বৃহস্পতিবার ● ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » ঢাকা » ছয়টি উপনির্বাচনেও আরও একবার নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি গণ হতাশার প্রকাশ ঘটেছে
ছয়টি উপনির্বাচনেও আরও একবার নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি গণ হতাশার প্রকাশ ঘটেছে
আজ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, গতকাল অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ছয়টি শুণ্য আসনে ৮০ শতাংশ ভোটারেরা ভোট দিতে না যেয়ে বিদ্যমান নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি আরও একবার তাদের গণ অনাস্থা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।বিরোধী দলবিহীন এসব উপনির্বাচনকে সরকার ও সরকারি দল তামাশায় পর্যবসিত করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দলছুট বিএনপি নেতাকে জেতাতে যেয়ে সরকারী দল এমন কোন অপকর্ম নেই যা করেনি। বিরোধী দলহীন এসব লোকদেখানো একতরফা নির্বাচনেও তাদেরকে প্রকাশ্যে নানা ধরনের জ্বালিয়াতির আশ্রয় নিতে হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই উপনির্বাচনেও সরকারী দল বিতর্কিত মাগুরার নির্বাচনকে লজ্জা দিয়েছে। বগুড়ায় হিরো আলমের নির্বাচনী ফলাফল প্রমাণ করে যে, প্রচলিত নির্বাচনী তামাশা আর রাজনীতিকদের প্রতি গণঅনাস্থাও ক্রমে বেড়ে চলেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচনের নামে এসব তামাশা গণহতাশাকে কেবল প্রলম্বিতই করছে।প্রস্তাবে এসব এসব নির্বাচনী প্রহসনকে অর্থ ও সময়ের অপচয় হিসাবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে এসব তামাশা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
সভার প্রস্তাবে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ভেংগে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরও জোরদার করার আহবান জানানো হয়।
সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ সকাল থেকে এই সভা শুরু হয়েছে।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিষদের এই সভায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মাহমুদ হোসেন।
সভার আর এক প্রস্তাবে বিদুৎ এর আর দফা বাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারীতা হিসাবে আখ্যায়িত করে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
সভায় ৩ - ৪ ফেব্রুয়ারী বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভার প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।