বুধবার ● ৬ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বৈসাবী উপলক্ষে রাঙামাটিতে র্যালী, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বৈসাবী উপলক্ষে রাঙামাটিতে র্যালী, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৬ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.১০মিঃ) পুরাতন বছরের গস্নানী ভুলে বাংলা নতুন বছরে সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে এক হয়ে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটির মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু৷
বুধবার ৬এপ্রিল রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক-বৈসাবী ও বাংলা নবর্বষ উত্সব উপলক্ষে আয়োজিত র্যালী উত্তর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷
সংসদ সদস্য ফিরোজা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক উত্সব বিজু -সাংগ্রাই -বৈসু আর বাংলা নববর্ষকে ঘিরে পাহাড়ে এখন উত্সবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে ৷ পাহাড়ের প্রতিটি পল্লিতে এই উত্সবকে ঘিরে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মেতে উঠেছে আনন্দ উত্সবে ৷ এতে করে মানুষে মানুষে যে ভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি হয়েছে তাতে পার্বত্য এলাকা শান্তি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ অনেকাংশে বৃদ্দি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি ৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ উল্লাহ, পরিষদের সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, ত্রিপুরা কল্যান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্ঠা সাগরিকা রোয়াজা, পাংখোয়া জনগোষ্টীর প্রতিনিধি লাল চুয়াক লিয়ানা পাংখোয়া ৷
সকালে রাঙামাটি সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের সম্মিলনে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয় ৷ র্যালীতে নানান রংবেরংয়ের সাজে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ অংশ নেয় ৷ র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয় ৷ র্যালী শেষে আলোচনাসভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশেত হয় ৷
সভাপতির বক্ত্যবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের সামাজিক উত্সব বিজু- সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু এবং বাংলা নববর্ষে মানুষ যাতে উত্সবমূখর পরিবেশে পালন করতে পারে সে লক্ষে জেলা পরিষদ পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করেছে ৷ তিনি বলেন, বৈসাবি আর বৈশাখি উত্সবে মানুষের সম্প্রীতি যাতে আরো সুদৃঢ় হয় সকলকে সে চেষ্ঠা নিতে হবে ৷ অতিতের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে পুরাতন বছরকে বিদায় আর বাংলা নতুন বছরকে আনন্দের সাথে মানুষ যাতে বরণ করতে পারে সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি ৷
আলোচনাসভা শেষে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ৷