শনিবার ● ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠি খেলার মাঠে মেলা কেন
ঝালকাঠি খেলার মাঠে মেলা কেন
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি ::ঝালকাঠি ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী “রুপসীবাংলা” মেলা। শতাধিক ষ্টল এবং ১০ টির অধিক প্যাভিলিয়ন রয়েছে এখানে। খেলার মাঠে মেলার আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এখানকার ক্রীড়ামোদীরা। সকলেরই প্রশ্ন খেলার মাঠে মেলা কেনো?
কতদিন চলবে এই মেলা, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। মেলা সংশ্লিষ্ট অনেকেই জানিয়েছেন, কবি জীবনানন্দ দাশ’র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী এই মেলা হওয়ার কথা থাকলেও মেলার দোকান মালিক এবং পরিচালনা কমিটির ব্যবসার দিক বিবেচনায় এনে খেলার মাঠ বরাদ্দ দিয়ে ১৫ দিনের অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন। তবে জেলা প্রশাসকের দেয়া অনুমোদনের সময়সীমা তোয়াক্কা না করে মাসব্যাপী এই মেলা চলবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন মেলা পরিচালনা কতৃপক্ষ মেসার্স চামেলী ট্রেডার্স।
ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে বিভিন্ন বয়সী খেলোয়ারদের নিয়মিত অনুশীলন বন্ধ হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। ঐ দিন দুপুরে মেলার মাঠ প্রস্তুতের কাজ শুরু করা হয়। আর তাই মেলা শুরুর ১৫ দিন আগেই এখানে খেলাধুলা বন্ধ হয়েযায়। কর্তৃপক্ষের ঘোষনা অনুযায়ী মেলার কার্যক্রম যদি একমাস ধরে চলতে থাকে তাহলে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ থাকবে। আর তাই এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এ মাঠে নিয়মিত অনুশীলন করা ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলোয়াররা বলেছেন ‘মেলার পর মাঠের পরিনতি হবে ভয়াবহ। কারন ধাড়ালো বস্তু, কাঁচ ভাঙা, প্যাভিলিয়ন ও ষ্টল নির্মান কাজের পেরেকসহ বিভিন্ন ধরনের শক্ত বস্তু মাঠে পরে থাকবে। যা থেকে খেলোয়াররা রক্তাক্ত আহত হবে।’
মেলা পরিচালক খুলনার চামেলী ট্রেডার্স এর সত্বাধীকারী মো. রাসেল বলেন, ‘মেলা চালানোর জন্য প্রাথমিক ভাবে ১৫ দিনে অনুমতি নিয়েছি, এই মেয়াদ শেষ হওয়ার মধ্যেই আরো ১৫ দিন সময় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে খেলোয়ারদের দিক বিবেচনা করে মেলার সময় বৃদ্ধি যাতে না করাহয় জেলা প্রশাসকের প্রতি সেই দাবী তুলেছেন ক্রীড়ামোদীরা।
ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আল মামুন খান ধলু বলেন, ‘আমি যেটুকু জানি তাহলো মেলা কর্তৃপক্ষ এই মাঠটি আগামী ১৫ দিন পর খালী করে দিবে। তবে মাঠ খেলাধুলার জন্য উপযোগী হবে না। পুরো মাঠের মাটি চালনি দিয়ে চেলে খেলাধূলার উপযোগী করতে হবে। আর যদি মাসব্যাপী মেলা চলে তাহলে মাঠের অবস্থা হবে ভয়াবহ।’
ঝালকাঠি বনিক সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, ‘যেহেতু রমজান এবং ঈদ আসন্ন, সেহেতু মেলার সময় বৃদ্ধি হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুক্ষিন হবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কাপড়, পাদুকা, কসমেটিক্স ব্যবসায়ীরা শিঘ্রই আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে এবিষয়ে আবেদন করবে।’