বুধবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ঢাকা » ঢাকায় এফআরডিসি ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরার সেমিনার
ঢাকায় এফআরডিসি ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরার সেমিনার
মঙ্গলবার ঢাকার বারিধারায় একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম’এর যৌথ’এর অর্থায়নে, ডিনেট Lesson Learnt Seminar on Fostering Responsible Digital Citizenship Project শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে। উক্ত সেমিনারে মূলত ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পের অধীনে গৃহীত বিভিন্ন সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক, সচেতনতামূলক ও পরামর্শমূলক উদ্যোগের সফলতা ও শিক্ষণীয় দিকগুলো তুলে ধরে ভবিষ্যতে করণীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেমিনারে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন খাতের কর্মকর্তা, আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে নানা সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কথা বলেন এবং অনলাইন মাধ্যমকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার বিষয়ে পরামর্শ দেন।
আর্টিকেল ১৯ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রুমকি ফারহানা বলেন, স্পষ্টতই ডিএসএ কে সাংবাদিক ও যোগাযোগকারীদের সুরক্ষার ভূমিকা পালন করার চেয়ে আইনী হয়রানির অস্ত্র হিসাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে যা আইনমন্ত্রী দ্বারা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড নাজমুল হোসেন বলেন , প্রকল্পের সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী যারা তাদের তারা যদি প্রকল্পকে নিজের মনে করে নেয় এবং তা যদি ছড়িয়ে দেয় তবেই সেটা হবে সবচেয়ে উত্তম বিনিয়োগ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাইফ হোসাইন বলেন, “সবসময় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করা হয় কিন্তু এই প্রকল্পটি যুগের চেয়েও এগিয়ে চলা জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে যেন নেটিজেনরা অফলাইনের ভাল আচরণকে অনলাইনেও বজায় রাখতে পারে। । এর স্কেল আপ এর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যদিও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া কঠিন তাই গণমাধ্যমের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।”
সেমিনারে ডিনেট-এর নির্বাহী পরিচালক এম. শাহাদাৎ হোসেন তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘এফআরডিসি প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের অনেকে ডিজিটাল দুনিয়ায় নিরাপদে অধিকার চর্চার ব্যাপারে অবগত হতে পেরেছে। পাশাপাশি তারা দেশ গড়ার কাজে অনলাইন দুনিয়াকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জন করেছে, যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। আমরা এই ধরনের উদ্যোগ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে সমর্থ হলেই এই ডিজিটাল যুগে আমাদের দেশের জন্য একটি টেকসই ও প্রগতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারব।’
এই সেমিনারে আলোচিত বিষয়গুলোর বিস্তারিত তথ্যসমূহ প্রকল্পের ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com/ থেকে পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি এই ওয়েবসাইটে আছে তরুণদের জন্য সমাজবান্ধব বিভিন্ন বিনা মূল্যের কোর্স যা থেকে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল নাগরিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে জানতে পারবেন। পাশাপাশি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। এটি তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন আনবে। এভাবে মানুষকে ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রবিউল ইসলাম, ব্যারিস্টার ইলরা ফারুক, ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সালওয়া জাহান, সাইবার অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স এর কাজী মোস্তাফিজ, অ্যাডভোকেট কাইউম আহমেদসহ আরও অনেকে।