সোমবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » ঢাকা » ১১ ফেব্রুয়ারী যুগপৎ আন্দোলনে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রার কর্মসূচী সফল করার আহবান
১১ ফেব্রুয়ারী যুগপৎ আন্দোলনে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রার কর্মসূচী সফল করার আহবান
গতরাতে শেষ হওয়া বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভার সমাপ্তি অধিবেশনে গৃহীত বিশেষ রাজনৈতিক প্রস্তাবে এখন অতি আবশ্যক নয় পাতালরেলের মত এরকম মেগা প্রকল্পসমূহ বন্ধ করে জরুরী খাদ্যপণ্য এবং গ্যাস,বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মত সেবা খাতসমূহে ভর্তুকী বৃদ্ধি করতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।প্রস্তাবে বলা হয়, আই এম এফ এর ঋণের শর্ত পূরণ করতে যেয়ে জরুরী সেবা খাতসমূহ থেকে যেভাবে ভর্তুকী প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে তা দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবনকে নিদারুণ দূর্দশার মধ্যে নিক্ষেপ করছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়, চুরি, দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা,ভূলনীতি ও সিস্টেম লস’ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারলেই বিদ্যমান সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠা সম্ভব এবং সেক্ষেত্রে আই এম এফ ঋণ নেবার প্রয়োজন থাকেনা।
প্রস্তাবে বলা হয়, কার্যকরি বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেট প্রতিদিন বাজারের আগুণে ঘি ঢেলে চলেছে। বাজারে গেলে মনে হয়না দেশে কোন সরকার আছে। প্রস্তাবে জরুরী ভিত্তিতে মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি রোধ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
প্রস্তাবে বলা হয় সংকটের গোড়ায় হাত না দিয়ে সেবাপণ্যের অব্যাহত দাম বৃদ্ধি সংকটের সমাধান দেবে না।
সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় দফতরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির এই সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য বহ্নিশিখা জামালী,আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, রাশিদা বেগম, শহীদুল আলম নান্নু, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, নির্মল বড়ুয়া মিলন, সাইফুল ইসলাম, অরবিন্দু বেপারি বিন্দু, শহীদুজ্জামান লাল মিয়া, শেখ মোহাম্মদ শিমুল ও মীর রেজাউল আলম প্রমুখ।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রা ও গণসংযোগ এর কর্মসূচী সফল করার আহবান জানানো হয়।
সভায় পার্টির নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের কেন্দ্রীয় দায়দায়িত্ব নির্দিষ্ট করা হয়।
দেশের মানুষ এবার বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবে
৩ জানুয়ারি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় রাজনৈতিক রিপোর্ট উত্থাপন করতে যেয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন এবার দেশের মানুষ আন্দোলনের বিজয় নিয়েই ঘরে ফিরবে।চলমান আন্দোলনকে বিজয়ী করা ছাড়া ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ - কোন কিছুই নিশ্চিত করা যাবেনা। এবারকার আন্দোলন নিছক গতানুগতিক ধারায় সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়, এই আন্দোলন অগণতান্ত্রিক ও কর্তৃত্ববাদী গোটা ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যেই পরিচালিত। এই আন্দোলন বিশেষ কোন দল বা জোটের নয়,বরং সমগ্র জনগণের। সে কারণে সরকার ও সরকারি দলের শত বাঁধা আর সন্ত্রাস মোকাবেলা করে দেশের মানুষ আন্দোলনের কাতারে সামিল হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলসমূহের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সরকার অব্যাহত উসকানি দিয়ে সহিংসতার পথে নিয়ে যেতে চাইছে। তিনি সরকারের যাবতীয় উসকানি, হামলা ও দমন নিপীড়ন মোকাবেলা করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে যুগপৎ ধারায় আরও বেগবান করার জন্য সকল বিরোধী দল ও দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির সকালের অধিবেশনে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তাঁর সভাপতিত্বে এই অধিবেশনে রাজনৈতিক রিপোর্টের উপর বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, রাশিদা বেগম, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, সাইফুল ইসলাম, নির্মল বড়ুয়া মিলন, শহীদুজ্জামান লাল মিয়া, অরবিন্দু বেপারি বিন্দু, ফিরোজ আহমেদ, জসিম উদ্দিন রাঢ়ী, শেখ মোঃ শিমুল ও মীর রেজাউল আলম প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় গৃহীত প্রস্তাবে গত ৬ - ৯ জানুয়ারী ২০২৩ পার্টির দশম কংগ্রেস সফল করার করার জন্য পার্টির নেতা, কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সভায় গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম জোরদার করতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচীসমূহ আরও বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে নেবার আহবান জানানো হয়।