বুধবার ● ৭ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ২০১৮ সালের মত সংলাপে কোন কুটকৌশলে এবার কেউ বিভ্রান্ত হবেনা
২০১৮ সালের মত সংলাপে কোন কুটকৌশলে এবার কেউ বিভ্রান্ত হবেনা
আজ ৭ জুন সকালে দিনাজপুরের লোকভবন প্রাংগনে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা - দিনাজপুর রোড়মার্চ এর দিনাজপুরের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরিক ঐক্যের জেলা আহবায়ক সৈয়দ এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সহসভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল। সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আবু হাসান টিপু।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন প্রচারসর্বস্ব আলোচনার কোন টোপে সরকার বিরোধী গণআন্দোলন এবার পথ হারাবে না। সরকারের কোন কুটকৌশলে এবার কেঊ বিভ্রান্ত হবেনা।
তিনি বলেন, সরকার ও সরকারি দল দুই ইস্যুতে - পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী বা তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলে সরকারের সাথে বিরোধী দলের আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে ২০১৮ সালের মত লোকদেখানো কোন সংলাপের এবার কোন অবকাশ নেই।
তিনি অধিকার ও মুক্তি অর্জনে চলমান গণসংগ্রামকে
গণঅভ্যুত্থানের পথে নিয়ে যাবার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার দেশ চালানোর যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। উন্নয়নের কথা বলে তারা মানুষের ভোটের অধিকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে । তাদের উন্নয়ন এখন মানুষকে চরম দূর্দশার মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। তিনি শেষ বলেন, এই ভোট জ্বালিয়াত আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে দেশ আর জনগণ কোনভাবেই আর নিরাপদ নয়। ত্তিনি বলেন,দেশকে আরও সর্বনাশের নিয়ে যাওয়ার আগেই এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। তিনি বলেন, গনআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে এবার আমরা পদত্যাগে বাধ্য করব।
শেষ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এই ভোট ডাকাত সরকার দেশকে ভয়ংকর বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই জালেমশাহীকে এখুনি বিদায় দিতে হবে। তিনি এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসকে বিদায় দিতে জনগনের সংগ্রামী ঐক্য গডে তোলার আহবান জানান।
এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, জনগণের অধিকার নিয়ে কাউকে আর ছিনিমিনি খেলতে দেয়স হবে না।সংবিধানের দোহাই দিয়ে এই সরকার শেষ রক্ষা করতে পারবে না।তিনি দিন বদলের পাশাপাশি গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করার ডাক দেন
নাগরিক ঐক্য এর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, সরকার এখন তার পতনের ফিন গুনছে। তিনি চলমান গণ আন্দোলন আরও জোরদার করার আহবান জানান।
বেলায়েত হোসেন মানুষ এবার তার অধিকার নিয়েই ঘরে ফিরবে।
রোড় মার্চ এখন রংপুরের পথে।
সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে: এই কারণে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা অসংলগ্ন আচরণ করছে
৫ জুন সকালে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা - দিনাজপুর রোড়মার্চ সিরাজগঞ্জের হাটিকুমডুল এ সমাবেশ শেষে বগুড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
সিরাজগঞ্জ শহরে গণতন্ত্র মঞ্চের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় শহরের বাইরে ঢাকা - বগুড়া মহাসড়কের পাশে হাটিকুমডুলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডির সহ সভাপতি সানোয়ার হোসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্য এর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মনির উদ্দিন মাস্টার
সহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
