রবিবার ● ২৫ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » কৃষি » পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় উপকরণ বিতরণ
পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় উপকরণ বিতরণ
রাঙামাটি :: গত মঙ্গলবার ২০ জুন তারিখ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন” প্রকল্পের আওতায় কৃষিজ উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়স্থ মাইনী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান উপকারভোগীদের মাঝে সার, বীজ ও কীটনাশক বিতরণের সময় তুলা চাষ বৃদ্ধির বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। অতঃপর অনুষ্ঠানের শেষে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ২০২২-২৩ অর্থ বছরের নির্বাচিত কৃষকের মাঝে প্রদর্শনী সৃজনের লক্ষ্যে কৃষিজ উপকরণ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম, বোর্ডের উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, বাজেট ও অডিট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামানসহ রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে আগত উপকারভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইক্ষু, সাথী ফসল, গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার
রাঙামাটি :: মঙ্গলবার ২০ জুন, ২০২৩ তারিখ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন “পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্প”র আওতায় “পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইক্ষু, সাথী ফসল, গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার -২০২৩ বোর্ডের প্রধান কার্যালয়স্থ কর্ণফুলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় সদস্য বাস্তবায়ন ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (উপসচিব) এর সভাপতিত্বে বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান নুরূল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব)। তিনি অনুষ্ঠানের শুরুতে সেমিনারে আগত অতিথিবৃন্দদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান।
ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ইক্ষু অনাবৃষ্টি পরিবেশে ও বন্যায় টিকে থাকতে পারে। এটি অত্যন্ত লাভজনক সফল। কৃষকেরা আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। চলতি অর্থ বছরে ৩৯০ টি প্লট সৃজনের কার্যক্রম চলমান আছে। তন্মধ্যে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে এক ধরণের বিপ্লব হয়েছে। বর্তমানে রং বিলাস, সিও ২০৮ সহ গুড়ের বিভিন্ন জাতের ইক্ষু চায়ের পাশাপাশি ইক্ষুর সাথে সাথী ফসলও চাষ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটির গুণাগুন এক নয়। ভবিষ্যতে কৃষি জাতের বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে মাটির গুণাগুন পরীক্ষা করা দরকার। এক্ষেত্রে শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড করলে হবে না কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি এবিষয় সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ও সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (উপসচিব) বলেন, মাঠ কর্মীগণের নিরলস পরিশ্রমের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইক্ষু চাষের বিপ্লক ঘটছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্বেও কৃষিবিদ পরামর্শকগণের নিরলস পরিশ্রম এবং তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম যথাসময়ে তদারকি করা সম্ভব হয়েছে। ফলে শুধু ইক্ষু চাষে নয় বরং সাথী ফসল উৎপাদনেও কৃষকদের সাফল্য রয়েছে।
সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন(উপসচিব) বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় বহুমুখী উন্নয়নমূলক প্রকল্প রয়েছে। তন্মধ্যে সুগারক্রপ চাষ সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্প অন্যতম। সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ/অধিদপ্তর কৃষি খাতে যত গুরত্ব দেবে আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে এবং পার্বত্য এলাকার মানুষসহ সারা দেশব্যাপী এ সুফল ভোগ করবে।
রাঙামাটি অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য একটি অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান। পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নমূলক যতগুলো কর্মকান্ড সম্পাদিত হয়েছে এর রড় অংশীদার উন্নয়ন বোর্ড।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যসামগ্রীতে মূল্য সংযোজন করতে হবে। তিনি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে তামাক চাষ হচ্ছে উল্লেখ করে আরও বলেন, তামাক চাষের বিকল্প হিসেবে কৃষকদেরকে অন্য ফসল চাষের আওতায় আনতে হবে এবং উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বিশেষ করে ইক্ষু চাষের আওতায় আনতে হবে। কোন কৃষক যদি ফসলের ভাল ফলন ফলাতে পারে অন্য কৃষক আপনা-আপনি সেই ফসলের দিকে ধাবিত হবে।
সেমিনারে রাঙামাটি কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, রাঙামাটি হর্টিকালচারের উপ পরিচালক হাজী শফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আপ্রু মারমা, রাঙামাটি মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঊষালয় চাকমা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপকারভোগীগণ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের পরামর্শক কৃষিবিদ ধনেশ^র তঞ্চঙ্গ্যা।
সেমিনারে বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (উপসচিব), সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন, রাঙামাটি অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল, রাঙামাটি কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, রাঙামাটি হর্টিকালচারের উপ পরিচালক হাজী শফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আপ্রু মারমা, রাঙামাটি মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঊষালয় চাকমা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, মোঃ নুরুজ্জামান বাজেট ও অডিট অফিসার, তথ্য কর্মকর্তা ডজী ত্রিপুরা,
বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীসহ উপকারভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।