপতি নির্ধারণে স্থানীয় এমপির সাথে আলোচনা করতে গেলে তিনি (এমপি) আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকা ও বার বার জেলখাটা আসামী আবারক আলীকে মনোনয়ন না দেওয়ার পরামর্শ দেন।
কিন্তু অজ্ঞাতকারণে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও কতিপয় অসাধুচক্র এমপির পরামর্শকে পাশ কাটিয়ে সভাপতি পদে উক্ত আবারক আলীকে মনোনয়নের অনুমতি নেয়। যা একজন এমপির অধিকার ক্ষুন্ন করেছে এবং গভনিং কমিটি গঠনের নীতিমালা বিরোধী ও স্কুল-কলেজের স্বার্থের পরিপন্থি।
প্রত্যক্ষ দর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাতিল হওয়া সভাপতি পদে পুননির্বাচনের জন্য শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও গভনিং কমিটির সদস্য সচিব জোবায়ের হোসাইন মজুমদারের ডাকা সাধারণ সভা চলাকালে স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খানকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আবারক আলী পক্ষের গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য ও বিএনপি নেতা ফজর উদ্দিন সাগর।
এসময় অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পক্ষে দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ ও সিংগেরকাছ বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আফরোজ আলী সেই কটুক্তির প্রতিবাদ করেন এবং তাকে সালিনতার সাথে বক্তব্য রাখার কথা বলেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে স্কুল মিলনায়তনের সভাস্থলেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামরির ঘটনা ঘটে।
এরপর তুমুল হট্টগোল শুরু হলে থানা পুলিশের এআই সাইফুল মোল্লা ও এএসআই রেদওয়ান আহমদ সভাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ও উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেন। তারপর উভয় পক্ষের লোকজন স্কুলের সামনে পাকা সড়কে লাটিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় প্রচেষ্ঠার লিপ্ত হন।
এসময়ও সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ সদস্যরা উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১১ ডিসেম্বর সভাপতিকে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বাতিল করা হলেও আমরা আজকে তা জানতে পারি। কি কারণে তাকে বাতিল করা হল কিংবা কেন এতো দিন তা লুকিয়ে রাখলেন অধ্যক্ষ তা এলাকাবাসী জানেন না।
এছাড়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কোনো অবস্থাতেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারেন না। স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খানকে না জানিয়ে কাগজপত্রাদি জালিয়াতি করে আবারক আলী গভর্নিং কমিটির সভাপতি হয়ে ছিলেন বলে মন্তব্য করে তিনি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে এর সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেন।
এছাড়া আব্দুল আজিজ ও আফরোজ আলী বলেন, আবারক আলীর অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে কমিটিতে থাকা কেউ কোন প্রতিবাদ করলে, পরবর্তি কমিটিতে তিনি আর থাকতে পারেন না। তাকে যারা জ্বি জ্বি করে একমাত্র তারাই স্থান পায় কমিটিতে। বিগত সময়ে আমরা তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আমরাও কমিটি থেকে বাদ পড়েছি।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রতিষ্ঠানের গভনিং কমিটির সভাপতি আবারক আলীকে বাতিল করার সত্যতা স্বীকার করে সিংগেরকাছ পাবলিক বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ’র অধ্যক্ষ জোবায়ের হোসেন মজুমদার বলেন, বিধিমতেই গভর্নিং বডির কমিটি গঠন করা হয়ে ছিলো। আর সভাপতি পদের জন্য নাম পুনর্র্নিবাচনের জন্য আজকের (শনিবার) সভাটি তার সভাপতিত্বেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাতিল হওয়া সভাপতি আলহাজ্ব আবারক আলী বলেন, পদ বাতিল হওয়ার পর গত ২০ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করে পদ বাতিলের বিষয়টি স্থগিত করেছেন। আর স্থগিতাদেশের ডকুমেন্ট সভা চলাকালীন সময়েই তিনি হাতে পেয়েছেন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ফের সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দে বলেন, উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
বিশ্বনাথে চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি আতংকে সাধারণ মানুষ
বিশ্বনাথ :: প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের বিশ্বনাথে মারাত্বকভাবে দেখা দিছে দিন দিন বাড়ছে চুরি আর ডাকাতি।
