মঙ্গলবার ● ৬ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » বিশ্বনাথ-লামাকাজী সড়ক দেখার কেউ নেই
বিশ্বনাথ-লামাকাজী সড়ক দেখার কেউ নেই
বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়ক যথাসময়ে সংস্কারকাজ না করায় এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে ৷ সড়কের মাঝে খানাখন্দকে অনেকেই ‘মিনি পুকুর’ বলে অভিহিত করেছেন ৷ ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে ৷
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ‘বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী’ সড়কটি যথসময়ে সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের ৷ চলতি বছরের শুরুতে সড়কের দুই কিলোমিটার সংস্কার কাজ করা হলেও তা এখনো রয়ে গেছে প্রায় ১৩ কিলোমিটার এই সড়কের সংস্কার কাছের বাকি ৷ বর্ষা শুরুর পূর্বে থেকে মোসল ধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে সড়কে থাকা গর্তগুলোতে পানি জমে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা ৷ চলতি বছরের মে মাসে রশিদপুর থেকে সড়কটির প্রথম ছয় কিলোমিটার অংশে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়, তবে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ অংশে কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসী ৷
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটির এমন বেহলা দশা দেখেও না দেখার ভান করছেন ৷ সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ৷ ফলে এই সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা ৷ দেখলে মনে সড়কটি যেন মাছ চাষের উপযোগী ৷ এ সড়কটির বেহাল দশার ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা-যাওয়াকারী রোগীরা ৷
সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের মে মাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ‘বর্ধিতকরণ ও সংস্কার কাজ’ শেষে উদ্বোধন করা হয় ৷ তবে উদ্বোধনের ১০/১৫ দিন পর থেকেই সড়কের বিভিন্ন অংশে গর্ত ও ভাঙ্গন সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কের দুই পার্শ্ববর্তী আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ, দুটি মাদ্রাসা, অসংখ্য মসজিদ, মত্স্য ও কৃষি খামার রয়েছে ৷ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাশাপাশি ছাতকসহ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার মানুষও ওই সড়কে যাতায়াত করেন ৷ ছাতকস্থ দুটি বৃহত্তম সিমেন্ট কোম্পানীর ভারী যানবাহনও চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে৷ তারপরও জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না ৷
শীঘ্রই সড়কটি সংস্কার কাজ করে জনসাধারণের দূর্ভোগ লাগব করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন এবং বর্তমান সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী ৷
অটোরিকশা চালক (সিএনজি) নুর ইসলাম বলেন, পেঠের কারণে ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে ওই সড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে ৷ এতে আমরা (চালক) আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছি ৷
শিক্ষার্থী হালিমা বেগম, সুহেল আহমদ, মামুনুর রশীদ বলেন, সড়কের গর্তগুলো দেখলে মনে হয় একেকটি পুকুর ৷ আর সেই গর্তগুলোতে জমে থাকা পানি দেখলে যে কেউই তাতে মাছ শিকার করতে যাইবে ৷
রামাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার খান বলেন, সড়কটির বেহালদশার কারণে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ৷ দ্রুত সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন না হলে জনদূর্ভোগ আরোও বাড়বে ৷
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই সড়কটির সংস্কার কাজের টেন্ডার হবে ৷ টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে ৷
সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া বলেন, সড়কটির সংস্কার অনেক আগেই শুরু হওয়ার কথা ছিল ৷ বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে ৷ শীঘ্রই সড়কটি সংস্কার করা হবে ৷ আপলোড : ৬ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১২.৫০ মিঃ