সোমবার ● ১২ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখম
ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখম
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১১ বছরের শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার গুরতর আহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ফানুর গ্রামে গত শনিবার এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। আহত শিশু মুশফিকুর রহমান রাহিন (১১) ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন জাটিয়া ইউনিয়নের আব্দুল হাইয়ের দুই ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫)। শফিকুলের ছেলে হুমায়ূন (২৬) ও স্ত্রী আছমা আক্তার (৪৭)। রফিকুলের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (৩৭)।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ফানুর এলাকার মজিবুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই এলাকার শফিকুলসহ তাঁর ভাইদের সঙ্গে। এ অবস্থায় গত শনিবার মজিবুরের শিশুসন্তান মুশফিকুর রহমান রাহিন স্থানীয় মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। পথিমধ্যে অভিযুক্তরা শিশুটির পথ আটকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়ায় শিশুটির একটি ডান হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন এবং বাম হাতের কবজির হাড় ও রগ কেটে যায়। এ সময় শিশুটির ডাক চিৎকারে তার বাবা মজিবুর রহমান এগিয়ে গেলে তাঁর পিঠে এবং মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান বলেন, তার ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তার অবুঝ ছেলেটিকে না মেরে যদি তাকে মারত, তাহলে তার কোনো দুঃখ ছিল না। তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার চেয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দ্বন্দ্ব থাকলে বাবার সঙ্গে আছে। অবুঝ শিশুটির কী দোষ ছিল? এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান এলাকাবাসী।
অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে ঘরে তালাবন্ধ পাওয়া যায়। তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, এ ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।