মঙ্গলবার ● ১৮ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » কৃষি » ভরা বর্ষাতেও নেই বৃষ্টি রাউজানে আমন চাষে দুশ্চিন্তায় কৃষক
ভরা বর্ষাতেও নেই বৃষ্টি রাউজানে আমন চাষে দুশ্চিন্তায় কৃষক
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: চলছে আমন চাষের গাছ রোপণের ভরা মৌসুম। আষাঢ় মাসের প্রায় শেষের দিকে। এই ভরাবর্ষা মৌসুমে রাউজানে কাক্সিক্ষত বৃষ্টিপাত না হওয়াতে আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রাউজানের অসংখ্যা কৃষকেরা। আগামী দশদিরে মধ্যে পরিমান মতো বৃষ্টিপাত না হলে এবার এই উপজেলায় আমন চাষ অধেক কমে যাবে। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ী জায়গা গুলোতে এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীজ রোপণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু কৃষি কাজের জন্য চাহিদার তুলনায় বৃষ্টি না হওয়াতে উঁচু জায়গা গুলোতে এখন পর্যন্ত আমন ধানের বীজ রোপণ করা যাই। কৃষকরা জানান, সাধারণত জুন ও জুলাই মাসে আমন ধাণের বীজ রোপণের উপযুক্ত সময়। কিন্তু এবার এখনো চাহিদার তুলনায় বৃষ্টি হচ্ছেনা। সেই সাথে জমিতে নেই পানি, তীব্র রোদে ধান চাষের সোনালী ফসলের মাঠগুলো পানির জন্য খাঁ-খাঁ করছে। ধান রোপণের জমিগুলোতে পানি না থাকায় হালচাষ ও ধান রোপণে কৃষকদের ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। অন্যদিকে ধান রোপণের জন্য বীজ তৈরি করা চারাগুলো সময়ে সাথে বড় হচ্ছেনা। কিন্তু পানির অভাবে নির্দিষ্ট সময়ে চারা রোপণ করা যাচ্ছেনা। এতে বিপাকে পড়েছে কৃষক। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতির আশষ্কা করছেন এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ কৃষকরা। কৃষক নেজাম উদ্দিন বলেন, আষাঢ় মাস শেষ হতে চলছে তবুও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও সেই বৃষ্টির পানি জমিতে চাষের উপযোগি হচ্ছেনা। অন্য বছরগুলোতে এমন সময় জমিতে পানি জমে থাকত। জমিতে হালচাষ বা ট্র্যাক্টর দিয়ে কয়েক দিন রেখে জমিতে চাষ দিয়ে চারা রোপণ করা হতো। কিন্তু এবার চাহিদার তুলনায় বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের জমিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এই মাসে যদি আর বৃষ্টি না হয় তাহলে এবার আমন চাষ নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়বেন তারা। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আমন চাষাবাদের জন্য উপযোগী জমি রয়েছে প্রায় ১২হাজার ২শত ২৫ হেক্টর। পরিত্যাক্ত জমি রয়েছে প্রায় ৭৭৮ হেক্টর বেশি জমি।
রাউজানে পুকুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে পুকুরে পানিতে ডুবে মো: তাহমিদ রেজা আলিফ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭-জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সেই উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা ছিদ্দিক আহম্মদ মিস্ত্রি বাড়ির মো: ফিরোজ আজম এর পুত্র। স্থানীয় লোকজন জানান, খেলতে গিয়ে সেই পুকুরে পড়ে যাই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভাসমান অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল ইসলাম।