বুধবার ● ৪ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » পরবাস » ছেলেকে সৌদি পাঠিয়ে বিপাকে এক অসহায় মা
ছেলেকে সৌদি পাঠিয়ে বিপাকে এক অসহায় মা
স্টাফ রিপোর্টার :: বাঁশের খুঁটি আর টিন দিয়ে নির্মাণ করা বসবাসের ঘর। আর এই ঘরের বারান্দায় বসে বাঁশ দিয়ে খলই, কুলা এবং টুকরি তৈরি করে কিছু টাকা উপার্জন করেন এক অসহায় মা।
তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মৃত মছরব আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা আফিয়া বেগম। বাঁশের তৈরি এসব খলই, টুকরি, কুলা, গরুসহ সহায়-সম্বল বিক্রি করে বড় ছেলে রুবেল আহমদকে (২৪) দালাল মারফত সৌদি আরবে পাঠান।
এখন ছেলের উপার্জনের টাকা খাওয়া তো দূরের কথা, তার আম-ছালা দুটিই হারানোর পথে। স্থানীয়দের বিচার সালিশে ব্যর্থ হয়ে তিনি আইনের আশ্রয়ও নিয়েছেন।
অসহায় আফিয়া বেগম জানান, প্রায় ৬ মাস পূর্বে আজিজনগর গ্রামের মৃত কলমদর আলীর ছেলে গৌছ আলীর মাধ্যমে তিনি তার ছেলে রুবেল আহমদকে সৌদি আরব পাঠান। এতে দালালকে তিনি প্রায় ৪ লাখ টাকা দেন।
কথা ছিল আকামা লাগিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার পর ঘর মোছার কাজ করবে; কিন্তু দালাল তার ছেলেকে সৌদি আরব পাঠিয়ে দিলেও কোনো কফিলের কাছে দেয়নি অথবা আকামাও দেওয়া হয়নি। সেখানে উল্টো তাকে জিম্মি করে আকামার জন্য মারধর করে ২ লাখ টাকা দাবি করছে দালালের লোক।
এমন একটি ভিডিও রেকর্ড করে তার দুঃখের কথা মায়ের কাছে পাঠিয়েছে রুবেল আহমদ। কাজ না থাকায় সেখানে রুবেল আহমদ খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছেন। তাই খলই, টুকরি বিক্রি করে দেশ থেকে ছেলের খাবারের টাকা পাঠিয়ে দেন। ছেলের এমন খবর পাওয়ার পর দালালের কাছে গেলে দালাল নানা টালবাহানা করে।
একাধিকবার এলাকার মুরব্বিয়ান নিয়েও বিচার বৈঠক করে কোনো ফলাফল আসছে না। অবশেষে তিনি অসহায় হয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ সুপারের নির্দেশমতে তিনি একই দিনে বিশ্বনাথ থানায় গৌছ আলীকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অসহায় মহিলার অভিযোগটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছেন বলে জানান এসআই গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন।
অভিযুক্ত গৌছ আলী বলেন, তার মধ্যস্থতায় আমতৈল গ্রামের দালাল নুরুল হকের মাধ্যমে রুবেল আহমদকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আমি জানার পর দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে আকামা দেওয়ার চেষ্টা করেছি; কিন্তু রুবেল আহমদ অন্যত্র চলে যাওয়ায় আর আকামা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আশুগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির কার্যালয় উদ্বোধন
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, নিজেকে সুন্দর রাখতে ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট। ইচ্ছা করলেই যে কোন কঠিন কাজ সহজে করা যায়। এলাকার উন্নয়ন করতে গিয়ে আজ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। নি:সন্ধেহে এটা ভাল কাজ।
ভাল কাজগুলোকে বাচাই করে প্রতিটি কাজ করতে পারবে আশুগঞ্জ বাজার কমিটি এটা প্রমাণিত হল। তিনি মঙ্ঘলবার (৩রা জানুয়ারি) বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের আশুগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির নতুন কার্যালয় ও উন্নয়ন মূলক কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে, বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ও সহসাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক, কলামিষ্ট এ এইচ এম ফিরোজ আলী, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন ইমরান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান মিণ্টু, ব্যবসায়ী নূর মিয়া, ইউ/পি সদস্য জামাল আহমদ, বাজার পরিচালনা কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছুনু মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আব্দুস সালাম, আশুগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির উপদেষ্ঠা ডাক্তার বসির উদ্দিন, মাষ্ঠার নাছির উদ্দিন, সহসভাপতি গণি শাহ, কোষাধ্যক্ষ মকদ্দছ আলী, সদস্য ছখা মিয়া, রজাক আলী, আজিজুর রহমান, আব্দুল হক, আলতাব হোসেন, ফয়জুল ইসলাম, সুমন আহমদ, সিরাজ মিয়া, আব্দুল খালিক, শাহজাহান, বাবরুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিন গেদা, আব্দুল কাদির, জালাল মিয়া, হারিছ আলী, গৌছ আলী, আবুল কালাম আবুল, হাজী চেরাগ আলী, আজমান আলী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন বাজার পরিচালনা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম। গীতা পাঠ করেন রঞ্জিত দাশ। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ ও সম্মাননা ক্রেষ্ঠ প্রদান করেন বাজার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে শেষে আশুগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির নতুন ভবনের ফলক উম্মোচন করেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান।