বৃহস্পতিবার ● ২০ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » ঢাকা » ক্ষমতা হারানোর আতংকে সরকার ও সরকারি দল এখন দিশেহারা
ক্ষমতা হারানোর আতংকে সরকার ও সরকারি দল এখন দিশেহারা
১ দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে আজ দুপুরে পুরানা পল্টন থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।পদযাত্রা মতিঝিল - আরামবাগ হয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে এসে শেষ হয়।
সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের ১ দফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী পদযাত্রার ডাক দেওয়া হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্য এর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু , রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক বিষয়ক ফরিদুল হক ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।
পদযাত্রায়ও আরও অংশ নেন মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট বেলায়েত হোসেন, নাগরিক ঐক্য এর সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল বিশ্বাস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর নেতা দিদারুল ভূইয়া প্রমুখ।
পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভোট ডাকাত দূর্নীতিবাজ সরকারকে বিদায় দেয়া হবে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এই সরকার এখন দিশেহারা । এই জন্যে তারা বিরোধীদের উপর হামলা করছে।আগামীতে এদের প্রতিটি অপরাধের বিচার করা হবে।
সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, গণতান্ত্রিক ধারার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। বিরোধীদেরকে তারা রাজনৈতিক ভাবে ম্যোকাবেলা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের সমর্থন না থাকায় সন্ত্রাসকে তারা প্রধান অবলম্বন করেছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, হামলা আর গুলি চালিয়ে মানুষকে তারা ভয় দেখাতে চায়; মানুষ যাতে রাস্তায় না নামে।কিন্তু এবার মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যাবেনা।এই সরকারকে বিদায় দিতে মানুষ রাস্তায় নামছে; এই মানুষেরা গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে সরকারকে বিদায় দেবে।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, এটা ২০২৩; এটাকে ২০১৪ বা ২০১৮ সাল মনে করলে সরকার ভুল করবে।এখন হামলা হলে জনগণ মোকাবেলা করতে শুরু করেছে
হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, এই সরকারকে বিদায় দিতে মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ । কোন ছলচাতুরী করে এবার আর ক্ষমতায় থাকা যাবেনা।শাসনে গোটা দেশ ও জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছে। তিনি আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানের পথে নিয়ে যেতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
ফরিদুল হক বলেন, আধুনিক রাষ্ট্রে ভোটের অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের অধিকার না থাকলে বাস্তবে রাজনৈতিক ভারে মানুষের অস্তিত্ব থাকেনা। তিনি এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বিদায় দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার আহবান জানান।