বৃহস্পতিবার ● ৬ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » কৃষি » ঘোড়াঘাটে বাণিজ্যিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ
ঘোড়াঘাটে বাণিজ্যিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দিন দিন নেপিয়ার ঘাস চাষের প্রতি ঝুঁকছেন কৃষকরা। বর্তমান মৌসুমে হাট বাজার গুলোতে বেচা বিক্রি বেড়েছে নেপিয়ার ঘাসের। নিজেদের গবাদী পশুর খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি অংশ বাজারে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ঘাস চাষিরা।
ঘোড়াঘাট উপজেলার ৪ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, উল্লেখযোগ্য হারে এ ঘাস চাষ হচ্ছে। রাস্তার ধার, অনাবাদি জমি, বাড়ির আশপাশ, জমির আইল দিয়েও চাষ করা হচ্ছে এ ঘাস। সহজ পদ্ধতি ও কম পরিশ্রমে এ ঘাস চাষ করা যায়। এ ঘাসের চারা একবার জমিতে লাগালে ৩ বছরের মধ্যে নতুন করে লাগাতে হয় না। গবাদি পশুর প্রিয় খাদ্য হিসেবে ভিটামিন-এ ও অন্যান্য পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এ ঘাসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
বছরে সাধারণ সময়ে স্থানীয় হাট বাজারে এক মুঠো (আটি) ঘাস ১০ টাকা ও তিন আটি ঘাস এক সঙ্গে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। অনেকেই ঈদকে সামনে রেখে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ করে থাকেন। নিজেদের গবাদি পশু গুলোকে খাওয়ানোর পাশাপাশি এই ঘাস বাজারে বিক্রি করে থাকে। বর্তমানে নেপিয়ার ঘাস চাষ করে অনেক প্রান্তিক কৃষক এখন স্বাবলম্বি হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের ধারণা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উপজেলা ও তার আশেপাশের এলাকা গুলোতে নেপিয়ার ঘাসের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা শেখালীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি পেশায় একজন কৃষক। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ১ বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাসের চাষ করছেন। তার বাড়িতে নিজের গরু থাকায় এখন আর তাকে বাজার থেকে ঘাস কিনতে হয় না, বরং বাড়ির গরুর খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ঘাস তিনি বাজারে বিক্রি করেন। লাভের অংক জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতি বিঘা জমিতে সারা বছরের খরচ বাদ দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কুমার দে জানান, গো-খাদ্য হিসেবে দানাদার খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষক বা খামারীদেরকে নেপিয়ার ঘাস চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতি মাসে ৭/৮ জন কৃষকদের চারা কাটিং সরবরাহ করা হয়ে থাকে। গত ৬ মাস পূর্বে এক জরীপে এ উপজেলায় ২শ একরের উপরে ঘাস চাষ ছিল। পরবর্তী ৬ মাসে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।