রবিবার ● ২ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » প্রয়াত সুকুমার দাশের খামারবাড়ী থেকে গরু নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা
প্রয়াত সুকুমার দাশের খামারবাড়ী থেকে গরু নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সুকুমার দাশের কৃষি খামার থেকে ৪টি গরু সন্ধ্যার সময় নিয়ে চলে গেছে গত ৫দিন পূর্বে। যে সন্ত্রাসীচক্রের দলে রয়েছে মগল মিয়া, পিতা-মৃত: ইয়ায়র মিয়া সিকদার, সাং পাঞ্জারাই গাংপাড়, মইনুল মিয়া, এরশাদ মিয়া উভয় পিতা- তাজু মিয়া, সাং- পাঞ্জারাই,জুবায়ের মিয়া, সবুর মিয়া, উভয় পিতা-, সাং- শ্রীধরপুর, জালাল মিয়া (প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা করে, নাসির বিড়িসহ ধরাপড়ে এবং জেল খাটে) ও আনসার মিয়া, (মদ জাতীয় নেশা করে) পিতা-মৃত-কাদির মিয়া সন্ত্রাসীদের সর্দার), উভয় সাং- পাঞ্জারাই।
এই ঘটনার দুইদিন পর একই গ্রামের নিরীহ একজন লোক আশীষ দাশের একটি গাভী সন্ধ্যার সময় তাঁর বাড়ীর পাশের চারণভূমি থেকে নিয়ে ৫০০ গজ দূরে আলাউদ্দিন মিয়া, সাং-পাঞ্জারাই এর বাড়ীর পাশে জঙ্গলে জবাই করে নিজেদের মধ্যে ভাগ বন্টন করে নিয়ে চলে য়ায়। এই ঘটনার সাথে সরাসরি সহোযগিতা করছে এই দুই গ্রামের আরও কিছু সন্ত্রাসী মানুষ যারা ২০২১ সালের দুর্গা পূজার সময় গুমগুমিয়া গ্রামের পূজামন্ডপে আক্রমণ ও ভাংচুর করে। এই আক্রমণে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান ও মাথা ফেটে যায়। সেই সাথে এই সন্ত্রাসীদের আক্রমণে অনেক হিন্দু নারী পুরুষ চরমভাবে আহত হন। পুলিশবাদী এই কেইসে এই আক্রমণের সাথে যেসব সন্ত্রাসী জড়িত ছিল তাদের অনেকেই দীর্ঘদিন হাজতবাসের পর সম্প্রতি বেইলে গ্রামে ফিরেছে। এসেই তারা নিরীহ সুন্দর হিন্দু মানুষগুলোকে নানাভাবে অত্যাচার করছে। যার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান সুকুমার দাশের কৃষি খামার থেকে ৪টি বড় আকৃতির গরু নিয়ে যাওয়া ও আশীষ দাশের গাভী জবাই করে খাওয়া। যা এলাকার মানুষের মনে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এই সন্ত্রাসীচক্র ভবিষ্যতে আরও কত ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হবে তা নিয়ে এলাকার মানুষের আতঙ্কের শেষ নেই। এমনকি এই সন্ত্রাসীচক্র পুলিশের কাছে অভিযোগ না করার জন্যও নানাভাবে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তাই অনেকেই মুখ খুলছে না। এলাকার মানুষের ও এই বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসীচক্রের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি ও কর্মের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের জন্য। যাতে কোন সন্ত্রাসীচক্র এমন দুষ্কর্ম করার সাহস ভবিষ্যতে না পায়। সেই সাথে গ্রামের মানুষের আকুল আবেদন হাজত ফেরত এই সন্ত্রাসীরা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় সে ব্যবস্হা গ্রহণ করার জন্য। তারা আরও জানায় তারা সবার সাথে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। গুটি কয়েক সন্ত্রাসীদের জন্য যেন অতীতের সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট না হয়।
নবীগঞ্জে নজির মিয়া সরকারী প্রাইমারী স্কুলে দুঃসাহসিক চুরি
হবিগঞ্জ :: নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের নজির মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুঃসাহসিক চুরি সংগঠিত হয়েছে। চুরেরা এ সময় স্কুলের গ্রীল ও শ্রেণীকক্ষ গুলোর তালা ভেঙ্গে প্রায় ১ মাসের ব্যবধানে ৩ বার চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। গত ০২ মার্চ রাউটার মেশিন ও সাউন্ড বক্স চুরি, ২৫ মার্চ ১টি শ্রেণীকক্ষ ও অফিস কক্ষের মোট ৫টি সিলিং ফ্যান চুরি এবং গত ৩০ মার্চ পুনরায় ২টি শ্রেণীকক্ষের ৮টি সিলিং ফ্যান চুরি করে নিয়ে যায়। ওই চুরির ঘটনায় গত ৩১ মার্চ ২০২৩ইং স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত স্কুলের ফ্যান সহ বিভিন্ন সরমঞ্জাম চুরির ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। ধারনা করা যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র পরিকল্পিতভাবে এ চুরির ঘটনা ঘঠিয়েছে। উল্লেখ্য যে ওই স্কুলটি জাতীয় করণকৃত হওয়ায় পর থেকে কোন দপ্তরী নিয়োগ করা হয়নি। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।