এদিকে, দশদল বায়তুল নাজাত জামে মসজিদের দান বক্সের তালা ভেঙ্গে টাকা নিয়ে যায়। গরু ও টিউবওয়েল মসজিদের দান বক্স দোকানঘরসহ চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৪ দিনে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি, গরু ও টিউবওয়েলের পাম্প চুরি হয়েছে। প্রায় প্রতিরাতে উপজেলার কোন না কোন এলাকায় চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধির ফলে মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
পুলিশ প্রশাসনের নিরব ভুমিকার কারণে চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি হয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের ভাটশালা গ্রামের হাজী ফজলুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বরইগাঁও গ্রামের তাজুল ইসলামের ৪টি ও একই গ্রামের মনু মিয়া ১টি গরু গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ৫টি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরি হওয়া ৫টি গরুর মূল্য প্রায় সাড়ে ৩লাখ টাকা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শেখেরগাঁও গ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সৈয়দ আনোয়ার আলী, মো. আব্দুল খালিক, সৈয়দ হাব উল্লাহ, আহমদ আলী, আব্দুল মতিন, নুর ইসলাম গেদাই, এর পূর্বে সোনাফর আলী, জসিম উদ্দিনসহ আরো অনেকের টিউবওয়েলের পাম্প খুলে নিয়ে যায় চুরের দল।
সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, বিশুদ্ধ পান করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা শেখেরগাঁও গ্রামের ৬টি পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে অন্যের বাড়ী থেকে তারা পানি সংগ্রহ করে দিনাদিপাত করছেন। তিনি বলেন, দিনমজুর মানুষগুলোর চিন্তা করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে হিমিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম ইজার আলীর বাড়ীতে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। ডাকাত দল পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ইজার আলী মেম্বারের পরিবারের সদস্যদের ১ভরি সোনা ও রাজন মিয়ার দেড় ভরি সোনা নগদ ৪০ হাজার টাকা, মোবাইল সেটসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
এ ব্যাপারে কথা হলে থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিষয়গুলো আমরা গুরুত্বের সাথে দেখতেছি।
বিশ্বনাথের দশপাইকা আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটি বাতিলের দাবি
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথের দশপাইকা আনোয়ারুল উলুম আলীম মাদ্রাসার এডহক কমিটি বাতিল, অবৈধ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগসহ অন্যান্য আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখা ও নতুন এডহক কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বরএলাকাবাসীর পক্ষে দুই অভিভাবক সদস্য দশপাইকা গ্রামের মৃত মন্তাজ খাঁনের ছেলে সুলতান খাঁন ও মৃত সুন্দর আলীর ছেলে সেলিম খাঁন এই আবেদন করেন। আর জেলা শিক্ষা অফিসার কাছে ১৮ ডিসেম্বর অনুলিপি দেয়া হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ এলাকাবাসীর সাথে আলাপ আলোচনা না করেই কমিটির সভাপতি হিসাবে তাদের নিজের লোক মনোহর আলীর নাম চার বছর আগে গোপনে মাদরাসা বোর্ডে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিলেন।
এর এক মাস পর তিনি ব্রেন স্ট্রোক করলে অধ্যক্ষের সহযোগীতায় তার ছেলে শওকত আলী স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন শুরু করেন। বিষয়টি মাদরাসা বোর্ডকে জানানো বা নতুন সভাপতি নিয়োগের কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি।
গোপনে এক তরফভাবে গঠন করার বিষয়টি প্রকাশ হলে এলাকাবাসী ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর মাদরাসা বোর্ডে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠানো হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে।
তিনি চলতি বছরের ১৬ আগস্ট তার কার্যালয়ে শুনানীর দিন ধার্য করেন। শুনানীতে উপস্থিত গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের বক্তব্য শুনার পর তিনি আবারও লিখিত বক্তব্য দিতে বললে সবাই লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।
এরপর মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে সবাইকে নিয়ে বসে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস দিলেও তা আর বাস্তবায়ন করেন নি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আলীকে নিয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ মিলে একটি পারিবারিক এডহক কমিটির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাদরাসার আয়া, কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী, নৈশ প্রহরী ইত্যাদি পদে তথাকথিত নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।
