মঙ্গলবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » জয়পুরহাট » আক্কেলপুরে ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ
আক্কেলপুরে ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ
নিশাত আনজুমান, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি :: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রায়কালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম মানিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত বুধবার ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ওই শিক্ষককে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে প্রধান ফটক এবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করে। পরে তাকে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যহতি এবং অভিযোগটি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও জমা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন। এ নিয়ে জনসাধারণের মনে জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন প্রশ্ন।
ঘটনার দিন গত ১ ফেব্রুয়ারি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ যার স্মারক নাম্বার রাউবি/২০২৩-১ এ দেখা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মকবুল হোসেনকে আহবায়ক, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলামকে সদস্য করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও জমা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন। তদন্ত প্রতিবেদন জমা না হওয়ার বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানাতে পারেননি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন এর সাথে। তদন্ত প্রতিবেদন এর বিষয়ে জানতে চাইতে তিনি বলেন, ‘এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি।’
তদন্ত প্রতিবেদন জমা না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন এখনও প্রতিবেদন জমা হয়নি তা বলতে পারবো না।’
ওই এলাকার বাসিন্দা বেলাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা না হওয়াই আমরা সংসয়ের মধ্যে রয়েছি। ভিন্ন ভাবে ঘটনাটি প্রভাবিত করার জন্য একটি মহল কাজ করছে বলে গুঞ্জন উঠেছে’।
তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মকবুল হোসেন বলেন, ‘তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। বিষয়টি বিষদভাবে তদন্তের জন্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়ে সময় নিয়েছি’।