বুধবার ● ৬ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » বিদ্যুতের লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ বিশ্বনাথবাসী
বিদ্যুতের লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ বিশ্বনাথবাসী
মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: (৬ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২০মিঃ) পল্লী বিদ্যুতের অব্যাহত ভেলকিবাজী ও মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট বিশ্বনাথ উপজেলাবাসী৷ সপ্তাহখানেক থেকে চলছে অতিরিক্ত লোডশেডিং৷ ফলে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে৷ তেমনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী, স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায়ও ঘটছে বিঘ্ন৷ এভাবে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলতে থাকলে যে কোন সময়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন বিশ্বনাথের গ্রাহকরা৷
গ্রাহকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে গড়ে ৪/৫ ঘন্টা করে বিদ্যুত্ অফিসের কর্মকর্তারা ইচ্ছে করেই উপজেলাবাসীকে কষ্টের মধ্যে রাখেন৷ যাতে করে পান বিশ্বনাথ উপজেলাবাসী৷ বিশেষ করে রাতের বেলা বিদ্যুত্ বঞ্চিত থাকতে হয় বিশ্বনাথবাসীকে৷ রাতে বিদ্যুত্ দিয়ে ২-৫ মিনিট পর আবারও চলে যায়৷ প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৫০ বার এই ভেলকিবাজির শিকার হতে হয় গ্রাহকদেরকে৷ বিদ্যুতের জন্য মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয় এ উপজেলায় কর্তব্যরত বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদেরকেও৷
সিলেটের বিশ্বনাথ প্রবাসী অধ্যুষিত উপজেলা হওয়াতে প্রতি বছর দেশে বেড়াতে আসেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী৷ কিন্তু বিদ্যুতের এহেন যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার সময় প্রায় বেশির ভাগ প্রবাসীই বলতে বাধ্য হন “আর দেশে না আসার কথা”৷ ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়েই বেশি সমস্যায় পড়তে হয় প্রবাসীদেরকে৷ প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই প্রতিবেদকের কাছে লোডশেডিং এর শিকার অনেক গ্রাহক ফোন করে তাদের অভিযোগের কথা বলেন৷ গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, এলাকায় ১ ঘন্টা বিদ্যুত্ দিলে তার পরবর্তী ৪ ঘন্টা আর নেই৷ বৃষ্টির একটু পূর্বাবাস পেলেই চলে যায় বিদ্যুত্৷ লোডশেডিংয়ের নামে পল্লী বিদ্যুত্ অফিসের কর্মকর্তারা ইচ্ছে করেই উপজেলাবাসীকে কষ্টের মধ্যে রাখেন৷ যাতে করে বিশ্বনাথ উপজেলার মানুষজন শান্তিতে বাস করতে না পারে৷ লোডশেডিংয়ের কারণে এমনিতেই ব্যবসা বাণিজ্য ঠিক মত করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা৷
দেশে আসা অনেক প্রবাসী জানান, তারা দেশে এসেছেন একটু শান্তিতে কয়েকটা দিন কাটাবেন বলে৷ কিন্তু এখানে আসার পর তাদের অশান্তিটা যেন আরো বেড়ে গেছে৷ দেশে এসে লোডশেডিংয়ের কারণে পরিবার পরিজনদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা৷
সমুজ আহমদ, তজম্মুল আলী, আবুল কাশেম, বশির মিয়াসহ বিক্ষুব্ধ অনেক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে মনে হয় চিরদিনের জন্য ঘরের লাইনগুলো ছিড়ে ফেলি৷