সোমবার ● ২২ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » জাতীয় » আগামীকাল ২৩ মে বেলা ১১ টায় গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা দক্ষিণের পদযাত্রা
আগামীকাল ২৩ মে বেলা ১১ টায় গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা দক্ষিণের পদযাত্রা
আগামীকাল ২৩ মে ২০২৩ বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা দক্ষিণের পদযাত্রা শুরু হবে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচী হিসাবে এই পদযাত্রা।
পদযাত্রায় অংশ নেবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারী সহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বাহাদুর শাহ পার্কে সমাবেশে নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পদযাত্রা শেষ হবে।
পাবনায় নানা অনুষ্ঠানে মাননীয় রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক বক্তব্য রাষ্ট্রপতি পদের সাংবিধানিক দায়িত্ব ও মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়
আজ বিকালে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনিরউদ্দিন পাপ্পু, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সিরাজ মিয়া, নাগরিক ঐক্যের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাক্ষারুল ইসলাম নবাব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিবুল্লাহ বাহার, নাগরিক ঐক্য এর আবদুর রাজ্জাক তালুকদার প্রমুখ।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়, মাননীয় নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর সদ্য সমাপ্ত পাবনা সফরে নানা অনুষ্ঠানে সরকার দলীয় নেতাদের মত যেসব পক্ষপাতদুষ্ট রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন তা তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব ও মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাঁর বক্তব্য দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ
করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারি দল তথা প্রধানমন্ত্রীর মতামতে তিনি রাষ্ট্রপতি হলেও রাষ্ট্রপতির পদ কোন দলীয় রাজনৈতিক পদ নয়; রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেবার পর তিনি আর কোন দলীয় ব্যক্তি নন। আর শপথ অনুযায়ী অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়েও তাঁর দায়িত্ব পালনের কথা নয়।
প্রস্তাবে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ হিসাবে রাষ্ট্রপতি পদের যে মর্যাদা ও গুরুত্ব তা রক্ষা করার জন্য তাঁর প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় গৃহীত আর এক প্রস্তাবে খুলনা , পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশী হামলা, আক্রমন, গুলিবর্ষণ ও নেতা কর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ও চরম স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত বিরোধী দল ও জোটের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে ভয়ে আতংকে সরকার ও সরকারি দল দিশেহারা; ক্রমে তারা বেসামাল হয়ে পড়ছে।
প্রস্তবে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তি, আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি যে সকল পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসী যারা হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদানেরও আহবান জানানো হয় ।
সভায় আগামী ২৩ মে বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা দক্ষিণের পদযাত্রা সফল করারও আহবান জানানো হয়।
বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও সরকার দলীয়দের সন্ত্রাসী হামলায় গণতন্ত্র মঞ্চের তীব্র নিন্দা
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে খুলনা,পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশী হামলা, আক্রমন, গুলিবর্ষণ ও নেতা কর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ও চরম স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত বিরোধী দল ও জোটের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে ভয়ে আতংকে সরকার ও সরকারি দল দিশেহারা; ক্রমে তারা বেসামাল হয়ে পড়ছে। সরকার তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে গতকাল ও আজ খুলনা, নেত্রকোনা, পটুয়াখালী, রাজবাড়ী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে হামলা আক্রমণ ও পুলিশের গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে ।
বিবৃতিতে বলা হয়, খাদ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতি, তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীসহ সরকারের পদত্যাগের দাবীতে গতকাল ও আজকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচী পালনের সময় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ মিলে এই হামলা আক্রমণ চালিয়েছে, বিএনপির সভা সমাবেশ পন্ড করা হয়েছে। খুলনাতে পুলিশ সরাসরি নেতাকর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছে।কোন উসকানি ছাড়া এই হামলা ফ্যাসিবাদী নিপীড়ন ও কাপুরুষিত ঘটনা।।
বিবৃতিতে বলা হয়, সমাবেশের আগের দিন থেকে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যে মামলা, শত শত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও গুলি চালিয়ে আন্দোলনের গতিরোধ করা যাবে না।
বিবৃতিতে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তি, আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি যে সকল পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসী যারা হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদানেরও আহবান জানানো হয় ।
একইসাথে অবৈধ সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক তৎপরতার বিরুদ্ধে দেশের সকল গণতন্ত্রকামি শক্তি ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন জোরদার করারও আহবান জানানো হয়।