রবিবার ● ১৮ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » কৃষি » রাতের আঁধারে মাটিরাঙ্গায় ফলদ বাগানের গাছ কাটার অভিযোগ
রাতের আঁধারে মাটিরাঙ্গায় ফলদ বাগানের গাছ কাটার অভিযোগ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা তবলছড়িতে রাতের অন্ধকারে ওসমান বাগান নামে পরিচিত ৪৫একর সৃজিত ফলদ বাগানের পেপেঁ, আম, আনার, খেজুর গাছসহ বেশ কিছু চারা গাছ, দূর্বৃত্ত কর্তৃক কাটার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার(১৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার তবলছড়ি ঝর্ণাটিলা কাঠালমনি পাড়া সড়কের প্রায় ৩’শ গজ ভেতরে ফলদ বাগানে এই তান্ডব চালায় দূর্বৃত্তরা। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থ চাষী।
সরেজমিনে দেখা যায়, পেঁপে চারাসহ বেশ কিছু, আম, খেজুর, আনার, মাল্টা গাছ কাটা। রাতের আঁধারে এভাবে বাগান কেটে ফেলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। দুর্বৃত্তদের খুজে বের করে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
ওই রাতে পাহাড়ারত বাগানের কেয়ারটেকার(শ্রমিক) ময়ূর জ্যোতি ত্রিপুরা বলেন, আমরা ৬জন কেয়ারটেকার রাতে এই ফলদ বাগানটি নিয়মিত পাহারা দেই। গত রাতে ৩জন ছুটিতে ছিলো। সন্ধ্যার পর ২৫জন দূর্বৃত্ত আমাদের ৩জনকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পাশের এক টিলার উপর বেঁধে রাখে। তারা ২/৩ঘন্টাব্যাপী বাগানের গাছ কাটে। ঘরের ভেতরে থাকা সোলার, ব্যাটারী ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যাওয়ার পথে আমাদের বাঁধন গুলি খুলে দেয়। আমরা রাত ১১টার দিকে বাড়িতে ফিরে ওসমান গনিকে বাগানের গাছ কাটার বিষয় জানাই।
বাগানের দাবিদার
তবলছড়ির মোল্লাবাজার এলাকার বাসিন্দা মোঃ ওসমান গনি বলেন, গত দুই বছর আগেও দুর্বৃত্তরা বাগানের বেশ কিছু গাছ কেটে দিয়েছে, ঘরের টিনের বেড়া ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আবারও নতুন করে কয়েক হাজার পেঁপে চারাসহ আম, মাল্টা, খেজুর, আনার ও রোপন করা পেঁপে বাগানের প্রায় সমুদয় গাছ, পানির পাইপ কেটে ফেলায় এবং ঘর থেকে সোলার, ব্যাটারীসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যাওয়ায় প্রায় ২৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে মাটিরাঙ্গা থানায় ও তবলছড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে মৌখিক অভিযোগ করেছেন বলে জানান মো. ওসমান গনি। পরে সকালে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত বাগান পরিদর্শন করেছেন। যামিনীপাড়া বিজিবি খোঁজখবর নিয়েছেন।
ঘটবার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ মৌখিক ভাবে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।