শুক্রবার ● ৬ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » ইউপিডিএফ নেতা প্রসিত খীসার শোক প্রকাশ
ইউপিডিএফ নেতা প্রসিত খীসার শোক প্রকাশ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা’র পিতা বাবু সমরেন্দ্র লাল চাকমা প্রয়াত হয়েছেন। আজ ৬ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার ভোর ৫ টা ০২ মিনিটে রাঙ্গামাটি শহরের চম্পক নগরস্থ নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে ইউপিডিএফ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। ইউপিডিএফ-এর সভাপতি প্রসিত খীসা এক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করে জনগণের আন্দোলনে তাঁর নিঃস্বার্থ ভূমিকার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
পৃথক পৃথকভাবে দেয়া শোক বার্তায় তাঁর প্রতি আরও শোক ও সম্মান জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর সভাপতি অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে সুনয়ন চাকমা ও সুনীল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) সভানেত্রী নীতি চাকমা, ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এর সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ-এর সভানেত্রী কণিকা দেওয়ান।
সত্তর দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের অধিকার আদায়ের অস্থির সময়ে সরকারি চাকরি ছেড়ে তৎকালীন জনসংহতি সমিতিতে যে ক’জন ব্যক্তি যোগ দেন, প্রয়াত সমরেন্দ্র লাল চাকমা ছিলেন তাদের অন্যতম। তিনি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় সে সময় রাঙ্গামাটিতে তৎপর পাহাড়ি সংগঠন ও আন্দোলনে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেন এবং গোয়েন্দা সংস্থার রোষানলে পড়েন। ১৯৭৬ সালে গণপূর্ত বিভাগের সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদের সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি আন্ডারগ্রাউন্ডে যোগ দেন। জনসংহতি সমিতিতে সুগতিবাবু নামে তিনি বেসামরিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের পর বাবু সমরেন্দ্র লাল চাকমা সপরিবারে রাঙ্গামাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। সে সময় থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাঙ্গামাটির চম্পকনগরস্থ নিজ বাড়িতে বসবাস করছিলেন। প্রয়াত সমরেন্দ্র লাল চাকমার জন্ম ১৯৩৭ সালের ১২ এপ্রিল।
ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা প্রদত্ত শোক বার্তায় বলেন, ‘প্রয়াত সমরেন্দ্র লাল চাকমা চাকুরি জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করে নির্যাতিত জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের কঠিন পথ বেছে নেন এবং পরিবারের সদস্যদেরও সম্পৃক্ত করেন। তাঁর এ অবদান পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’
উল্লেখ্য, তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র গৌরী শংকর চাকমাও ছাত্র অবস্থায় শান্তিবাহিনীতে যোগ দিয়ে পরবর্তীকালে শহীদ হন এবং দ্বিতীয় পুত্র রবি শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময়ে ১৯৯৮ সালে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) গঠিত হলে তিনি (রবি শংকর) এ দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োজিত হন।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা’র পিতা বাবু সমরেন্দ্র লাল চাকমা প্রয়াত হয়েছেন। আজ ৬ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার ভোর ৫ টা ০২ মিনিটে রাঙ্গামাটি শহরের চম্পক নগরস্থ নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে ইউপিডিএফ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। ইউপিডিএফ-এর সভাপতি প্রসিত খীসা এক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করে জনগণের আন্দোলনে তাঁর নিঃস্বার্থ ভূমিকার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
পৃথক পৃথকভাবে দেয়া শোক বার্তায় তাঁর প্রতি আরও শোক ও সম্মান জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর সভাপতি অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে সুনয়ন চাকমা ও সুনীল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) সভানেত্রী নীতি চাকমা, ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এর সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ-এর সভানেত্রী কণিকা দেওয়ান।
সত্তর দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের অধিকার আদায়ের অস্থির সময়ে সরকারি চাকরি ছেড়ে তৎকালীন জনসংহতি সমিতিতে যে ক’জন ব্যক্তি যোগ দেন, প্রয়াত সমরেন্দ্র লাল চাকমা ছিলেন তাদের অন্যতম। তিনি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় সে সময় রাঙ্গামাটিতে তৎপর পাহাড়ি সংগঠন ও আন্দোলনে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেন এবং গোয়েন্দা সংস্থার রোষানলে পড়েন। ১৯৭৬ সালে গণপূর্ত বিভাগের সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদের সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি আন্ডারগ্রাউন্ডে যোগ দেন। জনসংহতি সমিতিতে সুগতিবাবু নামে তিনি বেসামরিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের পর বাবু সমরেন্দ্র লাল চাকমা সপরিবারে রাঙ্গামাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। সে সময় থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাঙ্গামাটির চম্পকনগরস্থ নিজ বাড়িতে বসবাস করছিলেন। প্রয়াত সমরেন্দ্র লাল চাকমার জন্ম ১৯৩৭ সালের ১২ এপ্রিল।
ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা প্রদত্ত শোক বার্তায় বলেন, ‘প্রয়াত সমরেন্দ্র লাল চাকমা চাকুরি জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করে নির্যাতিত জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের কঠিন পথ বেছে নেন এবং পরিবারের সদস্যদেরও সম্পৃক্ত করেন। তাঁর এ অবদান পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’
উল্লেখ্য, তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র গৌরী শংকর চাকমাও ছাত্র অবস্থায় শান্তিবাহিনীতে যোগ দিয়ে পরবর্তীকালে শহীদ হন এবং দ্বিতীয় পুত্র রবি শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময়ে ১৯৯৮ সালে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) গঠিত হলে তিনি (রবি শংকর) এ দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োজিত হন।