রবিবার ● ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা
বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে নৌকাবাইচ, ঘোড়দৌড় আর সাপের খেলা। তেমনি রশিটান খেলোও বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষদেরকে। এ খেলা আয়োজনে খুব বেশি খরচ না হলেও, দর্শকদের আনন্দ দেয়ার কমতি নেই অংশ নেয়া প্রতিযোগীদের।
এবারও সিলেটের বিশ্বনাথে ৩য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ঐহিত্যবাহী রশিটান প্রতিযোগিতা। শুভেচ্ছা স্পোটিং ক্লাব আয়োজন করে এ খেলার। উপজেলার চৌধুরীগাঁও পশ্চিমের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় আবহমান বাংলার জনপ্রিয় এ খেলা। রশিটান খেলা উপভোপ করতে মাঠে হাজির হন সকল বয়সি হাজারো দর্শক।
ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ২০টি দল।
গেল শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে একই মাঠে অনুুষ্ঠিত হয় ফাইনাল খেলা। এদিন রশিটান খেলা উপভোগ করতে বিপুল সংখ্যক দর্শক উপস্থিত হন মাঠে। ফাইনালে নিউ স্টার ধনপুর টিমকে হারিয়ে বিজয়ী হয় ইউকে বাংলা টিম।
খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ টিমকে একটি করে জীবন্ত খাসি উপহার দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুর আলী ও যুুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল লতিফ।
শুভেচ্ছা স্পোটিং ক্লাব’র সদস্য মো. আতিক জানান, আধুনিক খেলার ভিড়ে চিরায়ত বাংলার অনেক খেলাই নতুন প্রজন্মের কাছে অপরিচিত। গ্রামীণ খেলাধুলাতেই গ্রামের জনসাধরণ বেশি বিনোদন পেয়ে থাকেন। আমরা ঐহিত্যবাহী খেলা ধরে রাখার পাশাপাশি কেবল অনন্দের জন্যেই প্রতি বছর রশিটান খেলার আয়োজন করে থাকি।
মিরেরচরেই হবে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ : এমপি মোকাব্বির
বিশ্বনাথ :: সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, ঐক্যমতের ভিত্তিতে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের নির্বাচিত করা স্থান ‘বিশ্বনাথ পৌর শহরের মিরেরচরেই হবে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ’। সরকারের মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ওই এলাকাবাসী যে উদারতা দেখাচ্ছেন তাতে এখানে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের কোন বিকল্প নেই।
গুন্ডা-পান্ডাদের সকল ষড়যন্ত্র ধ্বংস করে এলাকার উন্নয়ন জনসাধারণের সহযোগীতা ছাড়া সম্ভব নয়, তাই আপনারা আমাকে সহযোগীতা করুণ আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে কাজ করে যাব।
তিনি শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) রাতে সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর শহরের মিরেরচর গ্রামে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডবাসীর উদ্যোগে ও প্রবাসে পশ্চিম বিশ্বনাথের সহযোগীতায় প্রথম পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের সম্মানে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, ধনী হলে যা করবেন সব হালাল, আর গরীবের বেলায় তা হারাম।
এখন থেকে আর তা হবে না। ধনী-গরীবের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে খারাপ কাজগুলো পরিহার করে সমাজের জন্য ভালো কাজ করতে হবে। এমপি সাহেবসহ জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বাসিয়া নদীর তীরের সকল অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে।
আমাদের কৃষি ও মৎস্যখ্যাত রক্ষায় বাসিয়া নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার কোন বিকল্প নেই। আর সরকারের গ্রহন করা উন্নয়ন কাজ বাঁধাগ্রস্থ করার কোন বিকল্প নেই, যারাই উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা করবে জনসাধারণকে সাথে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলা হবে।
বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও মিরেরচর গ্রামের প্রবীন মুরব্বী হাজী ইসমাইল আলীর সভাপতিত্বে এবং সংগঠক সাহেদ আহমদ প্রিন্স ও নওশাদ আহমদের যৌথ পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, বিশ্বনাথ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিক হাসান, প্রবাসী মাসুক আহমদ, জামাল হোসাইন দিলশাদ, আজম আলী বাবুল, এলাকার মুরব্বী হাজী আজম আলী মেম্বার, আজির হোসেন, হাজী মছদ্দর আলী, মির্জা রুস্তুম বেগ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ ক্বারী মাওলানা জিয়াউল হক, ইসলামী গজল পরিবেশন করেন মুক্তার আলী, মানপত্র পাঠ করে মাওলানা আব্দুল মতিন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা ওয়ারিস উদ্দিন। এসময় পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ ও এলাকার প্রবীন মুরব্বীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।