বুধবার ● ২৮ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » খেলা » মিরসরাইয়ে অনুর্ধ্ব ১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ইছাখালী
মিরসরাইয়ে অনুর্ধ্ব ১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ইছাখালী
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে (অনুর্ধ্ব ১৭) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদ। ট্রাইবেকারে সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদ একাদশকে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
রবিবার ২৫ জুন বিকেলে মিরসরাই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নির্দিষ্ট সময়ের খেলায় ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর খেলা ট্রাইবেকারে গড়ায়। ফাইনালে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছে ইছাখালীর মেহেদী। টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার ও ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হয়েছেন হয়েছেন ইছাখালীর মাহী।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এম আলা উদ্দিন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা, সাহেরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, জনস্বাস্থ্য সহকারি প্রকৌশলী কেএম সাঈদ মাহমুদ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করি রানা।
গত ২১ জুন মিরসরাই স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, মিরসরাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে টুর্নামেন্ট ১৫টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা অংশগ্রহণ করেন।
মিরসরাইয়ে আযান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মিরসরাই :: মিরসরাই উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে আযান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংষ্কৃতিক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মডেল মসজিদ পরিচালনা কমিটির মাহফুজা জেরিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মডেল মসজিদ পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন।
মিরসরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মডেল মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. নুরুল আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ রেজাউল করিম মাষ্টার, উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারি প্রকৌশলী কেএম সাঈদ মাহমুদ।
এইসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ইমন, বারইয়ারহাট কমর্ফোট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সলিম উদ্দিন, মিরসরাই প্রেসক্লাবের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক এম মাঈন উদ্দিন, উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মিরসরাই কলেজ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নিজাম উদ্দিন ও হিঙ্গুলী কদমতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা সভাশেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা আরিফুল ইসলাম।
সবশেষে ক, খ, গ ও ঘ বিভাগে প্রতিযোগিতায় ১২ জন বিজয়ীদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদপত্র, সেবা আধুনিক হাসপাতালের সৌজন্যে জায়নামাজ, টুপি, আতর, তজবী, মেসওয়াক গেøাবাল প্রেমিয়াম এক্সেসরিসের সৌজন্যে মগ ও ডায়েরী তুলে দেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত আযানের মাধ্যমে নামাজের প্রতি আহবান করা হয়। শতব্যস্ততার মাঝেও আমরা আযান শুনার সাথে সাথে মসজিদের দিকে ছুটে যাই। আযানের এতো সম্মান ভিন্ন ধর্মালম্বীরাও মুসলমানদের আযানের সময় তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় মাইক বন্ধ রাখেন। সময়ের ব্যবধানে প্রতিমূহুর্তে সারাপৃথিবীতে আযান হচ্ছে। পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু পবিত্র কাবা শরীফে এক মূহুর্তের জন্যও তাওয়াফ যেমন বন্ধ থাকেনা ঠিক তেমনি সারাপৃথিবীতে এক মুহুর্তের জন্য আযান বন্ধ থাকেনা। এই ধরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটি এবং যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহনের সাথে সাথে আযানের মাধ্যমে তার ধর্মীয় পরিচয় ফুটে উঠে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। প্রতিদিন ৫ওয়াক্ত নামাজের জন্য মুয়াজ্জিন আযানের মাধ্যমে নামাজের জন্য আহবান করে থাকেন। আযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। আমরা উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামীক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাধ্যমে শুদ্ধ উচ্চারণে আযান দেওয়ার জন্য অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।