রবিবার ● ৫ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে বিদ্যালয়ের জায়গা ইউপি চেয়ারম্যানের দখলে
রাউজানে বিদ্যালয়ের জায়গা ইউপি চেয়ারম্যানের দখলে
রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামে রাউজানের উত্তর দলই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০শতক জমি দখলে রাখায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিমাপ করে খুঁটি পুতে দিলেও ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাহুর বলে স্থাপন করা খুঁটি উঠিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েমা জামাল। জানা যায়, ১৯০৫ সালে উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তর দলই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সে সময় প্রাণ কৃষ্ণ মহাজন নামে এক দানশীল ব্যক্তি বিদ্যালয়ের জন্য ৫৮শতক জমি দান করেন। পরে রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আরও দুই শতক জমি কিনে দেন। সে হিসেবে জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ শতক জমি। কাগজে কলমে ৬০ শতক জমি হলেও দখলে আছে মাত্র ৪০ শতক জমি। বাকী ২০ শতক দখলে রেখে ভোগ করে আসছেন গহিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাঁশি ও তার আপন ভাই নুরুল আলম। চেয়ারম্যান পরিবারে দখলে থাকা জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিদুয়ানুল ইসলামের নিদের্শনায় সার্বেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে খুঁটি পুতে দেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান শিক্ষক স্কুলে গিয়ে খুঁটিগুলো দেখতে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেন। গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। খুঁটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের জমি দখল করে কতিপয় ব্যক্তি ঐক্যতান ক্লাব নাম দিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করেছে। উত্তর দলই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েমা জামাল বলেন, জমির নামজারির কাগজ পর্যবেক্ষণ করে বেদখলে থাকা জমি উপজেলা ভুমি অফিসের সার্বেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে খুঁটি পুতে দিলে রাতের আঁধারে খুটিগুলো অপসারণ করা হয়। তার অভিযোগের তীর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পরিবারের দিকে। আমরা বিদ্যালয়ের বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার করে সীমানা নির্ধারণ করতে চাই। এই প্রসঙ্গে কথা বললে গহিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুর আবছার বাঁশি বলেন, ‘খুঁটিতে কি জায়গা চলে যাবে? আমাকে না জানিয়ে পরিমাপ করা হয়। স্কুলের জায়গা আমার বা আমার ভাই কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যের দখলে থাকলে আমরা ছেড়ে দিবো। খুঁটি উঠিয়ে ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।’ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বলেন, রাউজানে উত্তর দলইনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমাণ ৬০ শতক। ওই জমির মধ্যে কিছুজমি স্কুলের দখলের বাইরে চলে যায়। রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নির্দেশে বেদখলে থাকা জমি পরিমাপ করে খুটি পুতে দখল করা হয়। উল্লেখ্য, উত্তর দলই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি ভবন, একটি ওয়াশ ব্লক। মোট শিক্ষার্থী ১৬১জন, শিক্ষক রয়েছেন ৭জন।
রাউজানে বসতঘর থেকে অজগর সাপ উদ্ধার
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে বসতঘর থেকে প্রায় ১২’ফুট লম্বা বিশাল একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। (৪-মার্চ) শনিবার সকালে ৬নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শিবু বড়ুয়া বসতঘর এর ছাদ থেকে বিশাল এই অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, অজগরটি খাবারের সন্ধানে বসতঘরে প্রবেশ করেছিল। পরে ঘরের লোকজন দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন এসে সাপটি উদ্ধার করেন।
দেশের অর্থনীতিতে মোবাইল অ্যাপ ও গেইম ইন্ডাস্ট্রি অবদান রাখবে”- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি
রাউজান :: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি বলেছেন, “আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না- বঙ্গবন্ধুর এই অমিয় বাণীই বাংলাদেশের আজকের এই উন্নয়নের সাফল্যগাঁথা। ৪র্থ শিল্পবিল্পবের এই সময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মোবাইল অ্যাপ ও গেইম ইন্ডাস্ট্রি বিশাল অবদান রাখছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের বর্তমান রপ্তানি আয় প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে সেটা ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব বাজারের উপযোগী করে মোবাইল অ্যাপ ও গেইম ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে দেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ ডেভেলপার তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। চুয়েটের এই ধরনের ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মে মাঝে উদ্যোক্তা মনোভাব ছড়িয়ে দিতে চাই। দেশের অর্থনীতিতেও মোবাইল অ্যাপ ও গেইম ইন্ডাস্ট্রি অবদান রাখতে বলে আমরা বিশ্বাস করি।” (৪-মার্চ) শনিবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও গেইম শিল্পে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং এই খাতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপস প্রজেক্টের উদ্যোগে আয়োজিত “মোবাইল অ্যাপ, গেইম এবং জব ফেস্টিভ্যাল-২০২৩” (Mobile App, Game & Job Festival-2023) বিষয়ক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত উক্ত উৎসবে আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী ও তরুণ নেতৃত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী, আইসিটি বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন, চুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোকাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আইসিটি বিভাগের মোবাইল গেইম ও অ্যাপস শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চুয়েটের সিএসই বিভাগের প্রভাষক মৌমিতা সেন শর্মা ও সাদমান সাকিব।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় “স্মার্ট ক্যারিয়ার উইথ অ্যাপ অ্যান্ড গেইম”, “দ্য রাইজ অব অ্যানিমেশন: অ্যাক্সপ্লোরিং দ্য ক্যারিয়ার”, “পিপল, ট্রেনিং অ্যান্ড টেকনোলজি”, “অ্যানিমেশন মুভি স্ক্রিনিং” এবং “প্রেজেন্টেশন অন শর্ট লিস্টেড গেইম অ্যান্ড অ্যাপ” শীর্ষক পৃথক পাঁচটি সেশন পরিচালিত হয়। উক্ত সেশনসমূহে বর্তমান বিশ^বাজারের চাহিদা উপযোগী বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ ও গেইম তৈরির লক্ষ্যে তরুণ প্রযুক্তিবিদ ও শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মোবাইল অ্যাপস এবং গেইম বিষয়ক দুই শতাধিক আইডিয়া নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বাছাইকৃত তিনটি আইডিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া জব ফেস্টিভ্যালে দেশের স্বনামধন্য ২০টি আইটি ও সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। যেখানে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস, গেইম ও আইডিয়া নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। উৎসবে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় এক হাজার লোকের মিলনমেলা বসে।