রবিবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মৃত্যুর ৮মাস পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন
মৃত্যুর ৮মাস পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন
আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ২৪ ডিসেম্বর শনিবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেনের উপস্থিতে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের দল ও রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামে ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সামনের পুকুরের পাশের কবরস্থানের কবর খনন করে এই শিশুর লাশ উত্তোলন করেন। চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানান কবর থেকে উত্তোলন করা লাশটি এক শিশুর। শিশুটির নাম মোহাম্মদ জুবাইর তার বয়স ১ বছর ৪ মাস। গত বছরের ঈদুল ফিতরের দিনে ঔ শিশুর লাশটি কবরস্থানে দাফন করা হয়। শিশুর পিতা মোহাম্মদ ফকরুদ্দীন শিশুকে জবাই করে হত্যা করে বলে শিশু জুবাইরের মা শামশুন নাহার লাশ দাফনের তিন মাস পর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তদন্তের জন্য আদালত থেকে প্রেরন করেন। আদালতের নির্দেশে শিশু জুবাইরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশু জুবাইরের পিতা ফকরুদ্দীন অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। শিশু জুবাইরের মাতা শামশুন নাহারের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা গ্রামে। জুবাইরের পিতা ফকরুদ্দীনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার মীরশ্বরাই উপজেলার দারোগা হাট এলাকায়। ফকরুদ্দীন শামশুন নাহার কে বিয়ে করে রাউজান উপজেলা উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া এলাকার হাজী শফির ভাড়া বাসায় বসবাস করার সময়ে গত আট মাস পুর্বে জুবাইরের মৃত্যু হলে তাকে পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে দাফন করে। শামশুন নাহার অভিযোগ করে বলেন তার শিশু সন্তান জুবাইরকে ফকরুদ্দীন হত্যা করে আমাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে জুবাইর অসুস্থ হয়ে মারা গেছে বলে প্রচার করে। আমি ভয়ে নিরবতা পালন করি। ফকরু উদ্দিন জোবায়ের অসুস্থ হয়ে মারা যায় বলে স্থানীয় লোকজনকে বলে গত বৎসরের ঈদুল ফিতরের দিনে বাসার পাশে কবরস্থানে দায়ন করেন। পরবর্তী আমার শিশু সন্তানকে আমার স্বামী হত্যা করার অভিযোগ করে আদালতে মামলা করি।