বুধবার ● ২৪ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে হত্যার ঘটনায় ইদ্রিস মিয়া গ্রেপ্তার
রাউজানে হত্যার ঘটনায় ইদ্রিস মিয়া গ্রেপ্তার
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামী পাড়া গ্রামে পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ এনে কাজী দিদারুল আলম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে পাওনাদারের বাড়িতে পাঁচ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করার পর হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। এই ঘটনার মামলার আসামি ও পরিবার কর্তৃক অভিযুক্ত সেই ইদ্রিস মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর একটি দল। ২৩ মে মঙ্গলবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া এলাকার একটি আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া (৫০) রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়া গ্রামের খলিল দফদারের বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের ছেলে।
পাওনাদার দাবী করা মুহাম্মদ ইউনুছের বাড়ির শোবার কক্ষের খাটে গলায় লুঙ্গি পেছানো অবস্থা থেকে গত মঙ্গলবার নিহত কাজী দিদারুলের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ মামলার আসামীরা হলেন একই গ্রামের ইউনুচ ড্রাইভারের বাড়ির মৃত সায়ের আহমদের ছেলে মুহাম্মদ ইউনুছ (৫০), খলিল দফাদারের বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের ছেলে মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া (৫০), চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাওয়ের বাসিন্দা মুহাম্মদ আলমগীর (৫০) ও ফেরদৌস নামের একজনসহ অজ্ঞাত আরও সাত আটজন। র্যাব-৭ এর হাটহাজারী ক্যাম্প ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার পরদিন থানায় সুনির্দিষ্ট চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত সাত আটজনকে আসামী করে নিহতের ছেলে কাজী মিনারুল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর পুলিশ প্রত্যেক আসামীর বাড়িতে তাল্লাশী চালিয়েছে তবে আসামীরা সবাই পরিবারসহ বাড়ি ছেড়ে পালাতক ছিলো। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাজী দিদারুলের কাছ থেকে আসামিরা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার দাবী করতেন। নানাভাবে পাওনা টাকা আদায়ে চাপ দিতেন ইউনুছ আর ইদ্রিসের নেতৃত্বে সাত আটজন। এরপর গত আড়াই বছর আগে বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চট্টগ্রাম নগরে চলে যান দেনাদার দিদারুল। তবে পরিবার বলছে মাসে মাসে দেনাশোধ করতে পাওনাদারদের কিস্তি হিসেবে টাকা দিতেন দিদারুল। এরমধ্যে গত শুক্রবার রাতে দিদারুলকে চট্টগ্রাম নগর থেকে তুলে আনেন ইউনুস আর ইদ্রিস মিয়াসহ সাত আটজন। সবাই মিলে আটকে রাখেন ইউনুছের পাকা বাড়ির একটি বদ্ধ কক্ষে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বিকেলে ইউনুছের পাকা বাড়ির ওই কক্ষে খাটের উপর গলায় লুঙ্গি পেছানো ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে থানায় মামলা হয়। রাউজান থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন আজ মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ভোরে আসামী মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়াকে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব ৭ চট্টগ্রাম এর হাটহাজারী ক্যাম্প। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। অন্য আসামীদেরও শিগগির গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
রাউজানে গাছ কাটতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে বাগানের গাছ কাটতে গিয়ে মো. শফি (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ২৩ মে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মো. শফি রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াসিন নগর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বরফত দরিলা ঠিলার মফিজুর রহমানের পুত্র।
জানা যায়, হলদিয়ার হযরত আলী হোসেন (রহ:) সেতু সংলগ্ন একটি টিলায় স্থানীয় নুরুচ্ছাফা সওদাগরের বিক্রিত গাছ বাগানে অন্যান্য শ্রমিকের সাথে গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত ছিলেন মো. শফি। কাজের একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে একটি গাছের ডাল তার মাথায় পরে এসময় তিনি মারাত্মক আহত হন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে জেকে মেমোরিয়াল হসপিটাল পরে সেখান হতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাউজানের ইব্রাহিম
রাউজান :: সংযুক্ত আরব আমিরাতে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক শিশুর। রবিবার ২১ মে সন্ধ্যায় আবুধাবিতে সড়ক থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম (১০)। সে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তরসর্তা তোতাগাজী বাড়ীর মোহাম্মদ ওসমানের পুত্র। জানাযায়, রবিবার সন্ধ্যায় আবুধাবী মরুর সড়ক পাশ্বস্থ পার্কে অন্যান্য শিশুদের সাথে ফুটবল খেলছিল ইব্রাহিম। এক পর্যায়ে সড়কের পাশে ফুটবলটি চলে যায়। এসময় সড়কের পাশ থেকে ফুটবলটি আনতে গেলে ইব্রাহিমকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ী। ধাক্কায় ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয় ইব্রাহিম। তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে সেই দেশের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে আবুধাবি বানিয়াছ নামক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম আবুধাবি বাংলাদেশ ইসলামী স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। সে বাবা মার সাথে আমিরাতে বসবাস করে আসছিলেন।