শুক্রবার ● ৪ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » জমে উঠেছে ঝালকাঠির সীমান্তবর্তী নৌকার হাট
জমে উঠেছে ঝালকাঠির সীমান্তবর্তী নৌকার হাট
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি :: খাল-বিল, নদী-নালা বেষ্টিত ঝালকাঠি এবং এর আশে পাশের জেলা গুলোতে বর্ষা মৌসুমে নৌকার কদর অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে কৃষকদের কাছে। ধান কাটা, বাগান থেকে পেয়ারাসহ, বিভিন্ন ফসল সংগ্রহ এবং বাজারজাত করার কাজে নৌকার বিকল্প নেই।
আর এ বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে নৌকা তৈরির কারিগররা দিন রাত শ্রমদিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কাঠসহ নৌকা তৈরির উপকরনের দাম বেড়ে যাওয়ায় নৌকা তৈরিতে খরচও বেড়েছে। তবে সে তুলনায় নৌকার দাম বাড়েনি বলে জানান কারিগররা। নিজস্ব পূঁজি না থাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে উপকরণ কিনতে হয়। যে কারনে তারা তেমন দাম পায় না।
দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম নৌকারহাট আটঘরসহ আসপাশের বিভিন্ন নৌকা বিক্রির হাটগুলো এখন ক্রেতা বিক্রেতা সমাগমে সর্গরম হয়ে উঠেছে। ঝালকাঠি প্রতিনিধি এ পাঠানো তথ্য ও ছবিতে প্রতিবেদন।
বর্ষা মৌসুম এলেই ঝালকাঠিসহ দক্ষিনাঞ্চলের নদী-নালা খালবিল বেষ্টিত এলাকায় নৌকার কদর বেড়ে যায়। এতে নৌকা নির্ভার এলাকাগুলোতে নৌকার চাহিদাও বাড়ে। আর এ বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে জেলার নৌকা তৈরির কারিগররা দিন রাত শ্রমদিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কাঠ, লোহাসহ নৌকা তৈরির উপকরনের দাম বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি নৌকার দাম।
তাছাড়া নিজস্ব পূঁজি না থাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে উপকরণ কিনতে হয়। যে কারনে তারা তেমন দাম পায় না। তবুও তারা প্রতি হাটে তৈরি করা নৌকা নিয়ে হজির হয়। দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম আটঘরের নৌকারহাট ক্রেতা বিক্রেতা সমাগমে সর্গরম হয়ে উঠেছে।
দুই শতাধিক বছরের পুরানো ঝালকাঠির সিমান্তবর্তী নৌকা কেনা বেচার এ হাটে বিক্রির জন্য বিভন্ন স্থান থেকে কারিগর এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নৌকা নিয়ে আসে। এখান থেকে এসব নৌকা যাচ্ছে বৃহত্তর বরিশাল এবং ফরিদপুরের প্রত্যন্ত এলাকায়। প্রতি মৌসুমে এ হাটে এক থেকে দেড় কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান।ঝালকাঠি বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের উপ-ব্যাবস্থাপক নৌকা তৈরির কারিগরদের পূঁজি সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, এ সমস্যা সমাধানে তাদেরকে বিসিক থেকে স্বল্প সুদে মৌসুমী ঋণ দেয়ার একটি প্রকল্প রয়েছে। তারা ঋণের জন্য এলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।