শনিবার ● ২৯ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » একাধিক মামলার আসামী বিন্দু মাসির মাদক ব্যবসায় ধ্বংসের পথে যুব সমাজ
একাধিক মামলার আসামী বিন্দু মাসির মাদক ব্যবসায় ধ্বংসের পথে যুব সমাজ
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়া পৌর ১৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা একাধিক মামলার আসামি ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসয়ী রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসীর রমরমা মাদক ব্যবসার ফলে ধ্বংসের পথে যুব সমাজ। একাধিকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তারের পরও বিন্দুমাসীর মাদক বিক্রির দৌরাত্ম কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পশ্চিম মজমপুর মুনসুরশাহ্ মাজার এলাকার গোলাম মোস্তফা ড্রাইভার ওরফে মরার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসী দিনে দুপুরে অবাধে অবৈধ মাদক বিক্রি করছে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৫টির অধিক মাদক মামলা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে যা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে মাদকের ডিলার বিন্দুমাসি একাধিকবার পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে ফের আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে। বর্তমানে তিনি এলাকার বড় গাঁজা ও ইয়াবার ডিলার হিসেবে পরিচিত হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে যাচ্ছে। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জানান, মাদক এই রাষ্ট্র ও সমাজের মারাত্মক একটি ব্যাধি। রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসী আসলেই একজন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী। মূলত মুদি দোকানে আড়ালে এই মাদক ব্যবসা করছেন তিনি। বর্তমান পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয়রা বলেন, ২০০৯/২০১০ সাল থেকে মাদক ব্যবসা করেই রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসী লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেছেন। পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তার করলেও টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে আবার সেই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরে। এ বিষয়ে রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমার নামে মামলা আছে, আমি মাদক ব্যবসা করি মামলা চলাতে খরচ হয় এই কারণে আমি মাদক ব্যবসা করি, আমার নামে লেখালেখি করে কিছুই করতে পারবেন না, আমি মাসোহারা দিয়ে ব্যবসা করি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী যত শক্তিশালিই হোক না কেনো তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
কুষ্টিয়ায় আজকের পত্রিকার ২য় বর্ষ পুর্তি পালিত
কুষ্টিয়া :: কুষ্টিয়ায় আজকের পত্রিকার ২য় বর্ষ পুর্তি পালিত হয়েছে। বুধবার বেলা ৩টায় কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে অবস্থিত কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি) এর সাংবাদিক পিনু/খোকন মিলনআয়তনে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। এসময় আজকের পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মিলন উল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি, জেলা জর্জ আদালতের কৌশলী (পিপি),ও কুষ্টিয়া ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নেরর সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান মাসুম এবং কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব (কেপিসি) ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। এসময় বক্তারা বলেন, একটি পত্রিকা শুধু নিষ্ঠার সাথে কাজ করলেই এত দ্রুত সামনের দিকে এগুলো সম্ভব। আজকের পত্রিকার শিরোনাম এবং সংবাদের উপস্থাপন নতুন সাংবাদিকদের জন্য অনেক শিক্ষানীয়। আজকের পত্রিকার উত্তরত্তর সাফল্য কামনা করে অতিথীরা বলেন, দেশ ও স্বাধীনতার পক্ষে সবসময় এই পত্রিকা কথা বলার কারনেই এটি আজ সারা দেশে স্থানীয় পত্রিকা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারন সম্পাদক মাহামুদ হাসানের সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার শেখ হাসান বেলাল, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি শ্যামলী ইয়াসমিন, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি তরিকুল ইসলাম, আজকের পত্রিকার দৌলতপুর প্রতিনিধি তামীম আদনান, স্বদেশ প্রতিদিনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ফয়সাল চৌধুরী, দেশের বানীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস ও গণকন্ঠের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাইফ উদ্দিন আল আজাদ, স্বর্নযুগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিক এবং সুধিজন উপস্থিত ছিলেন। পরে আজকের পত্রিকার ২য় বর্ষপূর্তির কেক কাটেন অতিথিবৃন্দ। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে কুষ্টিয়া ডিসি কোর্ট চত্তর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আজকের পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।