রবিবার ● ৯ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি
ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত পৌর শহরের চরনিখলা এলাকায় (৮ এপ্রিল ২০২৩) শনিবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ওই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচি শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় মারেফাতুল উলুম এতিম খানা হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইফতার করবেন ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম. হারুন-অর-রশিদ, ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনি, ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী টিপু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হোসেন মন্ডল, সাজাহান জয়পুরী, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম জিকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী, ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর) যুবদলের সহ-সভাপতি এডভোকেট সারোয়ার জাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিন্টু, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন নয়ন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শামীম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সরকার, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন চকদার, সদস্য সচিব হারুন অর রশীদ, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নওশাদ, সদস্য সচিব রেদোয়ান আহমদসহ ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে আসা নেতাকর্মীরা।
ঈশ্বরগঞ্জে চা বিক্রেতার আত্মহত্যা
ঈশ্বরগঞ্জ :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সাকুয়া গ্রামে আব্দুর রাজ্জাক খান (৭০) ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরের আঁড়ার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
জানা যায়, ৩ যুগের অধিক সময় ধরে সে কোণাপাড়া বাজারে চা-বিক্রি করে আসছিলো। ইতোমধ্যে তার চোখে অসুখ দেখা দেওয়ায় চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় লোকদের আর্থিক সহায়তায় চোখের অপারেশন করেন। অপারেশনের পরে নিয়মিত ঔষধ সেবন না করায় তার চোখের ব্যাথা আরো তীব্র আকার ধারণ করে। এতে সে মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ফাঁস নেন বলে স্থানীয়দের ধারনা।
ঘটনার দিন স্ত্রী ছাড়া পরিবারের আর কেউ বাড়িতে ছিলো না। সেহেরির সময় স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ভয়ে চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন এসে জড়ো হয়।
ওই ইউপি চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানা জানান, একমাস পূর্বে তার চোখের অপারেশনের জন্য আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ১২ হাজার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান জানান, থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।