মঙ্গলবার ● ৫ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১জন গুলিবিদ্ধ : আহত ১৫
ঝিনাইদহে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১জন গুলিবিদ্ধ : আহত ১৫
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৫ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৫মিঃ) ঝিনাইদহে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন ৷ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কলমনখালী গ্রামে সোমবার সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১২ রাউন্ড গুলি চালায়৷ এতে মধুনাথপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মফিজ উদ্দীন (৪৫) গুলিবিদ্ধসহ ইটপাটকেলের আঘাতে অন্তত ১৫ জন কমবেশি আহত হয়েছে ৷ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দোগাছীর বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ফয়েজুল্লাহ দলীয় মেনানয়ন পেতে ব্যার্থ হন৷ ওই ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় আওয়ামীলীগ নেতা আসাহাক আলী জোয়ারদারকে ৷ এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সোমবার সকাল ১০টার দিকে কলমনখালী বাজারে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শোডাউন থেকে এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়৷ শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রথমে দুই গ্রুপকে সংঘর্ষ থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ৷ পুলিশের আদেশ নিষেধ অনাম্য করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষ চালাতে থাকলে এক পর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ১২ রাউন্ড গুলি চালায় ৷ এ ঘটনায় মফিজ উদ্দীন নামে ইসহাক জোয়ারদারের এক সমর্থক গুলিবিদ্ধ হন ৷ এছাড়া হরিপুর গ্রামের তৈয়ব আলী বিশ্বাসসহ অনেকেই ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জোমারত আলী নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান৷ এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়েজুলালাহ ও দলীয় মেনানয়ন প্রাপ্ত ইসাহাক আলী জোয়ারদার এই সংঘষের্র জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন ৷ ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সকালে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কলমনখালী বাজারে আওয়ামীলীগ সমর্থিত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷ পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে ৷ তবে এতে কেউ আহত হয়েছে কিনা তা জানা নেই বলে ওসি জানান ৷ তিনি আরো জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷ বর্তমান পরিস্থিতি শান্তা রয়েছে ৷ এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই রাশেদ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করতে আসেনি ৷