মঙ্গলবার ● ২০ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » হালদা নদীতে পরিপূর্ণ ডিম ছেড়েছে মা মাছ
হালদা নদীতে পরিপূর্ণ ডিম ছেড়েছে মা মাছ
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মা মাছ ডিম ছেড়েছে। জেলেদের দীর্ঘ কয়েক মাস অপেক্ষার পর রবিবার রাত ১১টার দিকে নদীতে ডিম ছাড়া শুরু করে মা মাছ। সারাদিন অপেক্ষার পর রাতে নদীর দুই পাড়ে দলবেধে জাল ফেলে ডিম সংগ্রহ করেন জেলেরা। রবিবার দুপুরের দিকে প্রথম দফায় কিছু নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ। রাতে পাহাড়ী ঢল ও জোয়ারের সময়ে পুরোদমে ডিম ছাড়া শুরু করেন কার্প জাতীয় মাছ। ১৯ জুন সোমবার সকাল পর্যন্ত ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে নৌকা নিয়ে জাল পেতে ডিম সংগ্রহ করেন। নদীতে রুই জাতীয় মাছ ডিম ছেড়েছে। রাতে নদীত জোয়ারের সময় নাপিতেরঘাট, আমতুয়া, আজিমেরঘাট, মাছুয়াঘোনা, নাপিতেরঘাট, নতুনহাট, গরদুয়ারসহ রাউজান-হাটহাজারীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে জেলেরা উৎসব মুখর পরিবেশে ডিম সংগ্রহ করে। হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.মনজুরুল কিবরিয়া জানান, নদীতে উৎসবমূখর পরিবেশে জেলেরা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এবিষয়ে হালদা গবেষক ড. মো: শফিকুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ১৮ জুন মধ্যরাতে জোয়ারের সময় আমতুয়া পয়েন্টে কার্পজাতীয় মা মাছ পূরোদমে নদীতে ডিম ছাড়ে। এরপর এই ডিম জোয়ার বাড়ার সাথে সাথে নাপিতের ঘাট, আজিমারঘাট, মাছুয়াঘোনা হয়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে ডিম ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার বজ্রপাতসহ ব্যাপক বৃষ্টির প্রভাবে হালদায় পাহাড়ি ঢল নেমে এসে ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এছাড়া রবিবার সকালে অমাবস্যা শেষ হওয়ায় রাতের জোয়ারে ডিম ছাড়ার শতভাগ সম্ভাবনা ছিল। তাই হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা, জাল, বালতিসহ ডিম ধরার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে পূরোপূরি প্রস্তুত ছিলেন। তিনি আরও জানান, এই বছর সৃষ্টিকর্তার অসীম দয়ায় হালদা নদী থেতে প্রচুর পরিমাণে ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলেরা উৎসবমূখর পরিবেশে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদীতে দলবেধে ডিম সংগ্রহ করেন। নদীতে ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পর্যপ্ত পরিমান ডিম ছেড়েছে মা মাছ। জেলেরা কেউ ১০ বালতি বেউ ২৫ বালতি করে নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করেছেন বলে জানান। রাউজান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভাকর বলেন, রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ডিম সংগ্রহ করেন জেলেরা। ডিম গুলো সরকারি হ্যাচারীতে ফুটানোর জন্য আনা হয়েছে। তিনি জানান, এবার ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১৪ হাজার কেজি মতো ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২২ সালে সাড়ে ৬ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করেন জেলেরা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ
রাউজান :: চট্টগ্রামের হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মা মাছ ডিম ছেড়েছে। জেলেদের দীর্ঘ কয়েক মাস অপেক্ষার পর রবিবার রাত ১১টার দিকে নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। সারাদিন অপেক্ষার পর রাতে নদীর দুই পাড়ে দলবেধে জাল ফেলে ডিম সংগ্রহ করছেন জেলেরা। তবে এর আগে দুপুরের দিকে প্রথম দফায় কিছু নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ। রাতে পাহাড়ী ঢল ও জোয়ারের সময়ে পুরোদমে ডিম ছাড়া শুরু করেন কার্প জাতীয় মাছ। সর্বশেষ খবরে জানাগেছে, নদীতে রুই জাতীয় মাছ ডিম ছেড়েছে। রাউজান ও হাটহাজারীর বিভিন্ন অংশে ডিম ছাড়তে শুরু করেছে মা জাতীয় মাছ। বিশেষ করে নাপিতের ঘাট, আমতুয়া এবং আজিমের ঘাটের কয়েকটি এলাকা থেকে ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানাগিয়েছে। এ বিষয়ে হালদা নদীর ওপর (পিএইচডি ও মাষ্টার্স থিসিস) ডিগ্রি অর্জনকারী হালদা গবেষক ড. মো: শফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ অপেক্ষার পর রবিার রাত ১১ টার দিকে হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা জাতীয় মাছ। নদীতে পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের সময়ে পুরোদমে নদীর বিভিন্ন স্থানে ডিম দেয়। ডিম আহরণের জন্য অনেক দিন প্রস্তুত ছিলেন জেলেরা। জেলেরা উৎসব মুখর পরিবেশে রাতেই নদীতে দলবেধে ডিম সংগ্রহ করে যাচ্ছে। জানা যায়, ২০২২ সালে সাড়ে ৬ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করেন জেলেরা।