গণতন্ত্র মঞ্চের সিরাজপগঞ্জের নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গদি হারানোর আতংক ও নার্ভাস থাকার কারণে সরকার ও সরকারি দল রোড়মার্চের মত শান্তি পূর্ণ কর্মসূচীতেও বাঁধা দিচ্ছে, নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তিনি বলেন সকল ধরনের উসকানি মোকাবেলা করে রোড়মার্চের কাফেলা এগিয়ে যাবে।তিনি বলেন, দিন শেষ হয়ে আসছ্র বলেই সরকারের নীতিনির্ধারকেরা অসংলগ্ন আচরণ করছে। তিনি বলেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ সংসদ বিলুপ্তি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পথ পরিস্কার করলে দেশ এই সংকট থেকে বেরিয়ে আদতে পারে।সরকার এই পথে না হাটলে গণ সংগ্রামের পথে সরকারকে অল্পদিনের মধ্যে লজ্জাজনক ভাবে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন,, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে দেশ আর জনগণ কোনভাবেই আর নিরাপদ নয়। ত্তিনি বলেন,দেশকে আরও সর্বনাশের নিয়ে যাওয়ার আগেই এই সরকারঅকে বিদায় দিতে হবে। তিনি বলেন, গনআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে এবার আমরা পদত্যাগে বাধ্য করব। তিনি বলেন এবারকার আআন্দোলন সরকার ও গোটা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা পরিবর্তননের। এইলক্ষ্যেই গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে এই পদযাত্রা।
রোড়মার্চ সফল করতে তিনি দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
শেষ রফিকুল ইসলাম বাবলু মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর শিক্ষায় অনুপ্রানিত হয়ে বর্তমান জালেমশাহীর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার আহবান জানান।
এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সরকার বদলের পাশাপাশি গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে।তা না হলে এই রাষ্ট্রকেও রক্ষা করা যাবেনা।
এর আগে সকাল নেতৃবৃন্দ সিরাজজগঞ্জে প্রেসব্রিফিং করেন এবং রোড়মার্চে কোন উসকানি সৃষ্টি করার জন্য সরকার ও সরকারি দলের প্রতি আহবান জানান।
রোড় মার্চ এখন বগুড়ার শিবগঞ্জের পথে।
৪ জুন সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা - দিনাজপুর রোড়মার্চ শুরু হয়েছে
৪ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা - দিনাজপুর রোড়মার্চ শুরু হয়েছে।
রোড়মার্চে নেতৃত্ব প্রদান করছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারী সহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
রোড়মার্চে আরও আছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা শহীদুল্লাহ্ কায়সার, হাবিবুর রহমান রিজু, বাচ্চু ভূইয়া , আকবর খান, ইমরান ইমন, মোশাররফ হোসেন মন্টু প্রমুখ
এর আগে প্রেসক্লাবের সম্মুখে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশের একটি গভীর সংকটজনক জটিল সময়ে এই রোড়মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।আমরা যে কোন ধরনের উসকানি পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচী সম্পন্ন করতে চাই।তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ সংসদ বিলুপ্তি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পথ পরিস্কার করলে দেশ এই সংকট থেকে বেরিয়ে আদতে পারে।সরকার এই পথে না হাটলে গণ সংগ্রামের পথে সরকারকে বিদায় দিয়ে দেশ ও জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন , গতকাল মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আসল সত্য বেরিয়ে এসেছে। এই ভিসানীতি যে সরকার ও সরকারি দলের আর একটা জ্বালিয়াতির নির্বাচনের বিরুদ্ধে তাও এখন পরিস্কার হয়েছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন,, আওয়ামী লীগকে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না।আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে এবার আমরা পদত্যাগে বাধ্য করব। তিনি বলেন এবারকার আআন্দোলন সরকার ও গোটা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা পরিবর্তননের। এইলক্ষ্যেই গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে এই পদযাত্রা। তিনি এই পদযাত্রায় বাধা প্রদানের সরকার ও সরকারি দলকে হুশিয়ার করে দেন।
তিনি ভারতের নতুন সংসদ ভবনের ম্যুরালে অখণ্ড ভারতের মানচিত্রের তীব্র সমালোচনা করেন এবং এই ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান পরিস্কার করার আহবান জানান।
রোড়মার্চ সফল করতে তিনি জনগণের ঐকান্তিক সমর্থন কামনা করেন।
রোড়মার্চ এখন গাজীপুরের পথে। দুপুরে গাজীপুরের চৌরাস্তায় সমাবেশ শেষে রোড়মার্চ টাংগাইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।