শনিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝালকাঠিতে শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকের মুখে হাসি
ঝালকাঠিতে শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকের মুখে হাসি
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি :: ঝালকাঠিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষে এবার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ঝালকাঠির কৃষকদের মাঠ এখন শীতকালীন শবজিতে সাজানো এক সবুজ বিপ্লব। কৃষকরা সকাল সন্ধ্যা পরিচর্যা আর বিকিনিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
শীত মৌসুমি এ সবজি আবাদে বাম্পার ফলনে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন। কৃষকের ক্ষেতগুলোতে লাউ-কুমড়া, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক,ধনে পাতা,শিমসহ সব ধরনের শীতের মৌসুমি সবজির সমাহার এখন কৃষকের মাঠ জুড়ে। ঝালকাঠি জেলার কৃর্তিপাশা,শ্রীমন্তকাঠি,বাসন্ডা, পোষন্ডা,বাউকাঠি, কাফুরকাঠি, শাখাগাছি, ভীমরুলি, বিনয়কাঠি, বাউকাঠিসহ কমপক্ষে শতাধিক গ্রামের চিত্র এখন এমনটাই।
কৃষকের ক্ষেতে মাঝে নালাকেটে একদিকে মাছ চাষ করছেন অন্যদিকে নালার উপড়ে মাচায় ঝুলে পড়েছে লাউ-কিংবা মিষ্টি কুমড়ো। নালার তীরের জমিগুলোতে সব ধরনের শীতের সবজিই উৎপাদন করেন জেলার অসংখ্য চাষিরা। নালার পানিই প্রতিদিন শবজি ক্ষেতে ব্যবহার করেন কৃষকরা। যে কারণে দুর থেকে তাদের পানি সংগ্রহ করতে হয় না। পাশা-পাশী নালার পানিতেই মাছও চাষ করছেন তারা।
পুরুষের পাশাপাশি ক্ষেতে কাজ করছেন অসংখ্য নারীরাও। ফলে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে শীতের এ মৌসুম জুড়ে আর্থিকভাবে ভাল থাকছেন কৃষক পরিবার গুলো। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি এবং সার ও কীটনাশকের দাম কমলে স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে পারেন বলে কৃষকরা জানান।
এবছর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শীতের এ শাক-সবজি আবাদে আরো অধিক বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। বাজারেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, দামও পাচ্ছেন ভালো।
গ্রামের কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, “আমরা বহু বছর যাবৎ কৃষি কাজ করে আসছি। কৃষি কাজ করে ভালবাবেই জীবনযাপন করছি।”
তবে আমরা প্রান্তীক চাষিরা পাইকারদের কাছেই ফসল বিক্রি করি। যে কারণে ফসলের ন্যায্য মূল্য পাই না। কিন্তু মধ্য সত্ত্ব ভোগীরা আমাদের নিকট থেকে কমদামে পণ্য কিনে ভোক্তার নিকট চড়া দামে বিক্রি করে তারাই আমাদের চেয়ে বেশি লাভবান হয়। উৎপাদনকারী কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত বলে দাবি করেন সরকার আমাদের নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করলে প্রান্তীক পর্যায়ের কৃষকরা সুবিধা পাবেন।
জেলা শহর থেকে প্রাত্যন্ত গ্রামের কৃষকরা জানান,“ আমরা ঝালকাঠির উত্তর পশ্চিম প্রান্তের অবহেলিত গ্রামে থেকে কৃষি কাজ করে আসছি। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হলে আমরা সঠিক মূল্য পেতাম।”
ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম জানায়, “বাজারে এখন শীতের সবজির দাম থাকায় লাভবান হচ্ছেন তারা। পতিত জমিতে চাষ বাড়ানোর জন্য কৃষি বিভাগ পরার্মশসহ নানা ভাবে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছি। এবছর ঝালকাঠি জেলায় ৮ হাজার ২শত ৬৫ হেক্টর জমিতে শীতের শাখ-সবজির আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।