মঙ্গলবার ● ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » প্রতারণার ফাঁদে লাখ টাকা খোয়ালেন ব্যবসায়ী : আটক-১
প্রতারণার ফাঁদে লাখ টাকা খোয়ালেন ব্যবসায়ী : আটক-১
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় লাখ টাকা খুইয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিকাশ ব্যবসায়ী জামাল আহমদ। সংঘবদ্ধ চক্র প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক দফায় লুটে নেয় তার এই টাকা। এ ঘটনায় রবিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আরিফুর রহমান আরিফ বিল্লাহ (৩৫) নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন তিনি।
আটক আরিফ ময়মনসিংহ জেলার দুবাউরা থানার গিলাঘরা গ্রামের আবদুল বারিকের ছেলে এবং বিশ্বনাথ পৌরশহরের রাজনগর এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা।
প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী জামাল আহমদ জানান, গেল ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আমার দোকানে এসে আরিফ রকেট নাম্বার চেয়ে নেন। কিছুটা সময় পরেই দোকান কর্মচারীকে বলেন, আপনাদের নম্বারে আমার টাকা এসেছে। তখন দেখা যায়, ওই নাম্বারে হুবহু অফিসিয়াল পদ্ধতিতে ২৪ হাজার ৫ টাকার একটি ক্ষুদেবার্তা আসে। যেটি ছিল ভুয়া।
বিষয়টি বুঝতে না পেরে আমার দোকান কর্মচারী আরিফের হাতে টাকাগুলো হস্তান্তর করেন। তখন তিনি ২ হাজার টাকা রেখে বাকি টাকা ওই দোকান থেকেই প্রতারকচক্রের অন্য সদস্যদের বিকাশ নাম্বারে প্রেরণ করেন।
একই কায়দায় পরপর আরও ৩টি ভুয়া ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে চারবারে ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন আরিফ। ওই টাকাগুলোও দোকান থেকে অন্য প্রতারকদের বিভিন্ন নাম্বারে পাঠান তিনি। এ সময় হ্যাক করে রাখা হয় আমার রকেট একাউন্টও। পরদিন ২২ জানুয়ারি বিষয়টি বুঝতে পেরে দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আরিফকে শনাক্ত করি। লিখিত অভিযোগ দিই থানায়। পরে ওইদিনই সন্ধ্যায় আরিফকে নিজেই আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি।
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক এ বিষয়ে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্বনাথে মাটি খেকোকে ৫০ হাজার অর্থদন্ড
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ ভাবে মাটি লুটের সময় এক মাটি খোকোকে অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মাটি কাটার কাজে ব্যহৃত এক্সকাভেটর ও ট্রাকসহ চারটি গাড়ী জব্দ করা হয়।
সোমবার ২৩ জানুয়ারি উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পাকিছিরি গ্রামে সরকারি খাস জমিতে মাটি কাটার সময় এ দন্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান।
এসময় উপস্থিত অভিযুক্ত মাটি খোকো পাকিছিরি গ্রামের ছাদেক আলীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন তিনি। এর আগে আজ সকালে মাটি কাটার বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দেন এলাকাবাসি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রায়গমহল গ্রামের মৃত ইদ্রিস খানের ছেলে শফিক খান প্রতিবার সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন। এবারও তিনি মাটি কাটা ও বিক্রি শুরু করেন। অবৈধ মাটি উত্তোলন পরিবেশের জন্যে হুমকির কারণ হওয়ায় এলাকাবাসি এ অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, সরকারি জমি থেকে মাটি কাটার সময় একজনকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। জব্দ করা হয়ে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত চারটি গাড়ীও।