শনিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » জাতীয় » মুঠোফোন ও ইন্টারনেটে আড়ি পাতার ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সাইবার অপরাধের শামিল : সাইফুল হক
মুঠোফোন ও ইন্টারনেটে আড়ি পাতার ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সাইবার অপরাধের শামিল : সাইফুল হক
‘আইনসম্মতভাবে আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালু’র ঘোষণাকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সাইবার অপরাধের শামিল বলেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেছেন, আধুনিক কোনো গণতান্ত্রিক সমাজ রাষ্ট্রকে যথেচ্ছভাবে তার নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকে আইনানুগ করার অনুমতি দিতে পারে না। আড়ি পাতার বিদ্যমান তৎপরতার উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ ও দমন করা।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সাইফুল হক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বলেন, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধে ‘আইনসম্মতভাবে’ আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটরিংয়ের (নজরদারি) মাধ্যমে দেশ ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধে এনটিএমসিতে (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার) ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজির (ওএসআইএনটি) মতো আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে। একই সঙ্গে একটি ইন্টিগ্রেটেড ল’ফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম (আইনসম্মতভাবে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট মাধ্যমে যোগাযোগে আড়ি পাতার ব্যবস্থা) চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাইফুল হক আজ বলেন, বিপুল অর্থ ব্যয় করে ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকার বহু আগে থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে আইনবহির্ভূতভাবে আড়ি পেতে আসছে। এখন সেটিকে তারা আইনি কাঠামোয় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধিতা আর সরকারবিরোধিতা এক জিনিস নয়। সরকারবিরোধিতাকে রাষ্ট্রবিরোধিতা আখ্যায়িত করে সরকার এখন বিরোধী মত, চিন্তা ও তৎপরতাকে দমন করতেই যেকোনো জায়গায় যেকোনো ব্যক্তির ওপর আড়ি পাতাকে বিধিসম্মত করতে চায়। সরকারের এই নিবর্তনমূলক তৎপরতা দেশের জনগণের সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার পরিপন্থী।
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিধিবিধান রয়েছে। নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখেই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ যেকোনো অপতৎপরতা রোধের ব্যবস্থা রয়েছে। আড়ি পাতা ও নজরদারি সম্পর্কে কিছু আইনও রয়েছে। এসব আইনের লঙ্ঘন করে ইচ্ছেমতো আড়ি পেতে যেকোনো ব্যক্তিকে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখা কোনোভাবেই অনুমোদনযোগ্য নয়।