কিন্তু কমিটির মেয়াদের মধ্যে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় অধ্যক্ষ ও তাহার সহযোগীরা তাদের অবৈধ কাজকে বৈধ করতে আবারও শওকত আলী ইমনকে আহŸায়ক কমিটির সভাপতি করে গোপনে আরেকটি এডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। কোন সাধারণ সভা না করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে।
আমাদের আপত্তি পাশ কাটিয়ে একতরফাভাবে গত ১ ডিসেম্বর শওকত আলীকে এডহক কমিটির সভাপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আমরা মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দায়ের করি। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে আমাদের অভিযোগের সত্যতা ও অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ এবং শওকত আলী ইমনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।
সরাসরি মাদরাসা বোর্ড থেকে তদন্ত কর্মকর্তা পাঠিয়ে তদন্ত করলে সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির প্রমাণ যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি মাদরাসা ও এলাকাবাসী মারাত্মক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন বলেও তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন।
তারা অবিলম্বে এই এডহক কমিটি বাতিল ও আয়-ব্যয় এবং নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট জোর দাবি জানান।
বিশ্বনাথে ছালেক এন্ড হাসিনা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে কম্বল ও অর্থ বিতরণ
বিশ্বনাথ :: আর্তমানবতার সেবা, আর্ত সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্বনাথে যাত্রা শুরু করেছে ছালেক এন্ড হাসিনা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্বনাথ ইউনিয়নের স্থানীয় বাওনপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও দি ওয়ান পাউন্ড হসপিটালের ভূমিদাতা মোহাম্মদ আলী ছালেক ও তার সহধর্মীনি মিসেস হাসিনা খানমের নামে তাদের সন্তানদের পক্ষ থেকে গঠিত এই ট্রাষ্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ট্রাস্টের যাত্রা শুরু করেছে।
বিশ্বনাথ ইউনিয়নের স্থানীয় বাওনপুর গ্রামে প্রবাসী মোহাম্মদ আলী ছালেক মিয়ার “সূর্য দীঘল” নামক বাসভবনে এলাকার হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে শীতের কম্বল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং অসহায়দের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ছালেক এর সভাপতিত্বে ও মাসিক বিশ্বনাথ ডাইজেস্ট সম্পাদক, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জুবায়ের এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছয়ফুল হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মোহাম্মদ আল আমিন আয়ান ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা সালাহ উদ্দিন টিপু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুমান আহমদ, শেখ হাবিব উল্লাহ মাষ্টার দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইদুর রহমান, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শেখ মনির মিয়া, বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব শেখ নুর মিয়া, সমাজসেবী আয়না মিয়া, সিলেট লেখক ফোরামের সভাপতি নাজমুল ইসলাম মকবুল, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিন মামুন, রাজনীতিবিদ নোয়াব আলী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, ট্রাষ্টের ট্রাষ্টী শামছ উদ্দিন মিন্টু, তাজ উদ্দিন অপু, আমির উদ্দিন রাসেল ও শারমিন আক্তার।
অনুষ্ঠানে বিশ্বনাথ দাারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, শেখ হাবিব উল্লাহ মাষ্টার দাখিল মাদ্রাসা ও হযরত ওমর ফারুক (রা.) একাডেমীসহ ৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে, ২০০টি পরিবারকে শীতের কম্বল ও বিভিন্ন এতিমখানায় চাল বিতরণ, বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিবারবর্গসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়।
ইতিমধ্যে এই কর্মসূচির আওতায় বিশ্বনাথের হযরত শাহজালাল (রা.) দারুস সুন্নাহ-পনাউল্লাহ বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসা দি ওয়ান পাউন্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপনায় এই ট্রাষ্টের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ছালেক-হাসিনা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নু’মান আহমদ।