বুধবার ● ২ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ঢাকা থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন বাসের ২২ যাত্রী প্রাণে রক্ষা
ঢাকা থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন বাসের ২২ যাত্রী প্রাণে রক্ষা
রাউজান প্রতিনিধি :: রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসটি দ্রুত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিল রাঙামাটির দিকে ৷ যখন চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজান এলাকার জানালী হাটে পৌঁছালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন চালক সাজিদ। এসময় শুরু হয় তার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা আর শরীরে কাপুনি। কিন্তু এর পরেও চালক সাজিদ বাসটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। গতি কমিয়ে সড়কের পাশে থামানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে সড়কের পাশে রাখা রিকশা ও টমটমকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনারোধক পিলারের সঙ্গে আটকে যায় বাসটি। আর তাতে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বাসের ভিতরে থাকা প্রায় ২২ জন যাত্রী। এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ২ আগস্ট ভোর ৬টার দিকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজানের বেরুলিয়া এলাকায় সেন্টমার্টিন নামক একটি যাত্রীবাহী বাসে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাউজান হাইওয়ে থানা পুলিশ। পরে ক্রেনের সাহায্যে দুর্ঘটনায় পড়া বাসটি (ঢাকা মেট্রো ব ১৪- ৬৫৮৮) উদ্ধার করা হয়। যাত্রীরা জানায়, বাসটি কুণ্ডেশ্বরী এলাকা পার হওয়ার পরই চালক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন সাথে প্রচণ্ড কাপুনি শুরু হয়। সবাই ধারণা করেন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে অবশ্য জানা যায় হৃদরোগ নয় তবে তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন। ওই বাসের সঙ্গে থাকা সুপারভাইজার হৃদয় জানান, ঢাকা থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা বাসে যাত্রী ছিল ২২ জন। এর মধ্যে জান আলী হাট এলাকায় আসলে অসুস্থ হয়ে পড়েন চালক। তিনি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার এক পর্যায়ে বেরুলিয়া এলাকায় দুর্ঘটনারোধক পিলারে আটকা পড়ে বাসটি। বাসচালকের নাম সাজিদ (৪৫)। তার বাড়ি রাজধানী ঢাকার মুগদা এলাকায়। ঘটনার বিষয়ে রাউজান হাইওয়ে থানা পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, খরব পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বাসটি উদ্ধার করে সুপারভাইজার হৃদয়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।