সোমবার ● ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » গাঁজাসহ আটক ছাত্রলীগ নেতা শেখ সজীবের ১৫ দিনের কারাদণ্ড
গাঁজাসহ আটক ছাত্রলীগ নেতা শেখ সজীবের ১৫ দিনের কারাদণ্ড
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহসভাপতি শেখ সজীবকে গাঁজা সহ গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটা টিম অভিযান চালিয়ে ১০ গ্রাম গাঁজা সহ তাকে গ্রেফতার করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন। শেখ সজীব ওরফে এসকে সজীব কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার মিলন শেখের ছেলে। সে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সংগঠন বহির্ভূত কাজে জড়িত থাকায় ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইন্সপেক্টর মো. বেলাল হোসেনের নের্তৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সজীবের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় তার বসতবাড়ি থেকে ১০ গ্রাম গাঁজা সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, সজীব একজন মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী। তার পরিবারের সদস্যরাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। অতীতে মাদক সহ একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, সজীব মাদক সেবনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন বলেন, আটককৃত সজীবের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সজীব গাঁজা সেবন করেন। তার কাছে থেকে ১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হায়দারের সামনে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। তাকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে গাঁজা সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মাদক নির্মূলে ও জনস্বার্থে আমাদের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত থাকবে। এবিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক ও সাধারন সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেন নি।