মঙ্গলবার ● ৫ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পাহাড়ের সামাজিক উত্সব বৈসাবি’কে সামনে রেখে রাঙামাটিতে বিভিন্ন বর্নাঢ্য কর্মসূচি
পাহাড়ের সামাজিক উত্সব বৈসাবি’কে সামনে রেখে রাঙামাটিতে বিভিন্ন বর্নাঢ্য কর্মসূচি
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৫ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.১০মি)মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্টীদের বৈচিত্রপূর্ণ পোষাক পরিচ্ছেদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য ফ্যাশেনাবল পোশাক হতে পারে৷ তিনি বলেন, সম্প্রীতি বজায় থাকলে সংস্কৃতির বিকাশ ঘঠে ৷ তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান৷ পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলের কৃষ্টি সংস্কৃতির বিকাশে যে কোন উদ্দেগ নেওয়া হলে তাতে তার পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা হবে৷ তিনি বলেন, পাহাড়ী-বাঙালী সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে যাতে পার্বত্য সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারি৷
আগামী ১২ এপ্রিল থেকে তিন দিন ব্যাপী শুরু হওয়া বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিহু-বৈসাবি’কে সামনে রেখে সোমবার ৪এপ্রিল থেকে রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিহু উপলৰে ৩দিনব্যাপী মেলার উদ্ধোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্ত্যবে মহিলা সাংসদ একথা বলেন৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন রাকেন জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন, জেলা পরিষদ সদস্য সান্তনা চাকমা ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর প্রাক্তন পরিচালক মুজিবুল হক বুলবুল৷ স্বাগত বক্তব্যে রাখেন রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটের পরিচালক ভারপ্রাপ্ত রুনেল চাকমা৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যে যেই জাতিগোষ্টীর হইনা কেন সকলে মিলেমিশে সকলের উত্সব স্বানন্দে পালন করব৷ ধর্ম যার যার উত্সব সবার৷ তিনি বলেন, কালের বিবর্তনে নৃগোষ্টীদের হস্তশিল্প কর্ম হারিয়ে যেতে বসেছে৷ এশিল্পগুলোকে আমাদের তুলে ধরতে হবে বিশ্ব বাজারে৷ হস্ত শিল্পের প্রসারে তিনি সমিতির মাধ্যমে জেলা পরিষদ কর্তৃক সর্বাত্বক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন৷
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় অধিবাসীদের নিজস্ব তৈরী হস্তশিল্প নমুনা পাঠানোর জন্য আমেরিকা রাষ্ট্রদূত এর পক্ষ থেকে পত্র পাঠানো হয়েছে৷ এসব পণ্য যদি তাদের পছন্দনীয় হয় তবে তাদের বাজাররেও বাজার করনের উদ্দ্যেগ নিবেন তারা৷
তিন দিনব্যাপী মেলার মধ্যে রয়েছে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, আদিবাসী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক৷ এছাড়া তিন ব্যাপী মেলায় আদিবাসীদের তৈরী পোশাক অলংকার সামগ্রিসহ বিভিন্ন পণ্যর স্টল বসানো হয়েছে৷
উলেস্নখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) এগার ভাষাভাষি চৌদ্দটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী জাতিসত্তার বসবাস৷ এসব সমপ্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উত্সব হচ্ছে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু (বৈসাবি)৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত আদিবাসীদের এই উত্সবটি উচ্চারনগতভাবে বিভিন্ন নামের পালন করলেও এর নিবেদন ও ধরন কিন্তু একই৷ তাই এ উত্সবটি আদিবাসী পাহাড়িদের শুধু আনন্দের নয়, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সমপ্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও বটে৷