রবিবার ● ৩ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহের বটগাছ দেখে মুগ্ধ আরেফিন সিদ্দিক
ঝিনাইদহের বটগাছ দেখে মুগ্ধ আরেফিন সিদ্দিক
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৩ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় সকাল ১০.৩০মিঃ) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুরে কয়েক শত বছরের পুরোনো ও বিশাল আকৃতির বটগাছ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ৷ গাছটি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি ৷
বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির উদ্যোগে দেশের বটগাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপাচার্য শুক্রবার দুপুরে এই বটগাছ দেখতে আসেন ৷ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরীন আহমাদ, বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ হাদিউজ্জামান, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান সংরক্ষক অসিত রঞ্জন পাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের ডিন ইমদাদুল হক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল বাশার, জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাঈনুদ্দিন খান প্রমুখ ৷
সবুজ প্রকৃতি না থাকলে মানুষের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে মনত্মব্য করে উপাচার্য বলেন, আমরা প্রকৃতির মতো করে বাঁচতে চাই ৷ প্রকৃতির সাথে থাকতে চাই ৷ এ কারণেই এদের রক্ষা করতে হবে ৷ এ সময় স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, এদেশের সাথে বটগাছের একটি সম্পর্ক আছে ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে (বর্তমানে অপরাজেয় বাংলা) একটি বট গাছ ছিল ৷ যে বটগাছকে কেন্দ্র করে দেশের সব আন্দোলনের সূত্রপাত হতো ৷ কিন্তু ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী সেই বটগাছটিকে প্রথমে ধ্বংস করে ৷ ১৯৭২ সালে আবারো সেখানে বটগাছ লাগানো হয় ৷ যে বটগাছের নীচে এখন ঢাবির সব ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে ৷
ঝিনাইদহের মল্লিকপুরের প্রাচীন এই বটগাছের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, ২৫০ থেকে ৩০০ বছর আগে স্থানীয় এক কুমারের কুয়ার দেয়ালে আজকের এই বটবৃক্ষটি জন্মেছিল ৷ কালের বিবর্তনে মূল গাছটি মারা গেলেও ৪৫টি ভিন্ন ভিন্ন শাখা গাছ বর্তমানে প্রায় ২.০৮ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে ৷ এই গাছের ৩৪৫টি বায়বীয় মূল মাটিতে প্রবেশ করেছে এবং ৩৬টি মূল ঝুলন্ত অবস্থায় বিদ্যমান ৷ ২০০৯ সাল থেকে যশোর সামাজিক বন বিভাগ এই প্রাচীন গাছটিকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে আসছে ৷