মঙ্গলবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রথম বারের মত একজন আদিবাসী নারী সাধারন সম্পাদক জুঁই চাকমা
রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রথম বারের মত একজন আদিবাসী নারী সাধারন সম্পাদক জুঁই চাকমা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: আজ ১৭ জানুয়ারি-২০২৩ মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় সকাল ১০টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হাশেম সভাপতিত্ব করেন।
সভায় গত ২২ অক্টোবর-২০২২ শনিবার বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির সম্মেলনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-১৭ মোতাবেক সর্বসম্মতি ক্রমে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ১৯ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করা হয় সেই কমিটির সাধারন সম্পাদক জগৎমিত্র চাকমা শারিরীক অসুস্থ থাকার কারণে পার্টির কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষে কেন্দ্রীয় সংগঠক ও রাঙামাটি জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড জুঁই চাকমাকে সাধারন সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় প্রথম বারের মত জাতীয় রাজনৈতিক কোন দলে একজন আদিবাসী নারী সাধারন সম্পাদক এর দায়িত্ব পেলেন।
পরিবর্তীত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটি নিন্ম রুপ :
সভাপতি কমরেড আবুল হাশেম, সাধারন সম্পাদক জুঁই চাকমা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নির্মল বড়ুয়া মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. বাদল বরণ বড়ুয়া, জগৎমিত্র চাকমা, এডভোকেট গফুর বাদশা ও শিখা চাকমা।
সদস্য তাসলিমা আক্তার (সদর), আব্দুল মান্নান রানা (শহর/পৌরসভা), হেলাল উদ্দীন (লংগদু), নিউটন চাকমা (বরকল), ছায়া রানী চাকমা (সদর), প্রনব চাকমা (লংগদু), বকুল আক্তার আখি (রাজস্থলী), বিরোহিনী চাকমা (শহর/পৌরসভা), রেজাউল আলম, শিবু মল্লিক (রাজস্থলী), আদর্শ রাণী চাকমা ও আব্দুল হালিম (সদর) ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।
উল্লেখ্য সংগ্রামী নারী জুঁই চাকমার জন্ম স্থান রাঙামাটির বরকল উপজেলার বড়হরিণার রাঙ্গাপানি ছড়া গ্রামে, স্নেহ কুমার চাকমা ও কুসুমী চাকমার ৫ম সন্তান, তিনি ছাত্র জীবনে শুরুতে ২০০৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল) এর হিল উইম্যান ফেড়ারেশন রাঙামাটি জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্বে ছিলেন। এই আঞ্চলিক সংগঠনের রাজনৈতিক নিবন্ধন না থাকায় এবং মূল দলের নেতাদের বৈষম্যমূলক মনোভাবের কারণে ২০০৭ সালে জুঁই চাকমা আঞ্চলিক দলের রাজনীতি থেকে সরে আসেন।
২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভ্য পদ লাভ করেন।
২০১৮ সালে সংগ্রামী নারী জুঁই চাকমা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি-২৯৯ আসন থেকে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী হিসাবে কোদাল প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে পার্বত্য অঞ্চলে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
তিনি বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির প্রথম আদিবাসী নারী সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পেলেন।